মীযান ডেস্ক: বিশ্বের বৃহত্তম রেইন-ফরেস্ট বা চিরহরি! বনভূমিকে বাঁচানোর জন্য ব্রাজিলে শীর্ষ সম্মেলনে একজোট হয়ে সিদ্ধান্ত নিল ৮ দেশ। বলিভিয়া, ব্রাজিল, কলম্বিয়া, ইকুয়েডর, পেরু, সুরিনাম, ভেনিজুয়েলা ও গায়ানা – লাতিন আমেরিকার এই দেশগুলো ম্যানমেড ধ্বংস থেকে আমাজনকে রক্ষা করতে উন্নত দেশগুলির কাছেও আবেদন জানিয়েছে। তারা বলেছে, ‘বিশ্বের সর্ববৃহৎ রেইনফরেস্টকে বাঁচানোর দায় শুধু লাতিন দেশগুলোর নয়। উন্নত দেশগুলিকেও এগিয়ে এসে সদিচ্ছা দেখাতে হবে। কারণ, আমাজন সারা পৃথিবীর সম্পদ। তাদের মতে, আজ আমাজনের যে অবস্থা, তার জন্য অনেকেই দায়ী।
এই শীর্ষ বৈঠকের উপর গোটা বিশ্বের নজর ছিল। মঙ্গলবার সেই আমাজন কো-অপারেশন ট্রিটি অর্গানাইজেশন-এর বৈঠকে যৌথ কর্মসূচির ঘোষণা করা হয়। এতে ৮ দেশই সই করেছে। কীভাবে এই বিশাল অরণ্য সম্পদ বা চিরহরিৎ বনভূমিকে রক্ষা করা যেতে পারে, তার রোডম্যাপও লেখা হয়েছে বৈঠকে।
ব্রাজিলের প্রেসিডেন্ট লুলা ডি সিলভা এ দিনের বৈঠকে বলেন, ‘এর আগে আমাজন বাঁচানোর বিষয়টা এতটা জরুরি ছিল না। গত জুলাই ছিল বিশ্বের উষ্ণতম মাস। এখন আমাদের একসঙ্গে কাজ করতেই হবে। নাহলে আমরা নিশ্চিহ্ন হয়ে যাব। ধ্বংস হয়ে যাবে মানব সভ্যতা ও বিশ্ব প্রকৃতি।’
উল্লেখ্য, বছর তিনেক আগে আমাজনে দাবানল হয়। যাতে বিস্তীর্ণ বনভূমি পুড়ে ছাই হয়ে যায়। জঙ্গলে বসবাসরত আদিবাসী ও উপজাতিদেরও অপূরণীয় ক্ষয়ক্ষতি হয়। ব্রাজিলের পূর্বতন প্রেসিডেন্ট জাইর বলসোনেরোকে দায়ী করা হয়। অভিযোগ ওঠে, বিপুল অর্থের বিনিময়ে কর্পোরেট সংস্থার কাছে আমাজনের একাংশ ভূখণ্ড নাকি দিয়ে দিতে গোপন রফা হয়েছে। সে জন্যই জঙ্গলে আগুন লাগিয়ে বৃক্ষ নিধনযজ্ঞ ও জঙ্গলবাসীদের উচ্ছেদ করা হয়। তাই সেই দাবানলকে ম্যানমেড বলে অভিহিত করা হয়।