পাঁচ থেকে ১২ বছর বয়সি শিশু-কিশোরদের থেকে রেলের আয় প্রায় ৭ হাজার কোটি

মীযান ডেস্ক: বিভিন্ন সরকারি সমীক্ষা রিপোর্টে বলা হয়েছে, প্রত্যেক শিশু প্রায় ৬০ হাজার টাকা ঋণের বোঝা মাথায় নিয়ে জন্মায়। অথচ এই ঋণগ্রস্ত শিশুরাই একটু বড় হয়ে রেল চড়লে টিকিট কাটতে হয়। এই শিশুরাই টিকিট কেটে রেলে চড়ে সরকারের কোষাগারে ৬ হাজার কোটি টাকা দিয়েছে।

উল্লেখ্য, ২০১৬ সালেই পাঁচ থেকে ১২ বছর বয়সি শিশু-বালক রেলযাত্রীদের টিকিট সংক্রান্ত নিয়মে ব্যাপক সংশোধন করে মোদি সরকার ও রেলমন্ত্রক। আর সেই সংশোধন মেনে পরবর্তী ৭ বছরে শিশু রেলযাত্রীদের টিকিট বিক্রি করে ৬ হাজার কোটি টাকারও বেশি আয় করেছে রেল বোর্ড।

এক আরটিআইয়ের তথ্যে এই পরিসংখ্যান সামনে এসেছে। মধ্যপ্রদেশের বাসিন্দা চন্দ্রশেখর গৌরের করা আরটিআইয়ের জবাবে ২০১৬-১৭ থেকে ২০২২-২৩ আর্থিক বছর পর্যন্ত ৭ বছরের হিসেব পেশ করেছে ভারতীয় রেল।
২০১৬ সালের মার্চ মাসে সিদ্ধান্ত হয়েছিল, যদি পাঁচ থেকে ১২ বছর বয়সি রেলযাত্রীর জন্য তার পরিবার একটি সিট বা বার্থ সংরক্ষণ করেন, তাহলে ওই শিশুকে পুরো ভাড়াই দিতে হবে। কোনও আসন না নিলে অর্ধেক ভাড়া দিতে হবে। ২০১৬ সালের ২১ এপ্রিল থেকে ওই নয়া নিয়ম কার্যকর হয়। মূলত ব্যাপক আয় বৃদ্ধির লক্ষ্যেই এহেন সিদ্ধান্ত নিয়েছিল রেলমন্ত্রক। যাকে কেন্দ্র করে ওই সময় চরম বিতর্কও হয়।

কারণ, দূরপাল্লার সফরে পাঁচ থেকে ১২ বছর বয়সি শিশু-বালককে বাবা-মা কিংবা পরিবারের অন্য কারও আসনের সঙ্গে ‘অ্যাডজাস্ট’ করা কিছুটা হলেও কষ্টকর। তাই শিশু-কিশোরদের জন্য আলাদা আসন বুকিং করতে চান অভিভাবকরা। আর এতেই রেলের তহবিল ভরতে থাকে।

আরটিআইয়ের জবাবে দেখা যাচ্ছে, ওই সাত বছরে ১০ কোটি ৫ লক্ষ ৪১ হাজার ৭৪৯ জন শিশু-কিশোর ও বালকের জন্য বার্থ সংরক্ষণ করায় রেলের আয় হয়েছে ৫ হাজার ৬৪৩ কোটি ৬৪ লক্ষ ৫৫ হাজার ৯০৭ টাকা। অন্যদিকে, ওই সাত বছরে ৩ কোটি ৬০ লক্ষ ৩ হাজার ৫৯২ জন শিশুর জন্য ট্রেন সফরে বার্থ রিজার্ভ করা হয়নি। অর্থাৎ, তারা অর্ধেক ভাড়ায় যাত্রা করেছে। সেইমতো এক্ষেত্রে উল্লিখিত সময়সীমায় রেল আয় করেছে মোট ১ হাজার ১৭০ কোটি ২৪ লক্ষ ৬৩ হাজার ৩৭৩ টাকা। দুটো মিলিয়ে ২০১৬-১৭ থেকে ২০২২-২৩ পর্যন্ত ৫-১২ বছরের শিশুদের থেকে ভারতীয় রেল আয় করেছে মোট ৬ হাজার ৮১৩ কোটি ৮৯ লক্ষ ১৯ হাজার ২৮০ টাকা।

Share :

Stay Connected

Advt.

%d bloggers like this: