মীযান ডেস্ক: ছত্তিশগড়ের ভিলাইয়ে দেশবাসীর অনুভূতি নিয়ে বিজেপির ছেলেখেলার বিরুদ্ধে সুর চড়ালেন প্রিয়াঙ্কা গান্ধী। শুক্রবার তিনি বলেন, মোদি সরকার জাতপাত, ধর্মের নামে মানুষকে ভুল পথে চালাচ্ছে। ছত্তিশগড়ের কংগ্রেসী মুখ্যমন্ত্রী ভূপেশ বাঘেল এর উদ্যোগে আয়োজিত মহিলা সমৃদ্ধি সম্মেলনে অংশ নিয়ে প্রিয়াঙ্কা এদিন মোদী-শাহকে একহাত নিয়ে বলেন, কৃষি প্রধান দেশ ভারতের কৃষকদের দৈনিক আয় মাত্র ২৭ টাকা, আর মোদিজীর শিল্পপতি বন্ধুদের আয় প্রতিদিন ১৬০০ কোটি। সারের ওপর থেকে ভরতুকি তুলে দেওয়া হচ্ছে। কৃষি ঋড় শোধ করতে না পেরে অসংখ্য চাষীভাই আত্মহত্যা করতে বাধ্য হচ্ছে। অথচ কর্পোরেট সংস্থা ও কোম্পানিগুলোকে কোটি কোটি টাকা ঋণ মুকুব করে দিচ্ছে মোদি সরকার।
দেশে বেকার সমস্যা পাহাড় প্রমাণ, বিগত ৫ দশকে বেকারত্ব সর্বনিম্নে। নিত্য প্রয়োজনীয় জিনিসপত্রের দাম লাগামছাড়া। কর্মসংস্থানের করুণ চিত্রে অতীতের সব রেকর্ড ভেঙে দিয়েছে মোদি সরকার। অথচ ২০১৪ সালে তিনি নির্বাচনে প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন, ক্ষমতায় এলে বছরে ২ কোটি চাকরি দেবেন। অথচ হিসেব বলছে, এই দশ বছরে ২ কোটির অনেক বেশি লোককে চাকরি থেকে ছাঁটাই করা হয়েছে।
জাতপাত ও ধর্মের নোংরা রাজনীতি আমদানি করেছে বর্তমান কেন্দ্র সরকার। দেশের জ্বলন্ত সব সমস্যা থেকে মানুষের নজর ঘোরাতে এটাই ওদের টোটকা। গত প্রায় দশ বছর ধরে কিছুই করেনি। আগের সব সরকারের কর্মসূচির নাম বদলে, সরকারি সংস্থা ও প্রতিষ্ঠানের নাম বদলে দিয়ে, একের পর এক রাষ্ট্রায়ত্ত সংস্থা জলের দরে বিক্রি করে দিয়ে বলছে, আত্মনির্ভরশীল ভারত।
জি-২০ সম্মেলন করার জন্য যশোভূমির আন্তর্জাতিক কনভেনশন সেন্টার গড়তে ২৭ হাজার কোটি, নতুন পার্লামেন্ট নির্মাণে ২০ হাজার কোটি, নিজের জন্য দুটি হাইফাই বিমান কিনতে ৮ হাজার কোটি খরচ করেছে এই সরকার। কিন্তু দেশের অগণিত মানুষ দুবেলা দুমুঠো খেতে পাচ্ছে না। এই বিপুল পরিমাণ টাকায় কত উন্নয়ন করা যেত, কত স্কুল কলেজ, হাসপাতাল তৈরি হত, বেহাল রাস্তাঘাট মেরামত করা যেত। এসব নিয়ে প্রশ্ন করলেই দেশদ্রোহের মামলায় কারাগারে ঢুকিয়ে দেওয়া হচ্ছে বলে তোপ দাগেন কংগ্রেসের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক প্রিয়াঙ্কা গান্ধী।
