মীযান ডেস্ক: বিজেপির অভ্যন্তরীণ রিপোর্টেই স্বীকার করা হয়েছে, আসন্ন পাঁচ রাজ্যের বিধানসভা নির্বাচনে ফলাফল খুবই খারাপ হতে চলেছে। ডিসেম্বরের প্রথম দিকে এই রাজ্যগুলিতে বিধানসভা ভোট হওয়ার কথা। ফল প্রকাশ হবে ওই মাসের মাঝামাঝি। তবে এখনও ভোটের দিনক্ষণ ঘোষণা করেনি নির্বাচন কমিশন। এর মধ্যে মধ্যপ্রদেশ, ছত্তিশগড়, তেলেঙ্গানায় বিজেপির ফলাফল হতে পারে অপ্রত্যাশিত খারাপ। ক্ষীণ সম্ভাবনা দেখা যাচ্ছে রাজস্থানে। যদিও রাজস্থানে কংগ্রেসের মুখ্যমন্ত্রী অশোক গেহলট ও উপমুখ্যমন্ত্রী শচীন পাইলটের মধ্যে স্নায়ুযুদ্ধ বন্ধ করে দিয়েছে রাহুল গান্ধী ও মল্লিকার্জুন খাড়গে। তাঁরা দুজনে হাত মিলিয়ে কাজ করার অঙ্গীকার করেছেন।
সুতরাং বিজেপির দলীয় রিপোর্টে রাজস্থানে ঈষৎ সম্ভাবনার কথা বলা হলেও বিরোধী শিবিরের দাবি রাজস্থানও বিজেপির থেকে মুখ ফিরিয়ে নেবে। যাই হোক, পরিস্থিতি যা তাতে বোঝা যাচ্ছে ৫ রাজ্যে গেরুয়া রঙ ফিকে হতে চলেছে। আর সেটা হলে আগামী লোকসভা নির্বাচনে বিজেপির হাল বেহাল হয়ে যাবে বলেই মনে করছেন রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা।
মধ্যপ্রদেশে এখন বিজেপির ডাবল ইঞ্জিন সরকার রয়েছে। যদিও সর্বশেষ ২০১৮ সালে এই রাজ্যে বিজেপি হেরেছিল। কিন্তু অপারেশন লোটাস চালিয়ে কংগ্রেসের কমলনাথ সরকারকে মাঝপথে ভাঙিয়ে শিবরাজ সিং চৌহানকে মুখ্যমন্ত্রী করে মধ্যপ্রদেশ দখল করেছিল বিজেপি। কিন্তু এবার সেখানে এমনই পরিস্থিতি হয়েছে যে, শিবরাজকে প্রার্থীই করেনি বিজেপি। ছত্তিশগড়ে কংগ্রেসের সরকার রয়েছে। মুখ্যমন্ত্রী রয়েছেন ভূপেশ বাঘেল। পরিস্থিতি বেগতিক দেখে এবার কোনও রাজ্যেই মুখ্যমন্ত্রীর মুখ হিসেবে কাউকে তুলে ধরেনি বিজেপি।
তেলেঙ্গানায় ভারতীয় তেলেঙ্গানা সমিতি বা বিআরএস-এর সরকার রয়েছে। দক্ষিণের এই রাজ্যে প্রথম থেকে মুখ্যমন্ত্রী রয়েছেন বিআরএস সুপ্রিমো কে চন্দ্রশেখর রাও। দিন তিনেক আগে প্রধানমন্ত্রী এক জনসভায় দাবি করেন, চন্দ্রশেখর রাও নাকি এনডিএ জোটে যোগ দিতে চেয়েছিলেন। কিন্তু মোদিই তা আটকে দেন। পরদিন চন্দ্রশেখরের পুত্র মোদির বিরুদ্ধে গর্জে উঠে বলেন, আমাদেরকে পাগলা কুকুরে কাটেনি যে, বিজেপির সঙ্গে জোটে যাব। সব মিলিয়ে ৫ রাজ্যের আসন্ন ভোটে বিজেপি সব হারিয়ে একেবারে কপর্দকশূন্য হতে পারে। কারণ, তাদের দলীয় রিপোর্টে যে কথা বলা হয়েছে, তাতে দলের কর্মীদের মনোবল এমনিতেই ভেঙে যাবে। তাই ড্যামেজ কন্ট্রোলে এখন থেকেই রাজ্যে রাজ্যে ভোট প্রচারে নেমে পড়েছেন প্রধানমন্ত্রী।
