গাজায় হাসপাতালে বিমান হামলা অন্য কেউ করেছে: ইজরায়েলকে ক্লিনচিট বাইডেনের, তেলআবিব গেলেন ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রীও, গাজায় কেউ যাননি

মীযান ডেস্ক:  গাজার হাসপাতালে ভয়াবহ বিমান হামলায় মৃত্যু হয়েছে অন্তত ৭০০ জনের। এই রোমহর্ষক হামলার দায় নিয়ে তরজা তুঙ্গে। মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন ইজরায়েল সফর করে জানিয়েছেন, ইজরায়েল নয়, ‘অন্য কেউ’ এই হামলা চালিয়েছে। বন্ধুদেশের সুরে সুর মিলিয়েই হামাসকে জঙ্গি সংগঠন তকমা দিয়ে কাঠগড়ায় তুলেছেন তিনি। ৯/১১ হামলার পর ক্ষোভের জেরে আমেরিকা যে ভুল করেছিল, তার পুনরাবৃত্তি এড়াতে হবে বলেও মন্তব্য করেন বাইডেন।

৯/১১ প্রসঙ্গে মার্কিন প্রেসিডেন্ট এদিন বলেন, আমেরিকা ন্যায়বিচার চেয়েছিল। তা পেয়েছেও। কিন্তু তার মধ্যেও কিছু ভুল পদক্ষেপ নেওয়া হয়। এদিকে, হাসপাতালে বিস্ফোরণের ঘটনায় দুঃখপ্রকাশ করে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি বলেন, নিহতদের পরিজনদেরকে শোক ও সমবেদনা জানাই। আহতদের দ্রুত আরোগ্য কামনা করি। সংঘর্ষের জেরে বহু মানুষের প্রাণহানি অত্যন্ত উদ্বেগের বিষয়। যে বা যারা এর জন্য দায়ী, তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া দরকার।

মঙ্গলবার গাজার আল আহলি হাসপাতালে নারী, শিশু, বৃদ্ধ সহ অন্তত ৭০০ নিরীহ মানুষের প্রাণহানি হয়। শুধু অসুস্থ রোগী কিংবা ডাক্তার, নার্সই নয়; ইজরায়েলী বোমায় নিহত হয়েছে হাসপাতালের আশপাশে আশ্রয় নেওয়া উদ্বাস্তুরাও। এই ঘটনায় সরাসরি ইজরায়েলকেই দায়ী করেছে হামাস ও ফিলিস্তিনের স্বাস্থ্যমন্ত্রক। যদিও সেই দাবি খারিজ করে দিয়েছে তেল আভিভ। একটি ড্রোন ফুটেজ প্রকাশ করে ইজরায়েলী প্রধানমন্ত্রী নেতানিয়াহুর দাবি, বিস্ফোরণস্থলে বড় কোনও গর্ত তৈরি হয়নি। অর্থাৎ বিমানহানার জন্য এই ঘটনা ঘটেনি। এর থেকে প্রমাণ হয়, এতে ইজরায়েলের কোনও হাত নেই।

ইজরায়েল ডিফেন্স ফোর্সের তরফে প্রকাশ করা ওই ফুটেজে দেখা যাচ্ছে, বিস্ফোরণের ফলে হাসপাতালের পার্কিং লট থেকে আগুনের লেলিহান শিখা বেরিয়ে আসছে। ইজরায়েলি বিমান হানার তত্ত্ব খারিজ করতে এই ফুটেজকেই হাতিয়ার করেছে তারা। নেতানিয়াহু সরকারের দাবি, হামাসের ক্ষেপণাস্ত্র লক্ষ্যভ্রষ্ট হয়ে হাসপাতালে আঘাত হেনেছে। তার জেরেই এত মানুষের প্রাণহানি। তবে এই দাবি খারিজ করে দিয়ে হামাসের পাল্টা বক্তব্য, পৈশাচিক গণহত্যার দায় এড়াতে চাইছে ইজরায়েল। তাই অন্যের ঘাড়ে দোষ চাপাতে তত্পর তারা।

এদিকে যুদ্ধের আবহেই বুধবার ইজরায়েল যান মার্কিন প্রেসিডেন্ট। তার দুদিন আগে গিয়েছিলেন মার্কিন বিদেশমন্ত্রী অ্যান্টনি ব্লিঙ্কেন। বৃহস্পতিবার যান ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী ঋষি সুনাক। নেতানিয়াহুকে পাশে নিয়ে সাংবাদিক বৈঠক করে হামাসের বিরুদ্ধে যুদ্ধে ইজরায়েলের পাশে থাকার বার্তা দিয়েছেন তাঁরা। সেই সঙ্গে হাসপাতালে বিস্ফোরণে কয়েকশো মানুষের মৃত্যুতে শোকপ্রকাশ করেছেন বাইডেন, সুনাক। তবে ৭ অক্টোবর থেকে যুদ্ধ চললেও এখনও কোনও দেশের রাষ্ট্রপ্রধান ফিলিস্তিন বা গাজার ভয়াবহ পরিস্থিতি দেখতে যাননি।

Share :

Stay Connected

Advt.

%d bloggers like this: