মীযান ডেস্ক: গাড়ি বা যানবাহন চলাচলের সুবিধার্থে রাস্তার ধারে বসানো থাকে ট্রাফিক সিগনাল। হলুদ, সবুজ এবং লাল রঙের এই সিগনাল দেখে চালকরা বুঝে যান কী করতে হবে। হলুদ মানে আস্তে গাড়ি চালাতে হবে, লাল মানে দাঁড়িয়ে পড়তে হবে এবং সবুজ মানে স্বাভাবিক গতিতে যেতে হবে। গাড়ি ও যানবাহনের চালক মানুষ হওয়ায় ট্রাফিক সিগনালের এই তিনটি রঙ দেখে সেইমতো সিদ্ধান্ত নেন এবং ড্রাইভিং করেন। কিন্তু জীবজন্তু বা প্রাণীরা কীভাবে সিগনাল বুঝে চলবে? শুনতে অবিশ্বাস্য হলেও এটা চালু হয়েছে আমাদের নিকটতম প্রতিবেশি দেশে।
চীনের রাষ্ট্রীয় সংবাদমাধ্যম ইসিএনএস জানিয়েছে, উত্তরাঞ্চলের গানসু প্রদেশের দুনহুয়াং শহরের কাছে পর্যটকদের কাছে জনপ্রিয় একটি এলাকায় এই অভিনব ট্রাফিক সিগন্যাল চালু করা হয়েছে। প্রাণীদের জন্য বিশ্বে এই প্রথম ট্রাফিক সিগন্যাল তৈরি করেছে চীন। এখনও পর্যন্ত বিশ্বে আর কোনও দেশে যা নেই।
ট্র্যাফিক সিগন্যাল শুধুমাত্র যানজটের সমাধান করার জন্য কজে লাগানো হয়। তবে উট এবং মানুষকে সঠিকভাবে নিয়ন্ত্রণ করার জন্য বিশেষ কোনো ট্র্যাফিক সিগন্যাল নেই। চীনের এই ট্র্যাফিক সিগন্যাল শুধু যানজটেরই সমাধান করবে না, এটি একটি জনপ্রিয় পর্যটন স্পটও তৈরি হয়েছে। যা এই এলাকার দর্শনার্থীরা উটে ভ্রমণ করার জন্য একটি বড় আকর্ষণ ও দর্শনার্থী স্থান তৈরি হয়েছে। চীনের বিখ্যাত ঐতিহাসিক পর্যটনকেন্দ্র গোবি মরুভূমি অঞ্চলেও বসেছে এই সিগনাল।
তবে মিংশা মাউন্টেন এবং ক্রিসেন্ট স্প্রিং-এর দর্শনার্থীরা এখন উটের সংঘর্ষ থেকে নিরাপদ থাকবে, নতুন এই ট্রাফিক সিগন্যালের জন্য প্রশংসাও করছে ভ্রমণ পিপাসুরা। পশুরা যখন এই ট্রাফিক সিগন্যাল ক্রস বা অতিক্রম করবে তখন সবুজ বাতি জ্বলে উঠবে এবং তাদের থামানোর জন্য লাল জ্বলে উঠবে। সাম্প্রতিক বছরগুলিতে মিংশা পর্বত, মোগাও গুহা টেম্পল কমপ্লেক্স, ইউমেন এবং ইয়াংগুয়ান পাসের কারণে এই অঞ্চলে পর্যটন প্রচুর বৃদ্ধি পেয়েছে, যা চীনের গ্রেট ওয়ালের পশ্চিম প্রবেশদ্বার। উট বা জীবজন্তুর চালক বা রাখালরা মূলত এই সিগনাল দেখে রাস্তা পারপার করেন।