প্রধানমন্ত্রী কে হবেন? ভোটের পর দেখা যাবে: মমতা, আসন রফা নিয়ে কংগ্রেসকে মমতার উদার-বার্তা, খুশি অধীর চৌধুরী

মীযান ডেস্ক: আজ মঙ্গলবার দিল্লিতে দেশের বিরোধী দলগুলোর মহাজোট 'ইন্ডিয়া'র বৈঠক চলছে। তার আগেই কংগ্রেসের সঙ্গে আসন রফা নিয়ে আলোচনার রাস্তা খুলে দিলেন তৃণমূল কংগ্রেস সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। একই সঙ্গে বিজেপির বিরুদ্ধে ঘোষণা করলেন তীব্র লড়াইয়ের কথা। বিরোধী জোটের বৈঠকের আগেই মমতা জানিয়ে দিয়েছেন, তাঁর দরজা খোলা। তিনি আলোচনার জন্য তৈরি। তবে একই সঙ্গে ঘুরিয়ে বাংলায় কংগ্রেস যে গতবার দুটি মাত্র লোকসভা আসনে জিতেছিল, সে কথাও স্মরণ করিয়ে দিয়েছেন তিনি। বাংলায় কংগ্রেসের সঙ্গে জোট প্রসঙ্গে মমতা বলেছেন, “আমার কোনও সমস্যা নেই। কিন্তু তাদেরও যুক্তিসঙ্গত ভাবে আসতে হবে। বাংলায় তারা মাত্র দুটো আসন জিতেছিল। আমি আলোচনার জন্য রাজি। বাকিটা তাদের ব্যাপার। আমি অন্য কোনও রাজনৈতিক দল সম্পর্কে বলতে পারি না।”

আবার সংসদে ইন্ডিয়া জোটের শতাধিক সাংসদদের সাসপেন্ড হওয়ার ঘটনায় বিজেপির বিরুদ্ধে তীব্র ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন মমতা। এদিকে বাংলায় কংগ্রেস, তৃণমূল ও বামেদের জোট সম্ভব কি না, সে বিষয়ে মুখ্যমন্ত্রী বলেছেন, “প্রথমে মানসিকভাবে তৈরি হতে হবে। নীতিগত সহমত হতে হবে। তার পরেই এগোনো সম্ভব। দু-একটা রাজনৈতিক দল একমত নাও হতে পারে। কিন্তু অধিকাংশ রাজনৈতিক দলই একের বিরুদ্ধে এক ফর্মুলায় আসন সমঝোতায় রাজি। তাতে স্বাভাবিকভাবেই সবাই একসঙ্গে আসবে। রাজনৈতিক মতাদর্শের অমিল ছাড়া আমার কারও বিরুদ্ধে কোনও অভিযোগ নেই। বামেদের একাংশ বিজেপির সঙ্গে কাজ করেছে। কিন্তু তা সত্ত্বেও আমার কোনও প্রতিহিংসামূলক ভাবনা নেই যে, ওদের সঙ্গে চলব না। আমি সবার সঙ্গেই চলতে পারি। এখন কারও সমস্যা থাকলে তার ওষুধ আমার কাছে নেই।”

মুখ্যমন্ত্রী এও বলেছেন, “প্রধানমন্ত্রী কে হবেন! আমরা কোনও মুখ নিয়ে ভাবছি না। ভোটের ফল বেরনোর পর দেখা যাবে কে প্রধানমন্ত্রী হবেন।” কংগ্রেস নিয়ে নেতিবাচক কোনও প্রশ্নেই এদিন জবাব দিতে রাজি হননি মমতা। বরং কংগ্রেস নেত্রী সোনিয়া গান্ধী যতটা সম্ভব চেষ্টা করে যাচ্ছেন বলেই প্রশংসাসূচক মন্তব্য করেছেন।

উল্লেখ্য, সোমবার সন্ধ্যায় মমতার সঙ্গে দেখা করতে যান দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরিওয়াল। দীর্ঘক্ষণ তাঁদের মধ্যে কথা হয়। ইন্ডিয়া বৈঠকের আগে এই বৈঠক তাৎপর্যপূর্ণ। কংগ্রেসের রাজ্যসভার সাংসদ অভিষেক মনু সিংভিও মমতার সঙ্গে এদিন রাতে দেখা করে গিয়েছেন। আবার কাল বুধবার বাংলার বকেয়া টাকার দাবি নিয়ে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির সঙ্গে দেখা করবেন মমতা। তার আগে কেন্দ্রের বিরুদ্ধে ক্ষোভ উগরে দিয়ে তিনি বলেছেন, পার্টি কালারে কেন সরকারি কর্মসূচি! মেজরিটি বলে যা খুশি করবে? গেরুয়া রঙ হল ত্যাগের প্রতীক। কিন্তু এরা তো সব ভোগী। আমার গেরুয়া নিয়ে আপত্তি নেই। আজ ওরা পাওয়ারে আছে, কাল হয়ত থাকবে না। ওরা বিরোধীশূন্য রাজনীতি চালু করতে চাইছে।” বিজেপির সঙ্গে তাঁর লড়াই মতাদর্শের, ব্যক্তিগত নয় বলে জানিয়ে পুরনো বিজেপি নেতাদের প্রশংসাও এদিন মুখ্যমন্ত্রীর মুখে শোনা গিয়েছে।

Stay Connected

Advt.

%d bloggers like this: