মীযান ডেস্ক: পশ্চিমবঙ্গ কলেজ সার্ভিস কমিশন পরিচালিত ২৫তম স্টেট এলিজিবিলিটি টেস্ট (সেট) পরীক্ষাকে কেন্দ্র করে কিছু গুরুতর অভিযোগ উঠেছে। মুর্শিদাবাদে অবস্থিত প্রফেসর সৈয়দ নূরুল হাসান কলেজের এক শিক্ষক লাইভ ভিডিও করে ওই কলেজের অধ্যক্ষের বিরুদ্ধে ঘুসের বিনিময়ে পরীক্ষার্থীদেরকে আলাদা কক্ষ প্রদান করে অসাধু উপায়ে পরীক্ষার ব্যবস্থা করে দেওয়ার মতো বিস্ফোরক অভিযোগ তোলেন। অবশ্য কলেজের অধ্যক্ষ এই অভিযোগ অস্বীকার করে কাগজপত্র-সহ পুলিশের কাছে অভিযোগকারী শিক্ষকের বিরুদ্ধে এফআইআর দায়ের করেছেন।
অন্যদিকে কলেজ সার্ভিস কমিশনের চেয়ারপার্সনের পক্ষ থেকে এক বিবৃতি অনলাইন মাধ্যমে দেখা গেছে, যেখানে পরীক্ষার্থীদের মেডিকেল সার্টিফিকেট অনুযায়ী তাদেরকে আলাদা সিক্ রুমের ব্যবস্থার কথা বলা হয়েছে, যা নাকি পরীক্ষার কো-অর্ডিনেটর এবং পর্যবেক্ষক অনুমোদন করেছিলেন।
এদিকে ছাত্র সংগঠন এসআইও-র রাজ্য সভাপতি সাইদ মামুন বলেন, “পশ্চিমবঙ্গ স্টেট এলিজিবিলিটি টেস্ট (সেট)-এর মতো গুরুত্বপূর্ণ পরীক্ষায় কোনো রকম অন্যায়-অবিচার মেনে নেওয়া যায় না। বিভিন্ন অনলাইন মাধ্যমে পরীক্ষার্থীদের পক্ষ থেকে অভিযোগ এসেছে, পরীক্ষা চলাকালীন শিক্ষক এক্সাম-রুমে ঢুকে কিছু পরীক্ষার্থীকে উত্তর বলে দিচ্ছেন।” এ কথা বলার অপেক্ষা রাখে না যে, এসব যদি সত্যিই ঘটে থাকে তাহলে সকল ছাত্রছাত্রীদের শিক্ষার সমান অধিকারকে লঙ্ঘন করা হবে। একই সঙ্গে রাজ্যের শিক্ষা ব্যবস্থার উপরও চরম প্রশ্ন তুলছে।
সাইদ মামুন আরও বলেন, “সত্য উৎঘাটনে প্রশাসনের পক্ষ থেকে অবিলম্বে স্বচ্ছ ও নিরপেক্ষ তদন্ত চালানো অত্যাবশ্যক। রাজ্যের সকল পরীক্ষার্থীদের অবিচার থেকে রক্ষা করতে এবং পরীক্ষার সঙ্গে যুক্ত সকল প্রতিষ্ঠানকে কলঙ্কিত হওয়া থেকে মুক্ত করতে এই সমস্ত গুরুতর অভিযোগ খতিয়ে দেখে পুঙ্খানুপুঙ্খ তদন্ত করতে হবে। নইলে শিক্ষা ব্যবস্থার ওপর রাজ্যবাসী আস্থা হারিয়ে ফেলবে।” তিনি ছাত্র সমাজের উদ্দেশ্যে দায়িত্ববোধের কথা স্মরণ করিয়ে জানান যে, “অন্যায়ভাবে বা অসাধু উপায়ে পরীক্ষা দিয়ে সামান্য এগিয়ে গেলেও দিনের শেষে আমাদের কৃতকর্মের জবাব আমাদেরকে দিতেই হবে।”
এসআইও শিক্ষায় সমান অধিকার, ন্যায়-বিচার ও মুল্যবোধের জন্য প্রচেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে। এই ঘটনা সহ শিক্ষা সংশ্লিষ্ট সমস্ত বিষয়কে আমরা ঘনিষ্ঠভাবে পর্যবেক্ষণ করছি এবং তদন্তের মাধ্যমে সত্য স্পষ্ট হওয়ার আশা রাখছি।