পুরনো নথিপত্র বেচে ১১৬৩ কোটি আয় কেন্দ্র সরকারের

মীযান ডেস্ক: কথায় বলে, ওল্ড ইজ গোল্ড। কিংবা পুরনো চাল ভাতে বাড়ে। অর্থাৎ কোনও কিছুই ফেলনা নয়। একটা বন্ধ ঘড়িও দিনে দুবার অন্তত সঠিক টাইম দেখায়। এই আপ্তবাক্যকে সত্যি প্রমাণ করল কেন্দ্র সরকার। স্রেফ পুরনো নথি, কাগজপত্র, ফাইলপত্র, ভাঙা মেশিনের মতো আবর্জনা বিক্রি করেই ১১৬৩ কোটি টাকা রোজগার করল কেন্দ্র। এর মধ্যে শুধু গত অক্টোবর মাসেই রোজগার হয়েছে ৫৫৭ কোটি টাকা।

কেন্দ্রের পরিসংখ্যান বলছে, ২০২১ সালের অক্টোবর থেকে পুরনো কাগজপত্র, নথিপত্র, ফাইলপত্র, পুরনো যন্ত্রপাতি, ফার্নিচার ইত্যাদি বেচেই ১ হাজার ১৬৩ কোটি টাকা আয় হয়েছে। গত বছর অক্টোবর মাসে কেন্দ্র সরকারের বিভিন্ন দপ্তরে সাফাই অভিযান শুরু করেছিল মোদি সরকার। সেই এক মাসেই প্রায় সাড়ে পাঁচশো কোটি টাকা রোজগার হয়েছে সরকারের। সূত্র বলছে, গত দু-বছরে স্রেফ ৯৬ লক্ষ পিস ফাইল বিক্রি হয়েছে। তাতে ৩৫৫ লক্ষ বর্গফুট জায়গাও খালি হয়েছে। সেই জায়গাও ব্যবহৃত হয়েছে অন্য কাজে।

আসলে মোদি সরকার দীর্ঘদিন ধরেই সরকারি কাজকর্মে ডিজিটাল করার ওপর জোর দিচ্ছে। অধিকাংশ কাজেই এখন ই-ফাইলের উপর বেশি জোর দেওয়া হচ্ছে। এমনকী বাজেটেও ব্যবহার করা হচ্ছে ট্যাব। অর্থাৎ, সব কিছুরই ডিজিটালাইজেশন হচ্ছে। তাই কাগজপত্র, নথিপত্র, ফাইল ইত্যাদিরর প্রয়োজন ফুরিয়েছে। ফলে বিপুল পরিমাণ ফাইল অকেজো হয়ে যাচ্ছে। সেগুলো বেচেই কোটি কোটি টাকা রোজগার করেছে সরকার।

তাৎপর্যপূর্ণভাবে ভারতের চন্দ্রযান ৩ মিশনে খরচ হয়েছিল ৬০০ কোটির আশেপাশে। আগের চন্দ্রযানেও খরচ হয়েছে একইরকম। সরকারি সূত্রের খবর, স্রেফ পুরনো ফাইলপত্র, যন্ত্রপাতি ইত্যাদি বেচেই দুই চন্দ্রযানের খরচ তুলে নিয়েছে মোদি সরকার।

Stay Connected

Advt.

%d bloggers like this: