মীযান ডেস্ক: পাকিস্তানে ৮ ফেব্রুয়ারি পার্লামেন্ট নির্বাচন। সেই উপলক্ষে বিভিন্ন দলের প্রার্থীরা মনোননয় জমা দিচ্ছেন। কিন্তু অন্য সব দলের প্রার্থীদের মনোনয়নপত্র বৈধ হলেও সাবেক প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান এবং তাঁর নেতৃত্বাধীন পাকিস্তান তেহরিকে ইনসাফের প্রায় ৯৫ শতাংশ প্রার্থীর মনোনয়নপত্র বাতিল করে দিয়েছে সে দেশের নির্বাচন কমিশন। অথচ মনোনয়ন বৈধ হয়েছে সাবেক প্রধানমন্ত্রী নওয়াজ শরীফ, তাঁর ভাই বর্তমান প্রধানমন্ত্রী শাহবাজ শরীফ, মরিয়ম নওয়াজ, বিলাওয়াল ভুট্টো জারদারি প্রমুখ ক্ষমতাসীন জোটের নেতাদের। শনিবার মনোনয়নপত্র বাছাই করে নির্বাচন কমিশন।
এই চাঞ্চল্যকর খবর জানিয়ে অনলাইন জিও নিউজ বলছে, ২৪ ডিসেম্বর ছিল প্রার্থীদের মনোনয়নপত্র জমা দেয়ার শেষ দিন। সব মিলিয়ে ২৮ হাজার মনোনয়নপত্র জমা পড়ে। তা যাচাই-বাছাই করে বাদ পড়েছেন ইমরান খান, শাহ মাহমুদ কুরেশির মতো পিটিআইয়ের শীর্ষ নেতারা। তবে তারা নির্বাচন কমিশনের এই সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে আগামীকাল ৩রা জানুয়ারি পর্যন্ত আপিল করতে পারবেন।
১০ জানুয়ারির মধ্যে নির্বাচন কমিশনের আপিলেট ট্রাইব্যুনালে আপিলের সিদ্ধান্ত হবে। সংশোধিত প্রার্থীদের চূড়ান্ত তালিকা প্রকাশ হবে ১১ জানুয়ারি। তবে পিটিআই আপাতত বড় রকমের ধাক্কা খেয়েছে। কারণ, দলটির প্রতিষ্ঠাতা ও সাবেক প্রধানমন্ত্রী ইমরান খানের দুটি আসনের মনোনয়নপত্রই প্রত্যাখ্যান করেছে নির্বাচন কমিশন। সূত্রের খবর, সব মিলিয়ে ইমরান খানের দলের ৯০ থেকে ৯৫ শতাংশ প্রার্থীর মনোনয়নপত্র বাতিল করা হয়েছে।
উল্লেখ্য, একাধিক দুর্নীতি মামলায় গত আগস্ট থেকে জেলে রয়েছেন ইমরান খান। সাবেক ক্রিকেট তারকাকে দোষী সাব্যস্ত করেছে আদালত। পাকিস্তানের নির্বাচন কমিশন দোষী সাব্যস্ত হওয়ায় তাকে পদ থেকে অযোগ্য বলে ঘোষণা করেছে। এদিকে শেষ খবরে জানা গিয়েছে, ইমরান খান-সহ পিটিআইয়ের প্রায় সব জাতীয় ও প্রাদেশিক নেতাদের মনোনয়নপত্র বাতিল করা হয়েছে।
পিটিআইয়ের মুখপাত্র রওফ হাসান বলেন, রাজনৈতিক হীন উদ্দেশ্যে তাদের দল যেন নির্বাচনে অংশগ্রহণ করতে না পারে সেজন্যই তাদের প্রার্থীদের পাইকারি হারে মনোননয় বাতিল করেছে নির্বাচন কমিশন। তবে তিনি সাফ জানিয়ে দিয়েছেন, কোনো অবস্থাতেই পিটিআই রাজনৈতিক ময়দান ছাড়বে না এবং নির্বাচন বয়কট করবে না। তিনি এও জানান, ক্ষমতাসীনরা যেকোনোভাবে ইমরান খানের দলকে নির্বাচনের ময়দান থেকে দূরে রাখতে চাইছে। আমরা নির্বাচনী লড়াই থেকে পিছু হঠব না। প্রতিটি নির্বাচনী এলাকায় এই সমস্ত সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে আবেদন করব। আমরা সমস্ত সাংবিধানিক, আইনি এবং রাজনৈতিক বিকল্পগুলো ব্যবহার করব।’