ফ্যাসিবাদকে পরাস্ত করতে জনগণকেই সোচ্চার হতে হবে, মালদায় ‘সংবিধান বাঁচাও-দেশ বাঁচাও’ মঞ্চের সমাবেশ থেকে আহ্বান

মীযান ডেস্ক: দেশে লোকসভা নির্বাচন আসন্ন। এই নির্বাচনে দেশের জন্য সবথেকে বড় বিপদ সাম্প্রদায়িক ও ফ্যাসিষ্ট শক্তির পুনরুত্থান। এমতাবস্থায় ফ্যাসিবাদকে পরাস্ত করতে জনগণকেই সোচ্চার হতে হবে বলে মন্তব্য করেন জামাআতে ইসলামী হিন্দের রাজ্য সভাপতি ডা. মসিহুর রহমান সাহেব। ফ্যাসিবাদী শক্তির উত্থান রুখতে মালদা জেলার বিভিন্ন গণসংগঠন সম্মিলিত হয়ে গড়ে তুলেছে ‘সংবিধান বাঁচাও দেশ বাঁচাও মঞ্চ’। সাংবিধানিক মূল্যবোধ ও মানবাধিকার রক্ষা বিষয়ে রবিবার ১০ মার্চ জেলা সমাবেশের আয়োজন করে এই মঞ্চের পক্ষ থেকে। জেলার মঙ্গলবাড়ীতে অনুষ্ঠিত এই সমাবেশে জেলার বিভিন্ন প্রান্ত থেকে প্রায় তিন শতাধিক কর্মী সংবিধান রক্ষার স্বার্থে এই সমাবেশে অংশগ্রহণ করেন।

‘সংবিধান বাঁচাও দেশ বাঁচাও মঞ্চ’-এর পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, নাগরিকদের সাংবিধানিক অধিকার আজ বিপন্ন, একইসঙ্গে বিপন্ন দেশের সংবিধান ও গণতান্ত্রিক কাঠামো। বর্তমান সংবিধান বাতিল করার অপপ্রয়াস চালিয়ে যাচ্ছে এই ফ্যাসিষ্ট সরকার। ‘এক দেশ-এক আইন-এক নির্বাচন’ স্লোগান হল এরই বহিঃপ্রকাশ। ঘৃণা ও বিদ্বেষ ছড়িয়ে একাজ হাসিল করতে মরিয়া চেষ্টা চালাচ্ছে এই অশুভ শক্তি। দেশের শাসন ক্ষমতা ছলে-বলে-কৌশলে পুনরায় দখল করার লক্ষ্যে এই ফ্যাসিষ্ট শক্তি মিথ্যা গাল-গল্পের বন্যা বইয়ে দিচ্ছে। তার থেকেও বড় বিপদ হল পৃথিবীর বৃহত্তম গণতন্ত্রের রক্ষাকবচ সংবিধানকেও তারা বদলে দেওয়ার অপচেষ্টা চালাচ্ছে।

সমাবেশের সভাপতি ডা. মসিহুর রহমান সাহেব আরও বলেন, ‘আসন্ন লোকসভা নির্বাচনে সাম্প্রদায়িক ফ্যাসিবাদী সরকারকে পরাস্ত করতে সক্ষম প্রার্থীকে আগামী নির্বাচনে সমর্থন করার জন্য জনগণকে সচেতন করার লক্ষ্যে আজকের এই সমাবেশ’। এদিনের সমাবেশে উপস্থিত বন্দি মুক্তি কমিটির সম্পাদক ছোটন দাস বলেন, ‘আসন্ন নির্বাচন আমাদের জন্য সাম্রাজ্যবাদী শক্তির বিরুদ্ধে স্বাধীনতা লড়াইয়ের সমতুল্য। এই শক্তি দেশের সমস্ত বিরোধী মতকে রাষ্ট্রদ্রোহী তকমা দিয়ে জেলে পুরছে। আমরা চাই সকল রাজনৈতিক বন্দিদের নিঃশর্ত মুক্তি’।

এছাড়াও এই মহতী সমাবেশে অংশগ্রহণ করেন জমিয়তে উলামায়ে হিন্দ, জমিয়তে আহলে হাদীস, জামাআতে ইসলামী হিন্দ, আহলে সুন্নাত ওয়াল জামাত, শেরশাবাদিয়া বিকাশ পরিষদ-সহ মঞ্চের অংশগ্রহণকারী আরও অন্যান্য সংগঠনের নেতা-কর্মীরা।

Stay Connected

Advt.

%d bloggers like this: