মীযান ডেস্ক: ফিলিস্তিনের গাজা উপত্যকায় হামাসের বিরুদ্ধে ইসরায়েলের যুদ্ধকে ‘মানবতার সঙ্গে বিশ্বাসঘাতকতা’ বলে অভিহিত করেছেন রাষ্ট্রসংঘের মানবিক প্রধান এবং আন্ডার সেক্রেটারি জেনারেল মার্টিন গ্রিফিথস। শনিবার এক বিবৃতিতে তিনি এই বিস্ফোরক মন্তব্য করেন।
উল্লেখ্য, গতবছর ৭ অক্টোবর গাজা যুদ্ধের শুরুয়াত করেছিল ইসরাইল। যার ছয় মাস পূর্ণ হয়েছে গতকাল রবিবার। আগের দিনও মার্টিন গ্রিফিথস এক বিবৃতিতে মধ্যপ্রাচ্যে যুদ্ধ থামাতে সম্মিলিত সংকল্পের আহ্বান জানান। এই মর্মে তিনি বলেন, প্রতিদিন এই যুদ্ধে আরও বেশিসংখ্যক সাধারণ মানুষ নিহত হচ্ছেন। পাশাপাশি যাঁরা এই যুদ্ধে নিহত, আহত ও জিম্মি হয়েছেন, তাঁদের পরিবারের প্রতি তিনি সহানুভূতি জানান।
ইসরায়েলের পরিসংখ্যান অনুযায়ী, গতবছর ৭ অক্টোবর হামাসের তরফে প্রথম হামলায় ১১৭০ জন নিহত হন। সেদিন ২৫০ জনকে জিম্মি করে গাজায় নিয়ে যাওয়া হয়। জবাবে ৭ অক্টোবর থেকেই গাজায় সামরিক হামলা বা যুদ্ধ শুরু করে ইসরায়েল। অন্যদিকে, হামাসের স্বাস্থ্য মন্ত্রকের তথ্যমতে, গত ৬ মাসে ইসরাইলি হামলায় ৩৩ হাজারেরও বেশি গাজাবাসী নিহত হয়েছেন, যাদের অধিকাংশই নারী ও শিশু।
কিন্তু বিভিন্ন মহল থেকে প্রশ্ন উঠছে, রাষ্ট্রসংঘ সহ বিভিন্ন আন্তর্জাতিক সংস্থা গাজা যুদ্ধের জন্য ইসরাইলকে দায়ী করছে, তোপ দাগছে, ভর্ৎসনা করছে, ক্ষোভ ও উদ্বেগ প্রকাশ করছে। আর এসবের মধ্যেই তারা তাদের দায়িত্ব খালাস করছে। তারা কিন্তু সত্যিকার অর্থে দায়িত্ব পালন করছে না। এরা সবাই বিভিন্ন সময় ইসরাইলকে যুদ্ধাপরাধী, সন্ত্রাসবাদী, আগ্রাসী, গণহত্যাকারী ইত্যাদি বিভিন্ন কথা বলছে এবং সর্বোপরি ইসরাইলের বিরুদ্ধে প্রস্তাব গৃহীত হচ্ছে। কিন্তু তারপরেও সবাইকে বুড়ো আঙুল দেখিয়ে বা কাউকে তোয়াক্কা না করে অবাধে গাজা তথা মধ্যপ্রাচ্যে ধ্বংসলীলা, আগ্রাসণ, নৃশংসতা, বর্বরতা, গণহত্যা চালিয়েই যাচ্ছে। তাহলে রাষ্ট্রসংঘ বা তাদের মতো গালভরা নামওয়ালা আন্তর্জাতিক প্রতিষ্ঠান বা সংস্থাগুলো থাকার প্রয়োজন বা যৌক্তিকতা কতটা?