মীযান ডেস্ক: এবার ৮০ দিনের মাথায় মাধ্যমিকের ফল প্রকাশ হল ২ এপ্রিল বৃহস্পতিবার। পরীক্ষা শুরু হয়েছিল ২ ফেব্রুয়ারি। শেষ হয় ১২ ফেব্রুয়ারি। এবারও মেধাতালিকায় জেলার জয়জয়কার। প্রথম দশে থাকা ৫৭ জনের মধ্যে মাত্র একজন কলকাতার। মধ্যশিক্ষা পর্ষদের সভাপতি রামানুজ গঙ্গোপাধ্যায় জানান, এবার পরীক্ষায় নাম নথিভুক্ত করেছিল ৯,২৩,৬৩৬ জন। পরীক্ষা দিয়েছিল ৯,১০,৫৯৮ জন। এর মধ্যে ৪,০৩,৯০০ ছাত্র এবং ৫,০৮,৬৯৮ ছাত্রী। এবার পাশের হার বেড়ে হয়েছে ৮৬.৩১ শতাংশ। ২০২৩ সালে ছিল ৮৬.১৫ শতাংশ। চলতি বছর মাধ্যমিকে মোট উত্তীর্ণ হয়েছেন ৭,৬৫,২৫২ জন। রাজ্যে প্রথম হয়েছেন কোচবিহার জেলার রামভোলা হাই স্কুলের ছাত্র চন্দ্রচূড় সেন। প্রাপ্ত নম্বর ৬৯৩ (৯৯ শতাংশ)। দ্বিতীয় পুরুলিয়া জেলা স্কুলের সাম্যপ্রিয় গুরু, প্রাপ্ত নম্বর ৬৯২ ( ৯৮.৯৬ শতাংশ)। তৃতীয় হয়েছেন ৩ জন। এদের প্রাপ্ত নম্বর ৬৯১ (৯৮.৭১ শতাংশ)। চতুর্থ হুগলির কামারপুকুরের রামকৃষ্ণ মিশন মাল্টিপারপাস স্কুলের তপজ্যোতি মণ্ডল, ৬৯০ (৯৮. ৫৭ শতাংশ)। পঞ্চম পূর্ব বর্ধমানের পারুলডাঙ্গা নসরতপুর হাই স্কুলের অর্ঘ্যদীপ বসাক, ৬৮৯ (৯৮.৪৩ শতাংশ)। ষষ্ঠ মালদহের মোজামপুর হাইস্কুলের (টার্গেট পয়েন্ট স্কুল) মহম্মদ শাহাবুদ্দিন আলি সহ মোট চারজন। তাদের প্রাপ্ত নম্বর ৬৮৮ (৯৮.২৯ শতাংশ)। সপ্তম হয়েছেন কোচবিহারের মাথাভাঙা হাইস্কুলের ছাত্র আসিফ কামাল সহ মোট ৭ জন। প্রাপ্ত নম্বর ৬৮৭ (৯৮.১৭ শতাংশ)। অষ্টম হয়েছেন চার জন। তাদের প্রাপ্ত নম্বর ৬৮৬ (৯৮ শতাংশ)। নবম স্থানে মালদহের মোজামপুর হাই স্কুলের (টার্গেট পয়েন্ট স্কুল) আমিনুল ইসলাম সহ মোট ১৫জন। প্রাপ্ত নম্বর ৬৮৫ (৯৭.৮৬ শতাংশ)। দশম স্থানে রয়েছেন ১৫ জন। প্রাপ্ত নম্বর ৬৮৪ (৯৭.৭১ শতাংশ)। অন্য বারের মতোই এবারও পাশের হারে কলকাতাকে টেক্কা দিল জেলা। পাশের হারের নিরিখে প্রথমে রয়েছে কালিম্পং, দ্বিতীয় পূর্ব মেদিনীপুর। তৃতীয় কলকাতা। জেলার ছেলেমেয়েরা শুধু মেধা তালিকায় স্থান করে নিচ্ছে এমন নয়; পাশাপাশি পাশের হারেও তারাই শীর্ষে। ছবিতে চন্দ্রচূড় সেন। রাজ্য মেধা তালিকায় ৩ মুসলিম মীযান ডেস্ক: এবার মাধ্যমিকে রাজ্য মেধা তালিকায় প্রথম দশে নাম এসেছে তিনজন মুসলিম পরীক্ষার্থীর। যদিও অন্যান্য বছরের তুলনায় এবার এই সংখ্যা অনেক কম। রাজ্যে মুসলিমদের মধ্যে প্রথম হয়েছেন মোহাম্মদ সাহাবুদ্দিন আলি। মালদহ জেলার কালিয়াচকের মোজামপুর হাইস্কুল (টার্গেট পয়েন্ট স্কুল) থেকে সে পরীক্ষা দিয়েছিল। রাজ্য মেধা তালিকায় তার নাম রয়েছে ষষ্ঠ স্থানে। তার প্রাপ্ত নম্বর ৬৮৮ বা ৯৮.২৯ শতাংশ। সপ্তম হয়েছেন কোচবিহারের মাথাভাঙা হাইস্কুলের ছাত্র আসিফ কামাল সহ মোট ৭ জন। প্রাপ্ত নম্বর ৬৮৭ (৯৮.১৭ শতাংশ)। নবম স্থানে মালদহের মোজামপুর হাইস্কুলের (টার্গেট পয়েন্ট স্কুল) আমিনুল ইসলাম সহ মোট ১৫জন। প্রাপ্ত নম্বর ৬৮৫ (৯৭.৮৬ শতাংশ)। উল্লেখ্য, এবার রাজ্যে সংখ্যালঘু মুসলিম পরীক্ষার্থীদের পাশের হারে ৮৫.৮৬ শতাংশ ছাত্র এবং ৭৪.২৫ শতাংশ ছাত্রী। এবার মুসলিম পরীক্ষার্থী ছিল ২ লক্ষ ৬২ হাজার ৬৫০ জন। যা রাজ্যে মোট পরীক্ষার্থীর ২৮.৮৪ শতাংশ।