ভোটে হেরেও একের পর এক মন্ত্রী, উলোটপুরাণ এনডিএ’তে, গুসসায় ফেটে পড়ছেন জয়ী বিজেপি সাংসদরা

মীযান ডেস্ক: বিজেপি আগের দুবারই ম্যাজিক ফিগার ছাপিয়ে চলে গিয়েছিল। এবার কিন্তু একক সংখ্যাগরিষ্ঠতা পায়নি। ২০১৪ সালে পেয়েছিল ২৮২ এবং ২০১৯ সালে পেয়েছিল ৩০৩ আসন। এবার পেয়েছে ২৪০ আসন। তাই এবার নতুন করে একঝাঁক শরিক নিয়ে জোট সরকার গড়তে হয়েছে নরেন্দ্র মোদিকে। আর এজন্য শুরু থেকেই বিস্তর ঝামেলা পোহাতে হচ্ছে গেরুয়া শিবিরকে। শরিক দলগুলোকে সরকারে শামিল করতে গিয়ে নিজেদের দলের জেতা ও যোগ্য সাংসদদের ছেঁটে ফেলতে হয়েছে। যেমন হিমাচল প্রদেশ থেকে পাঁচবারের জয়ী সাংসদ অনুরাগ ঠাকুর মন্ত্রিত্ব পাননি। আবার হেরে গিয়ে মন্ত্রি হতে পারেননি স্মৃতি ইরানি বা রাজীব চন্দ্রশেখর। কিন্তু হেরেও মন্ত্রী হয়েছেন পাঞ্জাবের রভনীত সিং বিট্টু ও এল মুরুগান। নরেন্দ্র মোদির নতুন এনডিএ সরকারে ২০ জন পুরনো মন্ত্রী বাদ পড়েছেন। এর মধ্যে ৫ জন অবশ্য নির্বাচনে টিকিটই পাননি। আর ১১ জন লড়েও হেরে গিয়েছেন। বাকি চারজন জিতলেও মন্ত্রিত্বের শিকে ছেঁড়েনি কপালে।

উল্লেখ্য, এবার ‘হেরো’ মন্ত্রীদের মধ্যে সবথেকে বড় ব্যবধানে পরাস্ত হয়েছেন স্মৃতি ইরানি। গতবার তথ্য সম্প্রচারের মতো গুরুত্বপূর্ণ দফতরের মন্ত্রী ছিলেন অনুরাগ ঠাকুর। এবারও জিতেছেন। কিন্তু মন্ত্রিত্ব পাননি। বিজেপি সূত্রে খবর, হিমাচল থেকে জে.পি নাড্ডা মন্ত্রী হওয়ায় অনুরাগের উপর কোপ পড়েছে। বিহার থেকে এবার আটজন মন্ত্রী হয়েছেন। কিন্তু বিজেপির দুই উচ্চশিক্ষিত বর্ষীয়ান নেতা রবিশঙ্কর প্রসাদ ও রাজীবপ্রতাপ রুডি বাদ পড়েছেন। দু’দশকেরও বেশি সাংসদ রবিশঙ্কর এবারও পাটনা থেকে বড় ব্যবধানে জিতেছেন। একইভাবে পাঁচবারের সাংসদ রাজীবপ্রতাপও সারণ আসন থেকে জিতেছেন। এই দুজনকে অবশ্য গতবারই বাদ দেন মোদি।গুজরাতের পুরুষোত্তম রুপালা মোদির প্রথম ও দ্বিতীয় সরকারে মন্ত্রী থাকলেও এবার তাঁকে মন্ত্রী করা হয়নি। ২০২১ সালে মন্ত্রী হন মহারাষ্ট্রের বর্ষীয়ান নেতা নারায়ণ রাণে। এবার জিতলেও তাঁকে আর মন্ত্রী করা হয়নি।

লোকসভা নির্বাচনের প্রাক্কালে কংগ্রেস ছেড়ে বিজেপিতে যোগ দিয়ে পঞ্জাবের লুধিয়ানা থেকে প্রার্থী হয়ে পরাস্ত হলেও রভনীত সিং বিট্টুকে মন্ত্রী করা হয়েছে। উল্লেখ্য, পঞ্জাব থেকে একটি আসনও পায়নি বিজেপি। তামিলনাড়ুর প্রাক্তন বিজেপি সভাপতি এল মুরুগান পরাজিত হয়েও মন্ত্রী হলেন। এবারই প্রথম কেরলে একটি আসনে জিতেছে বিজেপি। জয়ী প্রার্থী সুরেশ গোপীকে মন্ত্রী করার পাশাপাশি রাজ্যে দলের সাধারণ সম্পাদক জর্জ কুরিয়নকেও মন্ত্রী করেছে পদ্মশিবির। যদিও নির্বাচনে প্রার্থী ছিলেন না কুরিয়ন। এমতাবস্থায় দক্ষ-যোগ্য-অভিজ্ঞ নেতারা জিতেও মন্ত্রিত্ব না পেয়ে ফুঁসছেন।

Stay Connected

Advt.

%d bloggers like this: