মীযান ডেস্ক: স্টুডেন্টস ইসলামিক অর্গানাইজেশন অফ ইন্ডিয়া (এসআইও) সোমবার নয়াদিল্লিতে প্রেস ক্লাব অফ ইন্ডিয়াতে NEET (UG) 2024 পরীক্ষায় অসঙ্গতি এবং পক্ষপাতের অভিযোগকে সামনে রেখে এক সাংবাদিক সম্মেলন করে। এই বিষয়গুলি বিবেচনা করে এসআইও অফ ইন্ডিয়া ভারতের সুপ্রিম কোর্টে একটি জনস্বার্থ মামলা দায়ের করেছে। NEET-এর কাউন্সেলিং বন্ধ রেখে একটি বিশেষ তদন্তকারী দল (SIT) এর মাধ্যমে ন্যাশনাল টেস্টিং এজেন্সি (NTA) দ্বারা পরিচালিত সমগ্র প্রক্রিয়ার তদন্ত করে ন্যায়বিচার চেয়েছে। এসআইও-র সর্বভারতীয় সম্পাদক ড. রওশন মহিউদ্দীন এনটিএ-র বিজ্ঞপ্তি থেকে শুরু করে NTA-এর কাজের ধরন-সহ ধারাবাহিক বিভিন্ন ঘটনা সম্পর্কে উদ্বেগ প্রকাশ করে বলেন, ১৫ দিন সময় দেওয়ার পরও গত ৯ এপ্রিল হঠাৎ করে রেজিস্ট্রেশন পোর্টাল খুলে দেওয়ায় অনিয়মের প্রশ্ন ওঠে। এছাড়াও বিহারে পেপার ফাঁস এবং গুজরাট ও নয়ডায় পক্ষপাতের সাম্প্রতিক ঘটনাগুলির ফলে গ্রেপ্তার ইত্যাদি ঘটনার জেরে এই সর্বভারতীয় পরীক্ষার ন্যায্যতা এবং সমতার উপর আস্থা নষ্ট হয়েছে। এখানেই শেষ নয়, এমনকি 'গ্রেস’ নম্বর দেওয়ায় স্বচ্ছতা এবং জবাবদিহিতার বিষয়ে গভীর উদ্বেগ উত্থাপন করে। যদিও NTA দাবি করে, এই নম্বরগুলো 'সময় কমে যাওয়ার' কারণে দেওয়া হয়েছে; কিন্তু তারা এই 'সময় কমে যাওয়া' নির্ধারণের জন্য কোনও মানদণ্ড এবং পদ্ধতিকে নথিভুক্ত করতে বা স্বচ্ছভাবে ব্যাখ্যা করতে ব্যর্থ হয়েছে। আবার বিস্তারিত বিবরণীতে কোনো তথ্য প্রদান না করেই ক্ল্যাট (CLAT) পরীক্ষা সংক্রান্ত ২০১৪ সালের সুপ্রিম কোর্টের রায়ের উদ্ধৃতিটি টুইট করা হয়। এই সম্পূর্ণ প্রক্রিয়াটিকে গভীর সন্দেহ সৃষ্টি করে। যেকোনভাবে সাফাই দেওয়ার এই প্রচেষ্টা একরকম গুরুতর ত্রুটি বা কারসাজি লুকানোর একটি অপচেষ্টা বলে মনে হচ্ছে। যাহোক, -২০ থেকে ৭২০ পর্যন্ত ‘গ্রেস’ মার্কস বরাদ্দের পিছনে যুক্তি অস্পষ্টই রয়ে গেছে। পূর্ব ঘোষণা ছাড়াই ১৬০০ জন পরীক্ষার্থীর জন্য ‘গ্রেস’ নম্বর বরাদ্দ করা, NTA-এর ভঙ্গুর ব্যবস্থাপনার উপর সন্দেহ সৃষ্টি করে দেয়। এছাড়াও, সদস্যদের পরিচিতি গোপন রেখে একটি উচ্চ পর্যায়ের কমিটি গঠন করা, নিরপেক্ষতা এবং সততা সম্পর্কে গুরুতর প্রশ্ন তোলে। এসআইও-র জাতীয় সম্পাদক আবদুল্লাহ ফয়েজ, এবছর সাধারণ শ্রেণির ছাত্রদের জন্য অত্যন্ত কম কোয়ালিফিকেশন স্কোরকে বিশেষভাবে তুলে ধরেছেন। তিনি এই ইস্যুটিও তুলে ধরেছেন যে, অভূতপূর্ব সংখ্যক নিখুঁত স্কোরের রিপোর্ট উঠে এসেছে। চিন্তার বিষয় এই যে, শীর্ষ ৬৭ জনের মধ্যে ৮ জন হরিয়ানার একই কেন্দ্র থেকে পরীক্ষা দিয়েছে। একটি কেন্দ্রে শীর্ষস্থানীয়দের এই অসামঞ্জস্যপূর্ণ উপস্থিতি পরীক্ষা প্রক্রিয়ার স্বচ্ছতা ও নিরপেক্ষতা নিয়ে গুরুতর প্রশ্ন উত্থাপন করে। এছাড়াও তিনি বলেন, পুরো ঘটনাকাল জুড়ে ছাত্র-ছাত্রীদের মানসিক স্বাস্থ্যের উপর প্রভাব পড়ছে। ফলাফল প্রকাশের পরে এক ছাত্রীর সাম্প্রতিক আত্মহত্যা দুঃখজনকভাবে এই যন্ত্রণাকে তুলে ধরেছে। তিনি আরও নিশ্চিত করেছেন যে, এসআইও ক্ষতিগ্রস্ত ছাত্র এবং তাদের পরিবারের পাশে থাকবে, যতক্ষণ না এই জটিল সমস্যাগুলির ন্যায়বিচার এবং সমাধান হচ্ছে।