ইরানের নয়া প্রেসিডেন্ট হৃদরোগ বিশেষজ্ঞ ডা. মাসুদ পেজেশকিয়ান

মীযান ডেস্ক: ইরানের নতুন প্রেসিডেন্ট হিসেবে নির্বাচিত হলেন মধ্যপন্থী ও সংস্কারপন্থী বলে পরিচিত ডা. মাসুদ পেজেশকিয়ান। গতকাল শুক্রবার ৫ জুলাই দ্বিতীয় দফার ভোটে সাইদ জালিলি পরাজিত হয়েছেন। দেশটির স্বরাষ্ট্র মন্ত্রক বলছে, তিন কোটির বেশি ভোট গণনা হয়েছে। এর মধ্যে মাসুদ পেজেশকিয়ান প্রায় ৬০ শতাংশ ভোট পেয়েছেন। ইরানে আগামী বছর জুনে প্রেসিডেন্ট নির্বাচন হওয়ার কথা ছিল। কিন্তু গত ১৯ মে প্রেসিডেন্ট ড. ইব্রাহিম রাইসি হেলিকপ্টার দুর্ঘটনায় মারা গেলে রাষ্ট্রপ্রধান পদ শূন্য হয়ে পড়ে। তাই আগাম নির্বাচন হল।

গত ২৮ জুন প্রথম দফার ভোটে কোনো প্রার্থীই ৫০ শতাংশের বেশি ভোট না পাওয়ায় নিয়ম অনুযায়ী দ্বিতীয় দফার ভোট হল। প্রথম দফার ভোটে প্রথম ও দ্বিতীয় অবস্থানে থাকা মাসুদ পেজেশকিয়ান ও সাইদ জালিলি দ্বিতীয় দফায় প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেন। প্রথম দফায় ৪২ শতাংশ ভোট পেয়েছিলেন পেজেশকিয়ান। আর ৩৯ শতাংশ পেয়েছিলেন জালিলি। এবার পেজেশকিয়ান পেয়েছেন ১ কোটি ৬৩ লাখ ৮৪ হাজার ৪০৩ ভোট। পরমাণু বিশেষজ্ঞ ড. সাঈদ জালিলির পেয়েছেন ১ কোটি ৩৫ লাখ ৩৮ হাজার ১৭৯।

১৯৭৯ সালে ইরানে ইসলামী বিপ্লব সফল হওয়ার পর থেকে এটা নবম প্রেসিডেন্ট নির্বাচন হল। প্রথম দফায় ৬ কোটি ১০ লাখ ভোটারের মধ্যে মাত্র ৪০ শতাংশ ভোট দিয়েছিলেন। যা এ যাবৎকালের মধ্যে সবচেয়ে কম। দ্বিতীয় দফায় ৪৯.৮ শতাংশ ভোট পড়েছে। প্রথম দফায় আরও দুজন প্রার্থী ছিলেন। তাঁরা হলেন পার্লামেন্টের স্পিকার মোহাম্মদ বাখের কলিবাফ এবং মোস্তফা পুরমোহাম্মদি।

সংক্ষিপ্ত জীবনপঞ্জী:

হৃদ্‌রোগ বিশেষজ্ঞ ও সার্জন ডা. মাসুস পেজেশকিয়ানের বয়স ৬৯ বছর। ১৯৫৪ সালে জন্ম। ২০০৮ সাল থেকে তিনি সাংসদ রয়েছেন। সাবেক দুই প্রেসিডেন্ট মোহাম্মদ খাতামি ও হাসান রুহানিরও সমর্থন পেয়েছেন তিনি। ইরানের নবম প্রেসিডেন্ট হিসেবে নির্বাচিত হলেন প্রাক্তন স্বাস্থ্যমন্ত্রী (২০০১-২০০৫) পেজেশকিয়ান। এছাড়া ইরানের দশম পার্লামেন্টে ডেপুটি স্পিকার ছিলেন।

Stay Connected

Advt.

%d bloggers like this: