মীযান ডেস্ক: বর্ধমানের বড়শুলে অনুষ্ঠিত হল দাওয়াতি ইফতার মজলিস। স্থানীয় অমুসলিম ভাইদের নিয়ে এই মহতী ইফতার মজলিস আয়োজন করা হয়। মূলত হিন্দু ও মুসলিম সম্প্রদায়ের মধ্যে ক্রমবর্ধমান দূরত্ব ও ভেদাভেদ দূরীকরণ এবং সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি প্রতিষ্ঠার লক্ষ্যকে সামনে রেখে এই মহতী অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। সর্বভারতীয় ইসলামী সংগঠন জামাআতে ইসলামী হিন্দের বড়শুল শাখার উদ্যোগে এই ইফতার মজলিসের আয়োজন করা হয়। ছোট এবং সংক্ষিপ্ত পর্যায়ের হলেও এই অনুষ্ঠানে আগত অতিথিদের মন জয় করতে সক্ষম হয়েছে। ইফতার সম্পন্ন হওয়ার পর মাগরিবের নামায দেখার সুযোগ করে দেয়া হয় আমন্ত্রিত অমুসলিম অতিথিদের সামনে।
নামাযের পর সংক্ষিপ্ত বক্তব্য রাখেন জামাআতে ইসলামী হিন্দের পূর্ব বর্ধমান জেলা সভাপতি শেখ তাহেরউদ্দিন। তিনি বলেন, আমরা হিন্দু-মুসলিম যাই হই না কেন, আমরা প্রত্যেকে রক্তের সম্পর্কে ভাই ভাই। আজকে দুঃখের সঙ্গে বলতে হয়, না আমরা মুসলিমরা আপনাদেরকে আমাদের সম্পর্কে জানার সুযোগ দিয়েছি; আর না আপনারা হিন্দুরা আমাদেরকে আপনাদের সম্পর্কে জানার সুযোগ দিয়েছেন। এর ফলেই সমাজে বিচ্ছিন্নতা সৃষ্টির সুযোগ পেয়েছে বিভেদকামী অশুভশক্তি। আসুন আমরা একে অপরকে জানি। আপনাদের কাছে যা আছে, বেদ পুরাণ, ত্রিপিটক, জেন্দাবেস্তা – আমাদেরকে দিন আমরা পড়ি। আমাদের কোরআন, হাদীস, নবীজীবনী ইত্যাদি আপনারা নিন, পড়ুন। বিভিন্ন গল্পের মাধ্যমে তিনি বোঝানোর চেষ্টা করেন যে, না জেনে যে কোন সিদ্ধান্ত অনেক মারাত্মক বিপদ ডেকে আনে। তাই আমাদের পরস্পরকে জানা অত্যন্ত জরুরী।
তাঁর বক্তব্য আমন্ত্রিত অতিথিদের চিন্তার জগতে ব্যাপক প্রভাব সৃষ্টি করেছে, যা তাদের অভিব্যক্তি থেকে স্পষ্ট। সকল আমন্ত্রিত ও অমুসলিম বন্ধুরা এই উদ্যোগের ভূয়সী প্রশংসা করেন। এ ধরনের প্রোগ্রাম আরো বেশি বেশি হওয়া দরকার বলে তারা মত প্রকাশ করেন। অনুষ্ঠান শেষে আমন্ত্রিত অতিথিদের হাতে ইসলাম বিষয়ক বই-পুস্তক তুলে দেওয়া হয়।
