প্রখর রোদ্দুর থেকে ধরিত্রীকে বাঁচাতে মহাকাশে ছাতা বা সামিয়ানা খাটাবেন বিজ্ঞানীরা

মীযান ডেস্ক: কথায় বলে, বর্ষাকালে ছাতা আর শীতকালে কাঁথা। তবে কাঁথা কেবল শীতে লাগলেও ছাতা কিন্তু গ্রীষ্ণ এবং বর্ষা উভয় মরশুমেই অপরিহার্য। বৃষ্টিতে মাথা-শরীর যাতে না ভেজে সেজন্য যেমন ছাতা লাগে, তেমনই খুব রোদেও ছাতা লাগে। বিশ্বজুড়ে উষ্ণায়নের প্রভাবে পৃথিবীর গায়ে ইদানীং খুব বেশি রোদ লাগছে। যার থেকে বাড়ছে গরম। পুড়ে যাচ্ছে ভূপৃষ্ঠ। ফেটে যাচ্ছে চাষের জমি, জ্বলে যাচ্ছে মাঠের ফসল, শুকিয়ে যাচ্ছে নদীনালা। এই প্রখর রোদ্দুর ও তার দাবদাহ থেকে মানুষকে একটু স্বস্তি দিতে এবার মহাকাশে ছাতা লাগাচ্ছেন বিজ্ঞানীরা। মহাকাশ ও পরিবেশ বিজ্ঞানীরা বলছেন, এভাবে পৃথিবীর গায়ে দীর্ঘকাল ধরে চড়া রোদ পড়তে থাকলে গোটা বিশ্ব তেতে-পুড়ে খাক হয়ে যেতে খুব বেশি দেরি লাগবে না। তাই রোদ্দুরের দাপট কমাতে মহাকাশে ছাতা বা সামিয়ানা খাটানোর মতো অভিনব পথে হাঁটছেন বিজ্ঞানীরা।

রোদ মানে হল সূর্যের আলো এবং তাপ। তাই মূলত সূর্যের আলোকেই ঢাকতে হবে। যাতে পৃথিবীতে উত্তাপ কম এসে পড়ে। সেজন্য সূর্য আর পৃথিবীর মাঝে ছাতা লাগানোর পরিকল্পনা করছেন বিজ্ঞানীরা। উষ্ণায়নের দাপট কমাতে এর বিকল্প কিছু আপাতত নেই বলেই দাবি তাঁদের। সূর্যের তীব্র রশ্মি যদি ছাতার মধ্য দিয়ে পৃথিবীপৃষ্ঠে এসে পড়ে তাহলে তার উত্তাপ ও তেজ অনেকটাই নিঃস্পৃহ হয়ে যাবে। তাতে পৃথিবী কিছুটা হলেও রক্ষা পাবে।

স্যার ইসভান জাপুদি নামে হাওয়াই বিশ্ববিদ্যালয়ের ইন্সটিটিউট অফ অ্যাস্ট্রোনমি-র এক মহাকাশ বিজ্ঞানী এই অভিনব উপায়ের প্রস্তাব দিয়েছেন বা পথ বাতলেছেন। যা বিশ্বের তাবড় বিজ্ঞানীদের মনে ধরেছে। তাই এই পথেই এগোতে চাইছেন তাঁরা। এজন্য অবশ্য যে বিশাল আয়োজন প্রয়োজন তা কিন্তু পৃথিবী থেকে মহাকাশে পাঠানো সম্ভব নয়। কারণ, তার ওজন অনেক বেশি হবে। তাই অত্যাধুনিক প্রযুক্তি কাজে লাগিয়ে অনেক হাল্কা উপাদানের ছাতাজাতীয় মহাকাশে পাঠানো হবে। যা চারিদিক থেকে দড়ির মত বাঁধা থাকবে। আর তার কাউন্টার ওয়েটের কাজটা করে দেবে অন্য গ্রহাণু।

এই ছাতার পুরো ডিজাইন নিয়ে এখন যুদ্ধকালীন তৎপরতায় কাটাছেঁড়া চলছে। তবে যে অভিনব ভাবনা স্যার জাপুদি উপহার দিলেন তা যদি বাস্তবায়িত করা সম্ভব হয় তাহলে উষ্ণায়নের দুচিন্তা অনেকটা কমবে বৈকি। উল্লেখ্য, আগেও এমন ছাতা নিয়ে ভাবা হয়েছিল। কিন্তু তা এতটাই ভারী হচ্ছিল যে তা মহাকাশে পাঠানোর উপায় ছিল না। স্যার জাপুদি তাঁর গবেষণায় অনেক হাল্কা ও নবতম প্রযুক্তি ব্যবহারের সুলুক সন্ধান দিলেন।

Stay Connected

Advt.

%d bloggers like this: