পানি সংকটে ফুটিফাটা জমিন, মরুভূমির চেহারা নিচ্ছে পৃথিবী, বিলাসিতায় ভাসছে উন্নত দেশগুলো

মীযান ডেস্ক: ক্রমবর্ধমান জলের চাহিদা, উষ্ণায়ন ও জলবায়ু সংকটের ফলে তীব্র পানি সংকটের মুখোমুখি হতে পারে বিশ্ব। বুধবার প্রকাশিত ওয়ার্ল্ড রিসোর্সেস ইনস্টিটিউটের অ্যাকুয়াডাক্ট ওয়াটার রিস্ক অ্যাটলাস অনুসারে, বিশ্বের জনসংখ্যার এক-চতুর্থাংশের আবাসস্থল ২৫টি দেশ অত্যন্ত উচ্চ পানির চাপের মুখোমুখি হয়। 

এর অর্থ হল দেশগুলো প্রতিবছর তাদের সরবরাহকৃত পানির ৮০ শতাংশ ব্যবহার করে ফেলছে। উষ্ণায়ন ও জলবায়ু সংকটে একদিকে পৃথিবী শুকিয়ে যাচ্ছে, অন্যদিকে বিলাসিতায় ভাসছে আমেরিকা, ইউরোপ, এশিয়া ও মধ্যপ্রাচ্যের অন্তত ২৫টা উন্নত দেশ।

সবচেয়ে বেশি পানি ব্যবহার করা দেশগুলো হলো-বাহরাইন, সাইপ্রাস, কুয়েত, লেবানন, ওমান, কাতার, সংযুক্ত আরব আমিরাত, সৌদি আরব, ইসরাইল, মিসর, লিবিয়া, ইয়েমেন, বতসোয়ানা, ইরান, জর্ডান, চিলি, সান মারিনো, বেলজিয়াম, গ্রিস, তিউনিসিয়া, নামিবিয়া, দক্ষিণ আফ্রিকা, ইরাক, ভারত ও সিরিয়া। 

এদের মধ্যেই আবার সবচেয়ে বেশি পানি ব্যবহার বা অপচয় হওয়া পাঁচটি দেশ হল বাহরাইন, সাইপ্রাস, কুয়েত, লেবানন ও ওমান। ভূগর্ভের পানি শুকিয়ে যাওয়ার মতো ভয়ংকর ঝুঁকির তালিকাতেও শীর্ষে আছে এই পাঁচ দেশ। অর্থাৎ একটা স্বল্পমেয়াদি খরা ওই দেশগুলোকে পানি ফুরিয়ে যাওয়ার ঝুঁকিতে ফেলতে পারে। 

অ্যাকুয়াডাক্ট ওয়াটার রিস্ক ম্যাপ প্রকাশ করে জানিয়েছে, ১৯৬০ এর দশক থেকে বিশ্বজুড়ে পানির চাহিদা দ্বিগুণেরও বেশি বেড়েছে। ২০৫০ সালের মধ্যে সারা বিশ্বে পানির চাহিদা ২০ থেকে ২৫ শতাংশ বাড়বে বলে ধারণা করা হচ্ছে। বিশেষজ্ঞদের কেউ কেউ আবার আশঙ্কা প্রকাশ করে বলছেন, কোনো একদিন পানির জন্যই হয়ত হবে তৃতীয় বিশ্বযুদ্ধ। তাই পানির অপচয় বন্ধ করতে বিশ্ববাসীকে সচেতন হতে হবে। নইলে আচমকাই খতম হয়ে যাবে ভূগর্ভস্থ পানির ভাণ্ডার।

Stay Connected

Advt.

%d bloggers like this: