মীযান ডেস্ক: উত্তর প্রদেশের মুজাফফরনগরে নেহা পাবলিক স্কুলের শিক্ষিকা শ্রীমতী তৃপ্তা ত্যাগী'কে অবিলম্বে গ্রেফতারের দাবিতে মুর্শিদাবাদ জেলার ধূলিয়ানে মানববন্ধন ও মিছিল। এতে নেতৃত্ব দেন ন্যাশনাল ফেডারেশন অফ ইয়ুথ মুভমেন্ট এর সভাপতি শুয়াইব সিটি, ওয়েস্ট বেঙ্গল সলিডারিটি ইউথ মুভমেন্টের রাজ্য সভাপতি ওসমান গনি, সহ-সভাপতি সাবির আহমদ প্রমুখ।
উল্লেখ্য, ওই দিদিমনি ছাত্রদের নিদান দিয়েছিলেন, ক্লাসের মধ্যেই মুসলিম সহপাঠীকে পেটানোর জন্য। দিদিমনির আজ্ঞা মেনে উত্তরপ্রদেশের দ্বিতীয় শ্রেণির ওই পড়ুয়াকে দীর্ঘক্ষণ ধরে সইতে হয়েছিল লাগাতার অত্যাচার ও মারধর। সোশ্যাল মিডিয়ায় নেতিবাচক ভাইরাল হওয়া সেই ভিডিও দেখে শিউরে উঠেছে গোটা দেশ। প্রশ্ন উঠেছে, এখন কেমন আছে সহপাঠীদের হাতে নিগৃহীত সেই ৭ বছরের ছোট্ট পড়ুয়া? জানা যাচ্ছে, খুব একটা ভাল নেই সে। ওই ঘটনার অভিঘাতে রাতে ঘুম আসছে না তার। এমনিতেই শারীরিক আঘাত তো আছেই, তার ওফর মানসিক যন্ত্রণা তাকে কুরে কুরে খাচ্ছে। তাকে মীরাটে নিয়ে যাওয়া হয়েছিল মেডিক্যাল চেকআপের জন্য।
ছেলেটির বাবা জানিয়েছেন, সে খুবই মনমরা হয়ে রয়েছে। রাতে ঘুমোতে পারছে না। এমতাবস্থায় সুস্থ হলে তাকে আর ওই স্কুলে রাখতে রাজি নয় তার পরিবার। তবে যেহেতু সে এখনও মানসিক ভাবে বিপর্যস্ত, তাই এখনই সিদ্ধান্ত না নিয়ে তার অভিভাবকরা অপেক্ষা করবেন।
এদিকে বিতর্কের মুখে পড়ে ওই স্কুল আপাতত বন্ধ রাখা হয়েছে। পরিস্থিতি শান্ত হলে হয়ত ফের চালু হবে। মুসলিম বিদ্বেষী শিক্ষিকাকে স্কুলে রাখা হবে কিনা – এ প্রসঙ্গে মুজফফরনগর প্রাথমিক শিক্ষা অধিকারিক শুভম অধিকারী জানিয়েছেন, পুলিশ কী পদক্ষেপ করে সেটা দেখেই সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।
আহত শিশুটি জানিয়েছে, “নামতা পড়ে স্কুলে যাইনি। তাই ম্যাডামের নির্দেশে সহপাঠীরা আমাকে মারধর শুরু করে। লাথি, কিল, চড়, থাপ্পড় যে যেভাবে ইচ্ছা মেরেছে। গোটা শরীর ব্যাথা হয়ে গেছে আমার।”
এদিকে যোগীরাজ্যের ওই শিক্ষিকা বলেন, আমি একদমই লজ্জিত নই। দুঃখিত বা অনুতপ্ত নই। তারই নির্দেশ অক্ষরে অক্ষরে পালন করে ছাত্ররা তাদের মুসলিম সহপাঠীকে বেদম প্রহার করলেও তৃপ্ত হননি তৃপ্তা ত্যাগী নামে ওই শিক্ষিকা। ছাত্রদের বলেন, আরও জোরে জোরে মারতে হবে!
উল্লেখ্য, তৃপ্তা ত্যাগী প্রথমে দাবি করেছিলেন, ভিডিয়োটি ফেক। তারপর তিনি বিষয়টিকে ‘ছোট সমস্যা’ বলে উড়িয়ে দিয়েছিলেন। পুরো ঘটনাটিকে কেন্দ্র করে পশ্চিমবঙ্গ সহ দেশের বিভিন্ন রাজ্যে প্রতিবাদ-বিক্ষোভ চলছে।
