পার্টিতে বয়সের পাটিগণিত: রাজনীতিতেও ঊর্ধ্বসীমা থাকা উচিৎ: অভিষেক

মীযান ডেস্ক: পার্টিতেও বয়সের পাটিগণিত মানতে হবে। মোদ্দা কথায় এটাই হল তৃণমূল সাংসদ অভিষেকের নয়া স্লোগান। রাজনীতিতেও বয়সের ঊর্ধ্বসীমা থাকা উচিৎ বলে জনমোহিনী ছক্কা হাঁকালেন তৃণমূল কংগ্রেসের সেকেন্ড ইন কমান্ড অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। সাধারণ মানুষের মুখের কথা এভাবেই কেড়ে নিয়ে মাস্টার স্ট্রোক দিলেন ঘাসফুল শিবিরের তরুণ তুর্কী সাংসদ অভিষেক। তাঁর কথায়, একজন ৩০ বছরের ছেলে যে পরিশ্রম করতে পারেন, একজন ৭০-৮০ বছরের প্রবীণ মানুষ তা পারেন না। বয়সের নিরিখে কর্মক্ষমতার সহজ অঙ্কটা এভাবেই সহজ-সরল ভাষায় জানিয়ে দিলেন এ.বি। তিনি মনে করেন, রাজনীতিতেও বয়সের ঊর্ধ্বসীমা থাকা দরকার। প্রবীণরা পরামর্শ-উপদেশ দেবেন, তাঁদের অভিজ্ঞতাকে কাজে লাগানো হবে।

গত কয়েকদিন ধরে তৃণমূলের অন্দরে রাজনৈতিক নেতাদের ‘বয়স’ নিয়ে বিস্তর আলোচনা চলছে। প্রকাশ্যে একাধিক তৃণমূল নেতা বয়স নিয়ে মন্তব্য করেছেন। রাজনৈতিক পরিমণ্ডলে ‘বৃদ্ধতন্ত্রের’ কি অবসান ঘটানো উচিত? এনিয়েও বিতর্ক চলছে জোরকদমে। এই চর্চার মধ্যে সোমবার নিজের মত প্রকাশ করলেন অভিষেক। এক পারিবারিক অনুষ্ঠানে যোগ দিতে উত্তরবঙ্গ রওনা দেবার আগে কলকাতা বিমানবন্দরে দাঁড়িয়ে বলেছেন, রাজনীতি, ডাক্তার, ক্রিকেট, ইঞ্জিনিয়ার সব ক্ষেত্রেই বয়সের ঊর্দ্বসীমা থাকা দরকার। প্রবীণদের অভিজ্ঞতাকে কাজে লাগানো হবে। কিন্তু ৭০, ৭৫, ৮০ বছর বয়সি মানুষের থেকে বেশি পরিশ্রম করতে পারবেন ৩০-৪০-৫০ বছরের মানুষ। অভিষেক স্পষ্ট জানিয়ে দিয়েছেন, প্রবীণ-নবীন সংমিশ্রণে এগোবে তৃণমূল কংগ্রেসের জয়যাত্রা।

অভিষেক এদিন আরও বলেন, ক্ষমতা কুক্ষিগত করে রাখা নয়, নতুন ও যোগ্যদের সুযোগ করে দিতে হবে। মেধা, প্রতিভাকে গায়ের জোরে আটকে রাখা যায় না। যে সমস্ত নেতা লাইমলাইটে আছেন, তাঁদের বুঝতে হবে। যাঁরা যোগ্য, তাঁদের সামনের সারিতে নিয়ে আসতে হবে।

Stay Connected

Advt.

%d bloggers like this: