ডা. মসিহুর রহমান
জননন্দিত মুফাসসিরে কোরআন আল্লামা দিলাওয়ার হোসাইন সাঈদী আজ আমাদের মাঝে নেই। আল্লাহ রব্বুল আলামীন তাঁর এই মহান বান্দাহকে নিজের সান্নিধ্যে ডেকে নিয়েছেন। জালিমের কারাবন্দি থেকে আল্লাহতায়ালা মুক্তি দিয়ে মাওলানাকে তুলে নিলেন। জালিমের ঔদ্ধত্য, অহংকার এবং নির্মম ও নিষ্ঠুর আচরণের ফায়সালা একদিন হবেই। ইসলামী আন্দোলন ও কোরআনের প্রচারের মহান কাজে বাধা ও শত্রুতা সব যুগেই ছিল। কিন্তু একটা কথা এ প্রসঙ্গে মনে রাখা দরকার যে, ইসলামের উপর, ইসলামী আন্দোলন ও দ্বীনের প্রচার-প্রসারে ও তার প্রতিষ্ঠায় যত বাধা আসবে, ততই ইসলামের অনুকূলে জনমত তৈরি হবে। এটা চিরসত্য ও ঐতিহাসিকভাবে সত্য।
আল্লামা দিলাওয়ার হোসাইন সাঈদীর শহীদী মৃত্যুতে বাংলাদেশ-সহ সারা বিশ্বে যে আলোড়ন, প্রতিক্রিয়া, সদর্থক আবেগের বহিঃপ্রকাশ মুসলিম উম্মাহর আলেম-উলামা, বুদ্ধিজীবী ও সাধারণ মানুষ ব্যক্ত করেছেন, তাতে প্রতীয়মান হয় যে, কোরআনের প্রচার ও দ্বীনি আন্দোলনের প্রতি মুসলমানদের আগ্রহ বাড়ছে এবং আগামী দিনে বর্ধিত হতে থাকবে। মাওলানা দিলাওয়ার হোসাইন সাঈদী শুধু ‘কোরআনের পাখি’ ও দা’য়ী ছিলেন না; তিনি ইসলামী সমাজ ব্যবস্থা প্রতিষ্ঠার লক্ষ্যে একজন দিকপাল নেতাও ছিলেন। তিনি শুধু কোরআনের বিষয়ভিত্তিক আলোচনা, ওয়াজ-মাহফিল করেই খ্যাতিমান হয়েছেন, আর লোকেরা তার সুললিত কণ্ঠ, প্রখর যুক্তিবোধ, সাবলীল ভাষা, ইসলামের সৌন্দর্য ও শ্রেষ্ঠত্বকে তুলে ধরার অনবদ্য উপস্থাপনাতেই প্রভাবিত হয়েছেন – এমন ধারণাতেই সীমাবদ্ধ থাকা সমীচিন হবে না। তিনি দ্বীন প্রতিষ্ঠার আন্দোলনে যে কৃতিত্ব দেখিয়েছেন, তার জন্য যে অতুলনীয় ত্যাগ ও কোরবানীর পরাকাষ্ঠা দেখিয়েছেন, সেই দৃষ্টিকোণটি যেন চাপা পড়ে না যায়। আজ বাংলাদেশে মুসলিম মিল্লাতের একটা অংশ এবং ওই দেশের যুব সমাজের একটা উল্লেখযোগ্য অংশ যে ইসলামী সমাজ বিপ্লবের ধারাতে নিজেদের জীবনকে সম্পৃক্ত করে নিয়েছে, তা মাওলানা সাঈদীর (রহিমাহুল্লাহ) মতো দিকপালের অনুপ্রেরণাতেই হয়েছে। এখানে অন্যান্য নেতৃস্থানীয়দের অবদানকে কম না দেখিয়েই বলা যায় যে, আল্লামা সাঈদীর ব্যক্তিত্বের প্রভাব অনেকটাই কার্যকর হয়ে রয়েছে। মাঠে-ময়দানে তাঁর বক্তব্য-ভাষণ এবং ওয়াজ-নসীহত, তাঁর লিখিত ইসলামী আদর্শভিত্তিক গ্রন্থাদি, পুস্তক-পুস্তিকা, তাফসীর এবং বাংলাদেশ সংসদে ইসলামের অনুকূলে অসাধারণ বক্তব্য যুব সমাজকে উদ্বেলিত করেছে। শিক্ষিত মানুষজনের মনে দারুন নাড়া দিয়েছে। আম জনতাও প্রভাবিত হয়েছে।
যারা কালের স্রোতের গতিপথকে পরিবর্তন করার যোগ্যতা রাখেন, তারাই মানুষের হৃদয়ে আসন গেড়ে বসেন। আল্লামা সাঈদী সেই গতিপথকে পরিবর্তন করার চেষ্টায় আজীবন কষ্টসাধ্য প্রচেষ্টা চালিয়ে গেছেন। আর এরই জন্য তাঁকে ১৩ বছর জেলের ছোট্ট কুঠুরিতে দিন গুজরান করতে হয়েছে। আল্লামা দিলাওয়ার হোসাইন সাঈদীকে অন্যায়ভাবে যে জেলে রাখা হয়েছে, তা আগেও বিশ্বের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে আওয়াজ ওঠানো হয়েছে। আর তাঁর শহীদী মৃত্যুর পর, একেবারে সূর্য মধ্য গগণে থাকলে যে ভাবে গহিন বনেও সবকিছুকে দেখা যায়, সেইভাবেই শহিদী মৃত্যুটি পরিষ্কার হয়ে গেছে। তিনি বিচারিক হত্যার শিকার হয়েছেন। জেলে চিকিৎসা ঠিকমতো পাননি। মৃত্যুর আগে যে অসুস্থ হয়েছিলেন বলে বলা হচ্ছে, তাতেও কতটা সুচিকিৎসা পেয়েছেন তা আল্লাহই ভালো জানেন। ঐদিন চিকিৎসার ব্যাপারেও প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে।
যাহোক, আসল দ্বন্দ্বটা কীসের? দ্বন্দ্বটা হল হক ও বাতিলের। সত্য ও মিথ্যার। ইসলাম ও ইসলাম-বিরোধী বস্তাপচা মতাদর্শের লড়াই। ন্যায় ও সুবিচারের সঙ্গে অবিচার ও অন্যায়-জুলুম এবং সদাচার ও পাপাচারের মধ্যকার লড়াই। এই লড়াইয়ে অতীতে ও নিকট অতীতে অনেক আলেম, ফকীহ, মুজতাহিদ, মুজাদ্দিদ নির্যাতনের শিকার হয়েছেন। হত্যার শিকার হয়েছেন। তাঁরা শাহাদাতের অমীয় সুধা পান করেছেন। আল্লাহর প্রিয় বান্দাহদের মধ্যে শামিল হয়েছেন। এই কয়েক বছর আগে মিশরে মুহাম্মদ মুরসিকে কি নির্মম ও নিষ্ঠুরভাবে জেলে রেখে মিশরের আব্দুল ফাত্তাহ আল-সিসির জালেম ও স্বৈরাচারী সরকার দুনিয়া থেকে তাঁকে বিদায় দিয়েছিল।
আল্লামা দিলাওয়ার হোসাইন সাঈদীর মৃত্যুকে সহজভাবে নেওয়ার কোন অবকাশ নেই। তিনি ছিলেন কিংবদন্তী, বিশ্ব মুসলিমের কাছে এক অমূল্য সম্পদ স্বরূপ। বিশ্বনন্দিত মুফাসসিরে কুরআন। তিনি ছিলেন রাহাবার তথা পথপ্রদর্শক। তিনি ছিলেন মানুষের জীবনকে পরিশুদ্ধকারী তথা মুযাক্কী। ‘খায়রা উম্মাহ’ তথা ইসলামী আদর্শের অনুসারী বিশ্ব মুসলিম সমাজের এক সম্মানিত ব্যক্তিত্ব। তিনি ছিলেন আল্লাহর দ্বীনের পথে শাহেদ তথা সাক্ষ্যদাতা। আবার তিনি ছিলেন মুসলেহ তথা মুসলিম সমাজের সংস্কার-সংশোধনের এক প্রবল ব্যক্তিত্ব। একজন মুমিনকে যে যে দায়িত্ব ও গুণাবলী অর্জন করতে হয় আল্লামা দিলাওয়ার হোসাইন সাঈদী সেগুলিকে নিজ জীবনে ধারণ করার ক্ষেত্রে নিষ্ঠার পরিচয় দিয়েছেন। ইসলামের পয়গাম পৌঁছানো তথা দ্বীনের দাওয়াত মানুষের কাছে দিয়েছেন। অর্থাৎ তিনি দা’য়ীয়ে হকের দায়িত্ব পালন করেছেন। অনেক অমুসলিম তার কথায় প্রভাবিত হয়ে ইসলামের সুশীতল ছায়ায় আশ্রয় নিয়েছেন, তা সকলের জানা। যদি বাংলাদেশের সরকার এই মহান আলেমকে দ্বীনের জন্য কাজ করতে ছেড়ে দিতেন, আরো অগণিত অমুসলিম দ্বীন কবুল করার সুযোগ পেয়ে যেত। কিন্তু আল্লাহর পথে বাধা দানকারীরা সেই সুযোগ দেবে কেন?
আল্লামা সাঈদী হাজার হাজার মুসলিম নর-নারীকে বিদায়াত ও ইসলাম বিরোধী সংস্কৃতির চর্চা থেকে ইসলামের সুপথে নিয়ে এসেছেন – অর্থাৎ তিনি ইসলাহ তথা মুসলিম সমাজের সংশোধনে নিরলস প্রয়াস চালিয়েছেন। হাজার হাজার মানুষের এবং ইসলামী আন্দোলনের কর্মীদের তাযকিয়া তথা অন্তরের পরিশুদ্ধি ঘটিয়েছেন, অর্থাৎ মুযাক্কীর কাজ করেছেন। এক্ষেত্রে তিনি অনুপ্রেরণার উৎস। তিনি অনেক শিক্ষা প্রতিষ্ঠান, মাদ্রাসা, সেবামূলক প্রতিষ্ঠান কায়েম করেছেন। এ ধরনের অনেক প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে সংযুক্ত ছিলেন। এই হিসেবে খিদমতে খালক তথা জনসেবার কাজে আল্লামা সাঈদীর অবদান অবিস্মরণীয়। তাঁর প্রতিষ্ঠিত সাঈদী ফাউন্ডেশন বাংলাদেশে অগ্রগণ্য একটি প্রতিষ্ঠান। সমাজসেবার কাজ করাও মুমিনের জীবনের একটি বড় গুণ। আল্লামা সাঈদী মানুষের হৃদয়ে অমলিন থাকলেন। বিশ্ববরেণ্য ও জননন্দিত এই ইসলামী চিন্তাবিদের দাওয়াতী খিদমতের গণ্ডি শুধু দেশের মাঝেই সীমাবদ্ধ ছিল না; বরং তিনি দেশ-বিদেশে কুরআনের বাণী প্রচারের মাধ্যমে কোটি কোটি কুরআন-প্রেমীর হৃদয়ের মণিকোঠায় জায়গা করে নিয়েছেন। তিনি অর্ধ শতাব্দীরও বেশি সময় কুরআনের খেদমত আঞ্জাম দিয়েছেন। তিনি বিশ্বের বিভিন্ন প্রান্তে মহাগ্রন্থ আল-কুরআনের তাফসীরের জন্য ছুটে বেড়িয়েছেন। বাংলাদেশের প্রত্যন্ত অঞ্চলসমূহে প্রায় প্রতিটি জেলায় কুরআনের মাহফিল করে মানুষের কাছে আল্লাহর বাণী পৌঁছে দিয়েছেন। বাংলাদেশে ইসলামী জাগরণ সৃষ্টির ক্ষেত্রে তাঁর এসব খেদমত ও অবদান আজীবন স্মরণীয় হয়ে থাকবে।
আল্লামা সাঈদীর ইন্তেকালে ভারতের বিশিষ্ট আলেম মাওলানা সালমান নাদভী তাঁর ভেরিফাইড ফেসবুকে লিখেছেন – ”আল্লামা সাঈদীকে মিথ্যা অভিযোগে মৃত্যুদণ্ড দেওয়া হয়েছিল। তিনি মুফাসসির ও বিশিষ্ট বক্তা ছিলেন। তিনি ২০১০ সাল থেকে কারাবন্দি ছিলেন।”
আল্লামা সাঈদী ছিলেন অত্যন্ত বিনয়ী ও সাদাসিধে জীবনের অধিকারী। বাংলাদেশের প্রসিদ্ধ উচ্চতর ইসলামী গবেষণা কেন্দ্র ‘শাইখ যাকারিয়া ইসলামিক রিসার্চ সেন্টার’ ঢাকার প্রিন্সিপ্যাল মুফতী মিজানুর রহমান সাঈদ লিখেছেন, ”আমার দেখায় তিনি ছিলেন একজন নিরহংকারী এবং অত্যন্ত বিনয়ী ও সাদাসিধে। তিনি আরো লিখেছেন, মদীনা শরীফে তাঁর সাথে প্রায় দুই ঘণ্টাব্যাপী তাফহীমূল কুরআনের কিছু বিষয় নিয়ে ইলমী মুবাহাসা (বিতর্ক) অনুষ্ঠিত হয়েছিল। আমি তার মধ্যে আকাবির আলেমদের সম্মানবোধ দেখতে পেয়েছি”।
আল্লামা জুনায়েদ আলি হাবীব তিনি ফেসবুকে আল্লামা সাঈদী সম্পর্কে লিখেছেন, ”লক্ষ-কোটি মুসলিম জনতার হৃদয়ের স্পন্দন”।
ইমাম আহম্মদ বিন হাম্বল (রহ)-এর বিখ্যাত উক্তি হল: ”আমাদের ও তাদের পার্থক্য হল জানাযার নামায”। আল্লামা সাঈদীর মৃত্যুতে সেই কথাই মনে পড়ে যাচ্ছে।”
আল্লামা সাঈদী ইতিহাসের পাতায় চির স্মরণীয় হয়ে থাকলেন। তিনি শাহাদাত কামনা করেছিলেন। সেই শাহাদাতের মর্যাদা নিয়ে ২০২৩ সালের ১৪ আগস্ট বাংলাদেশ সময় রাত্রি ৮টা ৪০ মিনিটে ঢাকার পিজি হাসপাতালে আল্লাহর ডাকে সাড়া দিয়ে পৃথিবীর সফর শেষ করে চির বিদায় নিলেন।
তাঁর ইন্তেকালে লক্ষ কোটি জনতার ক্রন্দনে আকাশ-বাতাস মুখরিত হয়েছে। লাখো লাখো মানুষের জানাযায় অংশগ্রহণ, পবিত্র কাবাতে গায়েবানা জানাযার অনুষ্ঠান, বিশ্বের ৭০-৮০ টা দেশে গায়েবানা জানাযায় মানুষের ঢল – এ থেকে সত্য প্রমাণিত হয়ে গেল যে, মানুষের হৃদয়ের গভীরে আল্লামা। পৃথিবীর ইতিহাসে তিন ব্যক্তির গায়েবানা জানাযা অনুষ্ঠিত হল।
ক) রাসূলের যুগে বাদশাহ নাজ্জাসীর
খ) সাইয়েদ আবুল আ’লা মওদূদী (রহ)
গ) আল্লামা দিলাওয়ার হোসাইন সাঈদী
আল্লামা দিলাওয়ার হোসাইন সাঈদীর উক্তি এখানে চির স্মরণীয় হয়ে থাকবে: ”আমাকে মৃত্যুর ভয় দেখিয়ে লাভ কি! আমি জ্বলন্ত আগুনে নিক্ষিপ্ত করা ইব্রাহীম (আ.)-এর জেগে থাকা দুঃসাহসী সন্তান”।
আল্লামা দিলাওয়ার হোসাইন সাঈদীর বিচার প্রক্রিয়ার সমালোচনা করে বিরোধী নেত্রী রুমিন ফারহানা বলেন, ”সুখরঞ্জন বালীকে সাক্ষ্য দিতে দেওয়া হয় না। তাকে তুলে নিয়ে যাওয়া হয়েছিল।” সুখরঞ্জন বালী আল্লামার মৃত্যুর পর যে বক্তব্য রেখেছেন সোশ্যাল মিডিয়ায় তা ভাইরাল হয়েছে। সেখানে সুখরঞ্জন বালি বলেছেন যে, ”তিনি একজন ভাল মানুষ”। সুখরঞ্জন বালীকে অপহরণ করে নিয়ে যাওয়া হয়, যাতে তিনি আল্লামার পক্ষে সাক্ষ না দিয়ে বসেন, অথচ তাঁকে আল্লামা সাঈদীর বিরুদ্ধে সাক্ষ্য জোগাড় করেছিল সরকারই। এখন তিনি সব ঘটনা খুলে খুলে বলছেন।
ব্যারিস্টার ও সাংসদ রুমিন ফারহানা সোশ্যাল মিডিয়ায় তাঁর বক্তব্যে বলেছেন, ”সরকার ভয়ে ঢাকায় আল্লামার জানাযার নামায করতে অনুমতি দেয়নি”। পিনাকী ভট্টাচার্য বলেছেন, ”চিকিৎসার অভাবে আল্লামা সাঈদীর মৃত্যু হয়েছে”।
ব্যারিস্টার রুমিন ফারহানা বলেছেন, ”সাঈদী সাহেবের মৃত্যুর জন্য দায়ী কে? কাকে নিতে হবে এই দায়ভার? জবাব চাই”।
তিনি আল্লামা সাঈদীর ‘মানবতাবিরোধী অপরাধ মামলা’র বিরুদ্ধে সরাসরি প্রশ্নও তুলেছেন। এ প্রসঙ্গে ঐ সময় ‘আমার দেশ’ পত্রিকার উদ্ধৃতিও দিয়েছেন, যা ‘ইকোনোমিস্ট’ পত্রিকায় প্রথম প্রকাশ পায়। তিনি বলেন, “একই সাথে সাক্ষ্য নেওয়া হচ্ছিল। আবার রায়ও নেওয়া হচ্ছিল। এ কেমন বিচার?”
চট্টগ্রামে জানাযায় গুলিবর্ষণে, ঢাকায় হাসপাতালের সামনে পুলিশি তাণ্ডব প্রমাণ করে মুর্দা দিলাওয়ার হোসাইন সাঈদীকেও কতটা ভয় করে বর্তমান বাংলাদেশের সরকার। বাংলাদেশের জনগণ থেকে বর্তমান সরকার গণবিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েছে, তা পরিষ্কার হয়ে যাচ্ছে। যত আরো গণবিচ্ছিন্ন হতে থাকবে এরা ততই বেপরোয়া হবে। তবে একদিন এদের সলিল সমাধি ঘটবে। শুধু সময়ের অপেক্ষা। আল্লাহর নিয়মেই একদিন তাদের ঠিকানা হবে ইতিহাসের আস্তাকুঁড়ে।