মীযান ডেস্ক: আমেরিকা ও ইজরায়েল যৌথ উদ্যোগে ফিলিস্তিনের গাজা উপত্যকায় নতুন সরকার গঠনের ফন্দি আঁটছে। রাষ্ট্রসংঘ এবং আরব দেশগুলোর সরকার সমর্থিত একটি অন্তর্বর্তী প্রশাসন গঠনের ছক কষছে বাইডেন ও নেতানিয়াহু জুটি। এই চাঞ্চল্যকর সংবাদ প্রকাশ করে ব্লুমবার্গ জানিয়েছে, গাজায় অন্তর্বর্তী প্রশাসন গঠনের পরিকল্পনাটি এখনও প্রাথমিক পর্যায়ে রয়েছে এবং হামাসের বিরুদ্ধে ইজরায়েলের স্থলপথে সামরিক অভিযান কতটা সফল হয় তার উপর পুরো বিষয়টা নির্ভর করছে।
এই পরিকল্পনা কার্যকর করতে হলে সর্বপ্রথমে হামাসকে ক্ষমতা থেকে সরাতে হবে এবং সংশ্লিষ্ট আঞ্চলিক আরব রাষ্ট্রগুলোর সমর্থন প্রয়োজন। যা আদায় করা খুব একটা কঠিন হতে পারে বলে মনে করছে না পশ্চিমারা। আরব দেশগুলোকে এই পরিকল্পনার সঙ্গে জড়িয়ে নিতে মধ্যপ্রাচ্য বিষয়ক সিআইএ-র প্রাক্তন সিনিয়র বিশ্লেষক উইলিয়াম উশার ব্লুমবার্গকে বলেন, আরব রাষ্ট্রগুলো যেভাবে একে অপরের সঙ্গে কাজ করে এবং ঝুঁকি নেয়, সেই প্রক্রিয়ায় একটা বড় পরিবর্তন প্রয়োজন হবে। পাশাপাশি ইসরায়েলের পক্ষ থেকেও বিশ্বাস স্থাপন করতে হবে, যা এই মুহূর্তে খুব কমই রয়েছে।
শুক্রবার ইজরায়েলী প্রতিরক্ষামন্ত্রী ইয়োভ গ্যালান্ট হামাসের সঙ্গে যুদ্ধের তিন ধাপে রূপরেখা দিয়েছেন। প্রথম ধাপে আকাশপথে বোমাবর্ষণ এবং স্থল অভিযান। তারপর গাজায় হামাসের ঘাঁটিগুলো নির্মূলে অভিযান। এবং শেষ ধাপে গাজা উপত্যকার মানুষের জীবনধারণের জন্য ইজরায়েলি নির্ভরতা ব্যতিরেকে একটি নতুন ‘নিরাপত্তা বাস্তবতা’ প্রতিষ্ঠার প্রয়োজন পড়বে বলে জানান তিনি।
এদিকে ইজরায়েলি বিরোধী দলনেতা তথা প্রাক্তন ইয়ার ল্যাপিড পরামর্শ দিয়েছেন, সংঘাত শেষ হওয়ার পরে গাজার জন্য সর্বোত্তম সমাধান হবে এটিকে পশ্চিম তীর-ভিত্তিক ফিলিস্তিনি কর্তৃপক্ষের নিয়ন্ত্রণে ফিরিয়ে দেওয়া।
কিন্তু প্রশ্ন হচ্ছে, গাজা বা ফিলিস্তিন সম্পূর্ণ একটা অন্য দেশ। আমেরিকা-ইজরায়েল কীভাবে সেখানে নিজেদর পছন্দমাফিক সরকার গঠন করতে পারে? এটা কি মগের মুল্লুক নাকি? ওরা যা খুশি গাজোয়ারিভাবে তাই করবে – এমন প্রশ্ন ঘোরাঘুরি করছে সোশ্যাল মিডিয়ায়।