আসাম রাইফেলকে সরানোর দাবিতে প্রধানমন্ত্রীকে ৪০ মণিপুরী বিধায়কের চিঠি

মীযান ডেস্ক:  আবারও বিতর্কের কেন্দ্রে আসাম রাইফেলস। অগ্নিগর্ভ মণিপুরে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি সামলাতে মোতায়েন করা অসমের বাহিনীর বিরুদ্ধে আগেও পক্ষপাতের অভিযোগ উঠেছে। এ বারও সেই একই অভিযোগে আসাম রাইফেলসের জওয়ানদেরকে সরিয়ে দেওয়ার দাবি তুলল মণিপুরের ৪০ জন মেইতেই বিধায়ক। এই দাবিতে তাঁরা প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীকে চিঠিও পাঠিয়েছেন।
চিঠিতে আসাম রাইফেলসের বদলে কোনও ‘বিশ্বাসযোগ্য নিরাপত্তা বাহিনী’ মণিপুরে মোতায়েনের দাবি জানানো হয়েছে। মণিপুর হিংসার প্রথম থেকেই বার বার বিতর্কে জড়িয়েছে আসাম রাইফেলস। তাদের বিরুদ্ধে কুকিদের মদত দেওয়ার অভিযোগ তুলেছে মেইতেইরা। মেইতেই সংগঠনগুলির অভিযোগ, আসাম রাইফেলসের প্রত্যক্ষ মদতেই মায়ানমার সীমান্ত দিয়ে অনুপ্রবেশ চলছে মণিপুরে। কিছু দিন আগে মণিপুর পুলিশও অসহযোগিতার অভিযোগ তুলেছিল আসাম রাইফেলসের বিরুদ্ধে। মেইতেইদের উপরে অত্যাচারে অভিযুক্ত কুকি সংগঠনগুলিকে আড়াল করায় অভিযুক্ত হয়েছে আসাম রাইফেলস। যদিও অভিযোগ উড়িয়ে দিয়েছে আসাম রাইফেলস।
কিছু দিন আগেই মণিপুরের বিষ্ণুপুর জেলার মৈরাং লামখাইয়ের একটি গুরুত্বপূর্ণ পুলিশ চৌকি থেকে সরিয়ে দেওয়া হয়েছিল আসাম রাইফেলসের জওয়ানদের। তার পরিবর্তে সেখানে দায়িত্ব দেওয়া হয় সিআরপিএফকে। হিংসাকবলিত মণিপুরে সাম্প্রতিক অতীতে একাধিক বার আসাম রাইফেলসের বিরুদ্ধে নৃশংস আচরণের অভিযোগে প্রতিবাদ-বিক্ষোভ হয়েছে। বিষ্ণুপুর এবং চূড়াচাঁদপুর জেলায় এই বাহিনীর বিরুদ্ধে মিছিলও হয়েছে।
প্রসঙ্গত, গত ৩ মে জনজাতি ছাত্র সংগঠন ‘অল ট্রাইবাল স্টুডেন্টস ইউনিয়ন অফ মণিপুর’ (এটিএসইউএম)-এর কর্মসূচি ঘিরে মণিপুরে অশান্তির সূত্রপাত। মণিপুর হাই কোর্ট মেইতেইদের তফসিলি জনজাতির মর্যাদা দেওয়ার বিষয়টি নিয়ে রাজ্য সরকারকে বিবেচনা করার নির্দেশ দিয়েছিল। এর পরেই জনজাতি সংগঠনগুলি তার বিরোধিতায় পথে নামে। সেই ঘটনা থেকেই সংঘাতের সূচনা। মণিপুরের আদি বাসিন্দা হিন্দু ধর্মাবলম্বী মেইতেই জনগোষ্ঠীর সঙ্গে কুকি-সহ কয়েকটি তফসিলি জনজাতি সম্প্রদায়ের (যাদের অধিকাংশই খ্রিস্টান) সংঘর্ষে এখনও পর্যন্ত প্রায় দু’শো জনের মৃত্যু হয়েছে। ঘরছাড়ার সংখ্যা প্রায় ৬০ হাজার। এছাড়াও বহু চার্চ, গির্জা, মন্দির ধ্বংস হয়েছে।

Stay Connected

Advt.

%d bloggers like this: