মীযান ডেস্ক: নয়াদিল্লি সফররত বাংলাদেশের ক্ষমতাসীন রাজনৈতিক দল আওয়ামী লীগের উচ্চ পর্যায়ের এক প্রতিনিধি দল বিজেপি-র সর্বভারতীয় সভাপতি জেপি নাড্ডার সঙ্গে বৈঠক করেছেন বলে খবর। সোমবার দুপুরে আওয়ামী লীগের জাতীয় সভাপতি মন্ডলীর সদস্য কৃষিমন্ত্রী ড. আবদুর রাজ্জাকের নেতৃত্বে দলের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক তথ্য ও সম্প্রচারমন্ত্রী ড. হাসান মাহমুদ, সাংগঠনিক সম্পাদক সুজিত রায় নন্দী, কেন্দ্রীয় কার্যনির্বাহী সংসদের সদস্য মেরিনা জাহান কবিতা ও সাংসদ আরমা দত্ত প্রমুখ বিজেপি সভাপতি জেপি নাড্ডার বাসভবনে বৈঠক করেন।
বিজেপির আমন্ত্রণে ভারত সফরে আসা আওয়ামী লীগের নেতারা এরপর বিজেপির সাধারণ সম্পাদক বিনোদ তড়ে-এর সঙ্গে আলোচনায় বসেন। আন্তরিক ও সৌহার্দ্যপূর্ণ দুই পৃথক বৈঠকে নানা বিষয়ের মধ্যে আঞ্চলিক সহযোগিতা, জঙ্গি ও সন্ত্রাসবাদ দমন, বাংলাদেশের রাজনৈতিক স্থিতিশীলতা ইস্যু বিশেষ গুরুত্বসহ আলোচিত হয়েছে বলে জানা গেছে। এই সফরে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি, বিদেশমন্ত্রী এস জয়শঙ্কর ও জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা অজিত দোভালের সঙ্গে আওয়ামী লীগ নেতাদের বৈঠক হওয়ার কথা রয়েছে।
উল্লেখো, বাংলাদেশের আসন্ন পার্লামেন্ট নির্বাচন নিয়ে পশ্চিমারা সরব হলেও এতদিন অনেকটাই চুপ ছিল নিকটতম প্রতিবেশী দেশ ভারত। সেই নীরবতা ভেঙ্গে নয়াদিল্লি থেকে বিদেশ মন্ত্রক বৃহস্পতিবার বলেছিল, বাংলাদেশের নির্বাচন কীভাবে হবে সেটা সে দেশটির জনগণই ঠিক করবে।
একই সাথে ‘শান্তি থাকবে, সহিংসতা থাকবে না এবং পরিকল্পনা অনুযায়ী নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে’ এমন আশা ব্যক্ত করে ভারতের বিদেশ মন্ত্রক বলেছে, বাংলাদেশের মানুষ যেভাবে নির্ধারণ করবে নির্বাচন এবং গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়া সেভাবেই হওয়া উচিত বলে তারা মনে করেন।
এদিকে বাংলাদেশের সাবেক বিদেশ সচিব তৌহিদ হোসেন বলছেন, ভারত প্রকাশ্যে না বলে বরাবরই ভেতরে ভেতরে নিজেদের মতো করে কাজ করে। প্রকাশ্যে তাদের বিদেশ মন্ত্রক যাই বলুক না কেন ভারত তাদের স্বার্থ সুনিশ্চিত করতে সচেষ্ট থাকবে বলেই মনে করেন তিনি। প্রসঙ্গত, বাংলাদেশের ২০১৪ ও ২০১৮ সালের নির্বাচনে ভারতীয় কূটনীতিকদের ভূমিকা ছিল অনেকটাই প্রকাশ্য।
বৃহস্পতিবার ভারতীয় বিদেশ মন্ত্রকের মুখপাত্র অরিন্দম বাগচি বলেন, বাংলাদেশের নির্বাচন পরিকল্পিত ও শান্তিপূর্ণভাবে অনুষ্ঠিত হবে বলে নয়াদিল্লি আশা করছে। তবে বাংলাদেশের বিরোধী দলগুলো তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে নির্বাচনের যে দাবি করে আসছে সে বিষয়ে কোনো মন্তব্য করতে তিনি রাজি হননি। তিনি বলেন, ‘সেখানে কিভাবে নির্বাচন হবে তা বাংলাদেশের জনগণই ঠিক করবে’।
ঢাকায় পশ্চিমা কূটনীতিকদের তৎপরতা ও মন্তব্য প্রসঙ্গে তিনি বলেন, বাংলাদেশের সাথে আমাদের বিশেষ সম্পর্ক রয়েছে। বাংলাদেশে যা ঘটে, তাতে আমরাও জড়িত, কারণ তা আমাদের প্রভাবিত করে। উল্লেখ্য, চলতি বছরের শেষ দিকেই বাংলাদেশে দ্বাদশ সংসদ নির্বাচন হওয়ার কথা।
