মীযান ডেস্ক: ফিলিস্তিনের অবরুদ্ধ গাজা উপত্যকায় ইসরায়েলি নৃশংসতা বন্ধে একটি যুদ্ধবিরতি চুক্তির দিকে এগোচ্ছে হামাস ও নেতানিয়াহু সরকার। জানা গিয়েছে, এরই মধ্যে যুদ্ধবিরতির খসড়া প্রস্তাব তৈরি করা হয়েছে। মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন জানিয়েছেন, পবিত্র রমযানে ইসরায়েল গাজায় সামরিক কর্মকাণ্ড পরিচালনা করবে না। কয়েকদিনের মধ্যেই পাকাপাকি চুক্তি হবে।
যুদ্ধবিরতির প্রস্তাবের একটি খসড়া সংবাদ সংস্থা রয়টার্সের হাতে পৌঁছেছে। তাতে বলা হয়েছে, প্রস্তাবটি বিবেচনা করে দেখছে হামাস। প্রস্তাবে রমযান মাসজুড়ে যুদ্ধবিরতির জন্য বেশ কয়েকটি শর্ত দিয়েছে ইসরায়েল। প্যারিসে যুদ্ধবিরতি আলোচনার সঙ্গে সংশ্লিষ্ট একজন জানান, চুক্তিতে একজন ইসরায়েলিকে মুক্তি দেওয়ার শর্ত হিসেবে ১০ জন ফিলিস্তিনিকে মুক্তির প্রস্তাব দিয়েছে ইসরায়েল।
প্রস্তাবে আছে, নারী-শিশুসহ ৪০ জিম্মিকে মুক্তি দেবে হামাস। বিনিময়ে ইসরায়েল অন্তত ৪০০ বন্দি মুক্তি দেবে এবং তাদের আবার গ্রেপ্তার করবে না। এর আগে হামাস জিম্মি মুক্তি দিলে ইসরায়েলও কয়েকশ ফিলিস্তিনিকে মুক্তি দেয়। তবে পরে আবার তাদের আটক করে ইসরায়েলি সেনারা। নতুন প্রস্তাবে হামাস বলেছে, গাজার হাসপাতালগুলোকে সংস্কার করে দিতে হবে। পাশাপাশি প্রতিদিন ৫০০ ত্রাণবাহী ট্রাকের প্রবেশ নিশ্চিত করতে হবে।
কাতার বলছে, তারা যুদ্ধবিরতির বিষয়ে আশাবাদী। দেশটির বিদেশ মন্ত্রকের মুখপাত্র মাজেদ আল-আনসারি বলেন, তাদের প্রত্যাশা পবিত্র রমযানের আগেই যুদ্ধবিরতিতে পৌঁছানো সম্ভব হবে।
গতবছর ৭ অক্টোবর যুদ্ধ শুরুর পর এ পর্যন্ত গাজায় ইসরায়েলের হামলায় নিহত হয়েছেন প্রায় ৩০ হাজার গাজাবাসী তথা ফিলিস্তিনি নাগরিক; আহত হয়েছেন ৭০ হাজারেরও বেশি। অক্সফাম বলেছে, গাজার বাসিন্দাদের অভুক্ত রাখার চেষ্টা থেকে বিরত রাখতে আন্তর্জাতিক আদালত যে আদেশ দিয়েছিল, তা উপেক্ষা করেছে ইসরায়েল। অক্সফামের মধ্যপ্রাচ্য ও উত্তর আফ্রিকা অঞ্চলের পরিচালক সালি আবি খলিল বলেন, উত্তর গাজায় গণহত্যার ঝুঁকি বাড়ছে। কারণ ইসরায়েল সরকার আইসিজের মূল আদেশই উপেক্ষা করছে।