মীযান ডেস্ক: আর.জি কর এবং মহারাষ্ট্রের বদলাপুরের ঘটনা নিয়ে যখন দেশজুড়ে নিন্দা ও প্রতিবাদের ঝড় উঠেছে, ঠিক সেই সময় সামনে এল আর এক চাঞ্চল্যকর তথ্য। এক্ষেত্রে কাঠগড়ায় খোদ বিধায়ক ও সাংসদরা। মহিলাদের উপর অপরাধের অভিযোগে মামলা রয়েছে দেশের মোট ১৫১ জন বিধায়ক ও সাংসদের বিরুদ্ধে। এর মধ্যে রয়েছে ধর্ষণ ও যৌন নিগ্রহের মতো গুরুতর অভিযোগও। এই জননেতারাই নির্বাচন কমিশনের কাছে হলফনামা পেশ করে তাঁদের বিরুদ্ধে থাকা অপরাধের মামলার কথা স্বীকার করেছেন। তাদের পেশ করা হলফনামা বিশ্লেষণ করে এই চাঞ্চল্যকর রিপোর্ট প্রকাশ করেছে ‘অ্যাসোসিয়েশন ফর ডেমোক্র্যাটিক রিফর্মস’ (এডিআর)।
সেই রিপোর্ট বলছে, মহিলাদের উপর অপরাধের অভিযোগে মামলার নিরিখে শীর্ষে রয়েছেন বিজেপির সাংসদ ও বিধায়করা। ১৫১ অভিযুক্ত নেতার মধ্যে ৫৪জনই মোদি-অমিত শাহের দলের টিকিটে জিতে বিধায়ক বা সাংসদ হয়েছেন।
২০১৯ থেকে ২০২৪ সাল পর্যন্ত দেশজুড়ে মোট ৪ হাজার ৮০৯ জন বিধায়ক ও সাংসদের মধ্যে ৪ হাজার ৬৯৩ জনের পেশ করা নির্বাচনী হলফনামা বিশ্লেষণ করেছে এডিআর। তাদের দাবি, মহিলাদের উপর বিভিন্ন অপরাধের অভিযোগে মামলা রয়েছে ১৬ জন সাংসদ ও ১৩৫ জন বিধায়কের বিরুদ্ধে। এর মধ্যে ১৬ জন বিধায়ক ও সাংসদ হলফনামায় জানিয়েছেন, তাঁদের বিরুদ্ধে ভারতীয় দণ্ডবিধির (আইপিসি) ৩৭৬ ধারায় ধর্ষণের অভিযোগে মামলা রয়েছে। ধর্ষণের অভিযোগ থাকা এই ১৬ জনপ্রতিনিধির মধ্যে ১৪ জন বিধায়ক ও দু’জন সাংসদ। ধর্ষণে অভিযুক্ত ১৬ জনের মধ্যে পাঁচজন বিজেপির ও পাঁচজন কংগ্রেসের।
যাঁরা আইন তৈরি করেন, মহিলাদের বিরুদ্ধে ধর্ষণ-সহ গুরুতর অভিযোগে মামলা রয়েছে তাঁদের অনেকের বিরুদ্ধেই। এডিআরের দাবি, এক্ষেত্রে রাজনৈতিক দলগুলির মধ্যে শীর্ষে রয়েছে কেন্দ্রে ক্ষমতাসীন বিজেপি। মহিলাদের উপর বিভিন্ন অপরাধের অভিযোগে মামলা রয়েছে বিজেপির মোট ৫৪ জন বিধায়ক ও সাংসদের বিরুদ্ধে। দ্বিতীয় ও তৃতীয় স্থানে রয়েছে কংগ্রেস (২৩ জন) ও টিডিপি (১৭ জন)।
