হিন্দুদের বিভাজন এবং মুসলিমদেরকে কি তাড়াতে চাইছে কংগ্রেস: প্রধানমন্ত্রী উবাচ

মীযান ডেস্ক: বিহারের নয়া সেন্সাস রিপোর্ট প্রসঙ্গে কংগ্রেস বলেছে, যিসকা যিতনি আবাদি, উনকা উতনা ভাগিদারী। অর্থাৎ যাদের যেমন সংখ্যা, তাদের তেমন হিসসা দিতে হবে। বিজেপি শুরু থেকেই একে আই ওয়াশ বলে চলেছে। যেহেতু নীতীশ-লালু জুটি বিজেপির ঘোর বিরোধী, তাই প্রধানমন্ত্রী বলেছেন, জাতপাতের নোংরা খেলায় হিন্দুদের বিভাজন করতে চাইছে কংগ্রেস। এরা গরিব মানুষকেও ভাগ করতে চাইছে। আবার এও বলেছেন, সবই যদি হিন্দুদের দিয়ে দিই, তাহলে মুসলিমদের কী হবে? কংগ্রেস এর জবাবে বলেছে, সত্যিই তো, ভোটের মোদীর মুখে মুসলিম তোষণের কথা। এ তো ভূতের মুখে রাম নাম।

নরেন্দ্র মোদী বলেছেন, আবাদির কথাই যদি বলেন, তবে প্রথম অধিকার কাদের হবে? কাদের সংখ্যা সবথেকে বেশি? যাদের সংখ্যা বেশি তাদের যদি বেশি অধিকার হয়ে থাকে তবে সংখ্যালঘুদের কী হবে? মঙ্গলবার ছত্তিশগড়ের বস্তারের জগদলপুরে নির্বাচনী সভায় বক্তব্য রাখতে গিয়ে এভাবেই কংগ্রেসকে নিশানা করেন মোদি। এও বলেন, জনসংখ্যার দিক থেকে গরিবই সবথেকে বড়। আর গরিবের কল্যাণই আমার সবথেকে বড় লক্ষ্য। আবাদি দিয়ে অধিকার সুনিশ্চিত করা যায় না। তার মানে সংখ্যালঘুদেরকে কংগ্রেস কি তাড়াতে চাইছে?

বিশেষজ্ঞরা বলছেন, আসলে হিন্দুত্ববাদ বা হিন্দুরাষ্ট্রের আড়ালে বিজেপির মনুবাদ বা ব্রাহ্মণ্যবাদী ভাবনার মূলে কুঠারাঘাত করেছে বিহারের জাতিভিত্তিক জনগণনা। দেখা যাচ্ছে ব্রাহ্মণ মাত্র সাড়ে ৩ শতাংশের মতো, আর পিছিয়েপড়া বা অনগ্রসর সম্প্রদায় প্রায় ৬৫ শতাংশ। এসসি, এসটি, ওবিসি মিলিয়ে ৮৫ শতাংশ। দেশের প্রায় সব রাজ্যেই কমবেশি চিত্রটা এরকমই। অথচ সর্বত্র ব্রাহ্মণ্যবাদী চিন্তাধারা কাজ করে চলেছে। ৩ শতাংশ উচ্চবর্ণের মানুষ ৬৫ শতাংশ নিম্নবর্ণের মানুষের ওপর ছড়ি ঘোড়ায়। এই ছবিটাই বিহার সরকার ফুটিয়ে তুলেছে। তাই বিজেপি এই রিপোর্টের তীব্র বিরোধিতা করছে। তাদের আশঙ্কা, আসন্ন ৫ রাজ্যের ভোট এবং মাস ছয়েক পর লোকসভা ভোটে থাবা বসাতে পারে এই জাতিভিত্তিক সেন্সাস রিপোর্ট।

Share :

Stay Connected

Advt.

%d bloggers like this: