মীযান ডেস্ক: টানা ১৮দিনের ইজরায়েলি আক্রমণে অবরুদ্ধ গাজার স্বাস্থ্য পরিসেবা পুরোপুরি ভেঙে পড়েছে। গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রকের মুখপাত্র আশরাফ আল-কুদরা এক সাংবাদিক সম্মেলনে জানান, গত ৭ অক্টোবর থেকে চলা ইসরাইলি হামলায় ৬৫ জন ডাক্তার, নার্স ও স্বাস্থ্যকর্মী নিহত হয়েছেন। ধ্বংস করে দেয়া হয়েছে ২৫টি অ্যাম্বুলেন্স। ১২টি হাসপাতাল ও ৩২টি স্বাস্থ্যকেন্দ্র বন্ধ করে দিতে হয়েছে। আমরা শঙ্কিত যে, জ্বালানি সঙ্কটে খুব শিগগিরই সব ধরনের অপারেশনও বন্ধ করে দিতে হতে পারে।
ডা. আল-কুদরা আরও জানান, নিহতদের মধ্যে নারী ও শিশুই ৭০ শতাংশ। ধ্বংসস্তূপের নিচে আটকা পড়েছে ১৫৫০ মানুষ, এদের মধ্যে ৮৭০টি শিশু। গত কয়েক ঘণ্টায় ইসরাইলি বাহিনী যে গণহত্যা চালিয়েছে তাতে ৩০৫টি শিশু, ১৭৩ জন নারী ও ৭৮ জন বয়ষ্ক ব্যক্তি নিহত হয়েছেন। প্রতিদিন গড়ে অন্তত ৪০০ শিশু নিহত হচ্ছে।
এদিকে, গাজার এক-তৃতীয়াংশেরও বেশি হাসপাতাল এবং প্রায় দুই-তৃতীয়াংশ স্বাস্থ্যসেবা ক্লিনিক হামলার কারণে ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ায় অথবা জ্বালানির অভাবে বন্ধ হয়ে গেছে বলে জানিয়েছে রাষ্ট্রসংঘ। তাদের রিপোর্ট বলছে, অবরুদ্ধ গাজা উপত্যকার ৩৫টি হাসপাতালের মধ্যে ১২টি এবং ৭২টি স্বাস্থ্যসেবা ক্লিনিকের মধ্যে ৪৬টি বন্ধ হয়ে গেছে। জ্বালানি ঘাটতির কারণে হাসপাতালের জেনারেটরগুলি ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে বন্ধ হয়ে যাবে বলে মঙ্গলবার জানিয়েছে গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রক।
এছাড়াও প্রায় ৪০ শতাংশ বিদ্যালয় ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। রাষ্ট্রসংঘের মতে, ৬ লাখ ২৫ হাজারেও বেশি শিক্ষার্থী স্কুল যেতে পারছে না। ইসরায়েলি হামলায় প্রায় অর্ধেক ঘরবাড়ি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে এবং আনুমানিক ১৫ লাখ মানুষ বাস্তুচ্যুত হয়েছে।