মীযান ডেস্ক: অতি দ্রুত পদক্ষেপ না করলে গাজার অন্তত এক-চতুর্থাংশ মানুষ অচিরেই ভয়াবহ দুর্ভিক্ষের কবলে পড়বে, এমন হুঁশিয়ারি দিয়েছেন রাষ্ট্রসংঘের কর্মকর্তারা। ফিলিস্তিনের গাজা উপত্যকায় ত্রাণ পৌঁছাতে বাধা দিচ্ছে ইসরায়েল, এমন অভিযোগ করেন তারা। মঙ্গলবার প্রকাশিত এক ভিডিওয় দেখা যায়, উত্তর গাজা অঞ্চলে ত্রাণ নিতে আসা ফিলিস্তিনিদের ওপর সরাসরি গুলি চালাচ্ছে ইসরায়েলি সেনাবাহিনী। তবে গুলিতে গাজাবাসীরা আহত না নিহত হচ্ছেন, তাৎক্ষণিকভাবে তা বুঝে ওঠা যায়নি।
রাষ্ট্রসংঘের বিশ্ব খাদ্য কর্মসূচি (এফএও) জানিয়েছে, ২৩ জানুয়ারির পর থেকে গাজায় কোনো সংস্থা ত্রাণ পাঠাতে পারছে না। পরিস্থিতির পরিবর্তন না হলে গাজায় অচিরেই দুর্ভিক্ষ দেখা দেবে বলে আশঙ্কা ব্যক্ত করেন ফাও-এর ডেপুটি ডাইরেক্টর কার্ল স্কাউ। উত্তর গাজায় ত্রাণ ঢুকতে দিচ্ছে না ইসরায়েলি বাহিনী। গাজার বাকি এলাকাতেও খুব কম পরিমাণে ত্রাণ পাঠানো সম্ভব হয়েছে বলে স্বীকার করেছে রাষ্ট্রসংঘ।
রাষ্ট্রসংঘের মানবিক সহায়তা ও জরুরি ত্রাণবিষয়ক সমন্বয়কারী মার্টিন গ্রিফিথস নিরাপত্তা পরিষদকে চিঠি লিখেছেন, যুদ্ধের অস্ত্র হিসেবে বেসামরিক জনগোষ্ঠীকে ক্ষুধার্ত রাখার কৌশল নিষিদ্ধ করা জরুরি। শুধু খাদ্য সংকট নয়, গাজায় সুপেয় পানির সংকট প্রকট হয়ে উঠেছে। গাজার প্রায় ৯৭ শতাংশ ভূগর্ভস্থ পানি পানের অযোগ্য। এদিকে সেদেশের কৃষি খাতও ধ্বংসের মুখোমুখি বলে জানিয়েছে রাষ্ট্রসংঘের খাদ্য ও কৃষি সংস্থা।
এদিকে রাষ্ট্রসংঘ জানিয়েছে, গাজা সীমান্তে অপেক্ষা করছে প্রায় ২২ লাখ মানুষের জন্য পর্যাপ্ত ত্রাণ। হাজার খানেক ট্রাকে রয়েছে ১৫ হাজার টন খাদ্য। কিন্তু এই বিপুল পরিমাণ খাদ্য সহায়তা গাজায় ঢুকতে দিচ্ছে না ইসরায়েলি বাহিনী। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা হু-র তথ্য অনুযায়ী সর্বশেষ ২৩ জানুয়ারি ত্রাণ সরবরাহ সম্ভব হয়েছিল। উত্তর গাজায় কোনো ত্রাণ সরবরাহ করা যাচ্ছে না। যদিও বরাবরের মতো এসব দাবি বা অভিযোগ প্রত্যাখ্যান করেছেন রাষ্ট্রসংঘে নিযুক্ত ইসরায়েলের রাষ্ট্রদূত জোনাথন মিলার।