মীযান ডেস্ক: একটানা ৪৮দিন ধরে যুদ্ধ চলার পর ফিলিস্তিনের গাজা উপত্যকায় চার দিনের যুদ্ধবিরতি শুরু হল শুক্রবার থেকে। শর্ত অনুযায়ী, ইজরায়েল ও হামাস পরস্পর জিম্মি ও বন্দী বিনিময় শুরু করেছে। সেই সঙ্গে অবরুদ্ধ গাজা উপত্যকায় সব ধরনের হামলা বন্ধ রেখেছে ইজরায়েলি বাহিনী। দেড় মাস পর শুক্রবার রাতে প্রথম নির্ভয়ে ঘুমাল গাজাবাসী।
দক্ষিণ গাজার খান ইউনিস শহর থেকে আল–জাজিরার সাংবাদিক হানি মাহমুদ বলেন, সাময়িক যুদ্ধবিরতি কিছুটা হলেও স্বস্তি এনেছে। সাত সপ্তাহ ধরে প্রতি রাতে গাজার কোথাও না কোথাও বোমা ফেলেছে ইজরায়েলি বাহিনী। ফলে প্রত্যেক দিন ও রাতেই নারী-শিশু সহ সাধারণ গাজাবাসীর প্রাণহানি ঘটেছে। গতকাল দিবাগত রাত ছিল ভিন্ন। এই রাতে হামলা, প্রাণহানি, কান্না বন্ধ ছিল।
হানি মাহমুদ আরও বলেন, ৪৮ দিন পর শুক্রবার রাতেই গাজাবাসী প্রথম নির্ভয়ে ঘুমাতে পেরেছে। ঘুমের মধ্যে ইজরায়েলি বোমার আঘাতে প্রাণ হারানোর ভয় তাদের তাড়া করেনি। তবে ইজরায়েলি প্রতিরক্ষামন্ত্রী ইয়োভ গ্যালান্ট যুদ্ধবিরতির প্রথম দিনেই হুমকি দিয়ে বলেছেন, ৪দিন পর ফের শুরু হয়ে যুদ্ধ। তাই গাজাবাসী মনে করছে, এই যুদ্ধবিরতি পূর্ণাঙ্গ নয়। মঙ্গলবার সকাল থেকেই আবার ইজরায়েলি বাহিনী শকুন-হায়নার মতো তাদের ওপর ঝাঁপিয়ে পড়বে। ইহুদি প্রধানমন্ত্রী নেতানিয়াহু প্রথম থেকেই বলে চলেছেন, গাজা থেকে হামাসকে নির্মূল না করা পর্যন্ত যুদ্ধ চলবে।
সাংবাদিক হানি মাহমুদ এর মতে, গাজায় প্রায় ১৭-১৮ লাখ বাস্তুচ্যুত মানুষ মানবেতর জীবন কাটাচ্ছে। জীবন বাঁচাতে অবরুদ্ধ উপত্যকায় এক জায়গা থেকে অন্য জায়গায় হন্যে হয়ে ছুটে বেড়াচ্ছে তারা। কেউই নিজ বাড়িতে ফিরতে পারছে না। সবথেকে অসুবিধা ও কষ্টের মধ্যে দিন গুরান হচ্ছে গর্ভবতী মহিলা, শিশু, অসুস্থ এবং মুরুব্বীরা। তারা তো দ্রুত এক জায়গা থেকে অন্যত্র ছুটে পালাতে পারছে না। ফলে তাদের ওপরেই বেশি বোমার আঘাত হানছে এবং এদেরই বেশি প্রাণহানি হচ্ছে।
: ছবিতে ইজরায়েলি প্রধানমন্ত্রী নেতানিয়াহু ও প্রতিরক্ষামন্ত্রী ইয়োভ গ্যালান্ট