হিজাব মুসলিম নারীদের ধর্মীয় স্বাধীনতা, কোন প্রতিষ্ঠান তা কেড়ে নিতে পারে না: এসআইও

মীযান ডেস্ক: অতি সম্প্রতি কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধীনস্ত এক বেসরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান- এলজেডি আইন কলেজের একজন মুসলিম অধ্যাপিকা হিজাব পরার জন্য হয়রানির শিকার হন। অধ্যাপিকা সানজিদা কাদিরকে কলেজ কর্তৃপক্ষ শ্রেণিকক্ষে হিজাব পরতে নিষেধ করেন। সংবিধানে ধর্মীয় স্বাধীনতার কথা উল্লেখ থাকলেও কলেজের হিজাব-বিরোধী নীতির কারণে ওই অধ্যাপিকাকে হিজাব পরিধানে বাধা দেওয়া হয়, যার ফলে তিনি পদত্যাগ করতে বাধ্য হন। শুধু এই অধ্যাপিকাই নন, এমনকি ওই কলেজের কিছু ছাত্রীও হিজাব পরার জন্য অনুরূপ হয়রানির শিকার হয়েছেন বলে অভিযোগ উঠেছে। যেখানে কলেজের ড্রেস কোড সাদা ওড়না অনুমতি দিয়েছে সেখানে সাদা রঙের হিজাব পরার জন্য বাধা কেন দেওয়া হচ্ছে? এই বৈষম্য ভারতীয় সংবিধানের ধর্মীয় স্বাধীনতা ও মানবাধিকারের মূল্যবোধের পরিপন্থী।

এ ঘটনায় স্টুডেন্টস ইসলামিক অর্গানাইজেশন বা এসআইও-র রাজ্য সভাপতি সাইদ মামুন বলেন, “শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে এই ধরনের বৈষম্য সাংবিধানিক মৌলিক অধিকারের পরিপন্থী। আমরা এসব কর্মকাণ্ডের তীব্র নিন্দা জানাই। অবিলম্বে আইনি পদক্ষেপ গ্রহণ করে কলেজ কর্তৃপক্ষকে বিচারের আওতায় আনতে হবে। সেই সঙ্গে অধ্যাপিকা সানজিদা কাদিরের চাকরি পুনর্বহাল করা-সহ সমস্ত মুসলিম ছাত্রীদের পড়াশোনায় কোন বিরূপ প্রভাব যাতে না পড়ে, তা নিশ্চিত করতে হবে শিক্ষা দফতরকে। ন্যায় ও সাম্যের জন্য তাঁদের এই লড়াইয়ে যোগদান করার জন্য আমরা সকল শিক্ষা প্রতিষ্ঠান, সরকারী সংস্থা এবং সুশীল সমাজের প্রতি আহ্বান জানাই।” এছাড়াও তিনি বলেন, বিগত দিনেও হিজাব নিয়ে হয়রানির শিকার হতে হয়েছে মুসলিম মহিলা ও ছাত্রীদেরকে। ভবিষ্যতে যাতে এই ধরনের ঘটনার পুনরাবৃত্তি না ঘটে, তার জন্য সরকারকে সজাগ দৃষ্টি রাখার আহ্বান জানান এসআইও-র রাজ্য সভাপতি।

Stay Connected

Advt.

%d bloggers like this: