মীযান ডেস্ক: দেখতে দেখতে তিন সপ্তাহ বা ২০ কেটে গেল। ৩১ জুলাই বিজেপি শাসিত ডাবল ইঞ্জিন হরিয়ানায় সংখ্যালঘুদের ওপর চাপিয়ে দেওয়া হয়েছিল একতরফা দাঙ্গা। অভিযোগ উঠেছে রাষ্ট্রীয় সন্ত্রাসের। সুপ্রিম কোর্টের একাধিক পর্যবেক্ষণে হরিয়ানা সরকারকে তুলোধনা করা হয়েছে। বিজেপির রাজ্য সরকারের কাছে দেশের সর্বোচ্চ আদালত জানতে চেয়েছে যে কেন, বেছে বেছে মুসলিমদের ঘরবাড়ি, দোকানপাট, ধর্মীয় স্থাপনায় হামলা হল। বুলডোজার চালিয়ে কেন জাতিগত নিকেশ অভিযান চালাবে একটা রাজ্য বা রাষ্ট্র? এ প্রসঙ্গে রাজ্য সরকারের কাছে হলফনামা চেয়েছে আদালত।
এদিকে পরিসংখ্যান বলছে, হরিয়ানার নুহ ও গুরুগ্রামে উচ্ছেদ অভিযানের জেরে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন মোট ৩৫৪ জন। তাঁদের মধ্যে ৭১ জন হিন্দু এবং ২৮৩ জন মুসলিম। হরিয়ানা ও পাঞ্জাব হাইকোর্টকে একথা জানিয়েছেন রাজ্যের ডেপুটি কমিশনার ধীরেন্দ্র খাদগাতা। হরিয়ানায় সম্প্রতি সাম্প্রদায়িক অশান্তির পর ওই এলাকাগুলিতে অমানবিক ও পাশবিকভাবে বুলডোজার অভিযান চালায় রাজ্যের মনোহরলাল খট্টর সরকার। গত ৩১ জুলাই এক ধর্মীয় মিছিলকে কেন্দ্র করে উত্তপ্ত হয়ে উঠে নুহ। দুই সম্প্রদায়ের মানুষদের মধ্যে সংঘর্ষের জেরে পুলিসের এক কনস্টেবল সহ প্রাণ হারান ছ’জন। পরে নিহতের সংখ্যা আরও বাড়ে। হিংসার আগুন ছড়িয়ে পড়ে পার্শ্ববর্তী গুরুগ্রাম সহ বেশ কিছু এলাকায়। এরপরেই জোরকদমে উচ্ছেদ অভিযান শুরু করেছিল প্রশাসন। বিচারপতি রবিশঙ্কর ঝা ও বিচারপতি অরুণ পাল্লির বেঞ্চকে হরিয়ানা সরকার জানায়, ২০১১ সালের জন সমীক্ষা অনুযায়ী, নুহ মুসলিমবহুল অঞ্চল। নুহের পুনহানা তেহসিলে মোট জনসংখ্যার ৮৭ শতাংশ মুসলিম। ফিরোজপুর ঝিরকার ক্ষেত্রে তা ৮৫ শতাংশ। চলতি সপ্তাহের শুরুতেই সরকারের উচ্ছেদ অভিযানের উদ্দেশ্য নিয়ে প্রশ্ন তুলেছিল হাইকোর্ট।