ইমরান খানের তিন বছর কারাদণ্ড

মীযান ডেস্ক: আদালতে আবারও বড় রকমের ধাক্কা খেলেন পাকিস্তানের প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান। তোষাখানা মামলায় ইসলামাবাদের নিম্ন আদালতের রায়ে দোষী সাব্যস্ত হয়েছেন প্রাক্তন পাক ক্রিকেট টিমের ক্যাপ্টেন। শনিবার তাঁকে তিন বছর কারাদণ্ডের সাজা শোনাল সে দেশের আদালত। ফলে পাকিস্তানের আইন অনুযায়ী আগামী পাঁচ বছর ভোটে লড়তে পারবেন না কিং খান। কারাদণ্ডের পাশাপাশি ১ লক্ষ রুপি জরিমানাও ধার্য করা হয়েছে পাকিস্তান তেহরিক-ই-ইনসাফ দলের সর্বোচ্চ নেতার জন্য।

এদিন আদালতের রায় ঘোষণার পরেই বাড়ি থেকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে ইমরানকে, এমনটাই জানা গিয়েছে বলে সূত্র মারফত খবর পাওয়া গিয়েছে। যদিও এই নির্দেশকে চ্যালেঞ্জ জানিয়ে উচ্চ আদালত বা হাইকোর্টে যাওয়ার সিদ্ধান্ত নিচ্ছে ইমরানের দলের নেতারা। চলতি বছরের শেষদিকে পাকিস্তানে সাধারণ নির্বাচন হওয়ার কথা। সেক্ষেত্রে ইমরান খান ভোটে না লড়তে পারলে লাভ হবে প্রধানমন্ত্রী শাহবাজ শরিফের। এই মুহূর্তে পাকিস্তানে বিপুল জনপ্রিয় ইমরান। তাই তাঁর গ্রেপ্তারির ফলে দেশে বড় ধরনের অশান্তি যাতে না ছড়ায় সেদিকে নজর রয়েছে প্রশাসনের।

২০১৮ থেকে ২০২২ পর্যন্ত পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী ছিলেন ইমরান খান। সে সময় বিদেশ সফরে গিয়ে বহু উপহার পান তিনি। সে দেশের নিয়ম অনুসারে সেইসব উপহার জমা রাখার কথা সরকারি তোষাখানায়। ক্যাবিনেট বিভাগ তোষাখানার দেখভাল করে। ইমরানের বিরুদ্ধে অভিযোগ, উপহার বাবদ পাওয়া জিনিসপত্র তোষাখানায় জমা না দিয়ে সেগুলি নাকি বিক্রি করে দিয়েছেন। পাকিস্তানি মুদ্রায় প্রায় ১৪ কোটি রুপি মূল্যের উপহারসামগ্রী বিক্রি করেছেন তিনি। এই অভিযোগের পর পাকিস্তানি সংসদের নিম্নকক্ষ ন্যাশনাল অ্যাসেম্বলির সদস্যপদ খোয়ান ইমরান।

তবে বিশেষজ্ঞদের মতে, আসন্ন পার্লামেন্ট নির্বাচনে জিতে শরিফ পরিবারের হাতেই যাতে ক্ষমতা থাকে, সে জন্য হীন রাজনৈতিক উদ্দেশ্যে ইমরানকে কলঙ্কিত করা হচ্ছে। যাতে তিনি নির্বাচনে অংশ নিতে না পারেন। তাহলে শরিফদের জেতার পথ মসৃণ হবে।

 

Stay Connected

Advt.

%d bloggers like this: