মীযান ডেস্ক: যুদ্ধবিধ্বস্ত ফিলিস্তিনের জনগণের জন্য মানবিক সহায়তা পাঠাল ভারত সরকার। এর মধ্যে রয়েছে চিকিৎসা সহায়তা এবং ত্রাণ সামগ্রী। এই সংবাদ নিশ্চিত করে ভারতীয় বিদেশ মন্ত্রকের মুখপাত্র অরিন্দম বাগচি জানিয়েছেন, চিকিৎসা সরবরাহের মধ্যে জরুরি ও আপৎকালীন পরিস্থিতি মোকাবিলার লক্ষ্যে প্রয়োজনীয় জীবনদায়ী ওষুধ, প্রতিরক্ষামূলক ও অস্ত্রোপচারের সামগ্রী অন্তর্ভুক্ত রয়েছে।
নয়াদিল্লি থেকে বিদেশ মন্ত্রক সূত্রে জানা গেছে, মানবিক সহায়তায় তরল ও ব্যথানাশক ওষুধ অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে। সাড়ে ৩৮ টন ওজনের ত্রাণ সামগ্রীর মধ্যে রয়েছে তাঁবু, স্লিপিং ব্যাগ, ত্রিপল, স্যানিটারি ইউটিলিটি, পানি বিশুদ্ধকরণ ট্যাবলেট ইত্যাদি রয়েছে। ত্রাণসামগ্রী বহনকারী ভারতীয় বিমান বাহিনীর একটি সি-১৭ বিমান সোমবার সকালে হিন্দন বিমানঘাঁটি থেকে রওনা দিয়ে বিকেল ৩টায় মিসরের এল-আরিশ বিমানবন্দরে অবতরণ করে।
উল্লেখ্য, গত ৭ অক্টোবর হামাস প্রথমে ইজরায়েলে ঢুকে রকেট হামলা চালালে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি হামাসকে জঙ্গি বলে আখ্যা দিয়ে নিন্দা করেন। কিন্তু তারপর বিদেশ মন্ত্রক থেকে সাফ বলা হয়, ফিলিস্তিনের স্বাধীনতার দাবিকে ভারত সমর্থন করে। তারা স্বাধীন রাষ্ট্র হোক, বরাবর এটা ভারত সরকার চায়। আবার কদিন আগে গাজার এক হাসপাতালে ইজরায়েলি হামলায় প্রায় ৮০০ মানুষ নিহত হলে, ভারত সরকার তীব্র নিন্দা করে এবং হাসপাতালে হামলাকারীদের শাস্তির পক্ষেও জোরালো সওয়াল করেছে ভারত। সরকারের এই অবস্থানের প্রশংসা করেছে ভারতীয় মুসলিমরা।
উল্লেখ্য, ইজরায়েল সরকারের সঙ্গে চুক্তি মেনে এতদিন মিশরের আলসিসি সরকার রাফা ক্রসিং বন্ধ রেখেছিল। ২০০৬ সাল থেকে টানা ১৭ বছর গাজা উপত্যকাকে তিনদিন থেকে অবরুদ্ধ করে রেখেছে ইজরায়েল। তাদের একমাত্র বের হবার রাস্তা হল এই রাফা ক্রসিং। আলসিসির আগে মিশরের প্রেসিডেন্ট অধ্যাপক মুহাম্মদ মুরসি থাকাকালে রাফাহ ক্রসিং খুলে দেওয়া হয়েছিল। কিন্তু আমেরিকা, ইজরায়েল ও আরবদের সঙ্গে গোপন সমঝোতা করে ২০১৩ সালের মাঝামাঝি সেনা অভ্যুত্থান ঘটিয়ে মুরসি সরকারকে উৎখাত করে মিশরের মসনদ দখল করেন আলসিসি। তাই নিজের গদি বাঁচাতে তাকে সবক্ষেত্রে পশ্চিমা ও ইজরায়েলের তাঁবেদারি করতে হয়।