মীযান ডেস্ক: অধিকৃত পশ্চিম তীরের চরমপন্থী ইজরায়েলিদের বিরুদ্ধে কঠোর পদক্ষেপ নেওয়ার আহ্বান জানাল আয়ারল্যান্ড। দেশটির উপ-প্রধানমন্ত্রী মাইকেল মার্টিন বলেছেন, “দখলকৃত পশ্চিম তীরে ফিলিস্তিনিদের জমি দখল এবং সহিংসতার জন্য দোষী ইহুদী জবরদখলকারীদের বিরুদ্ধে অবশ্যই ভ্রমণ নিষেধাজ্ঞার চেয়ে আরও কঠোর কিছু করতে হবে। আমরা মনে করি পশ্চিম তীরে যা ঘটছে তা মর্মান্তিক, এটি রাষ্ট্রসংঘের প্রস্তাবের লঙ্ঘন, আন্তর্জাতিক মানবাধিকর আইনের লঙ্ঘন। আমরা রাষ্ট্রসংঘে এটা স্পষ্ট করে দিয়েছি যে, ইজরায়েলকে অবিলম্বে যুদ্ধ বন্ধ করতে হবে।”
ইজরায়েল সন্ত্রাসী রাষ্ট্র: কিউবা
ইজরায়েল একটি সন্ত্রাসী রাষ্ট্র। তারা গাজায় বেপরোয়াভাবে লাগাতার ধ্বংসযজ্ঞ ও গণহত্যা চালিয়ে যাচ্ছে। এভাবেই কড়া ভাষায় ইজরায়েলকে আক্রমণ করলেন কিউবার প্রেসিডেন্ট মিগুয়েল দিয়াজ-ক্যানেল। উল্লেখ্য, ইজরায়েলের সঙ্গে কিউবার কোনো কূটনৈতিক সম্পর্ক নেই। প্রথম থেকেই ইজরায়েলের চরম বিরোধী রাষ্ট্র হিসেবে পরিচিত কিউবা তথা লাতিন আমেরিকার দেশগুলো। গত ৭ই অক্টোবর থেকে গাজায় একতরফা যুদ্ধ শুরুর পর থেকে ইজরায়েলের বিরুদ্ধে আরও কঠিন অবস্থান নিয়েছে কিউবা। এক্সে করা এক পোস্টে কিউবার প্রেসিডেন্ট বলেন, ইজরায়েল যা করছে তা সমগ্র মানবজাতির জন্যই অপমানজনক। কিন্তু তারপরেও পশ্চিমাদের সমর্থন থাকায় তারা ছাড় পেয়ে যাচ্ছে। তিনি আরও বলেন, কিউবা বরাবর ফিলিস্তিনের পক্ষে সোচ্চার ছিল এবং থাকবে।
উল্লেখ্য, গত সপ্তাহে কিউবার পার্লামেন্ট ফিলিস্তিনিদের প্রতি সমর্থন জানিয়ে একটি প্রস্তাব পাস করেছে। যাতে বলা হয়েছে, ইজরায়েল গণহত্যা চালাচ্ছে, যা থামাতে ব্যর্থ আন্তর্জাতিক মহল। আমরা এই গণহত্যায় আমেরিকার জড়িত থাকার তীব্র নিন্দা জানাই। রাষ্ট্রসংঘে ভেটো প্রয়োগ করে আমেরিকা যেভাবে ইজরায়েলকে রক্ষা করে চলেছে তার নিন্দা জানায় কিউবা।
ছবিতে কিউবার প্রেসিডেন্ট মিগুয়েল দিয়াজ-ক্যানেল