মীযান ডেস্ক: ফিলিস্তিনে এই প্রথমবারের মতো রাষ্ট্রদূত নিয়োগ করল সৌদি আরব। কিন্তু ইসরাইল সাফ জানিয়ে দিয়েছে, ফিলিস্তিনের জন্য জেরুজালেমে কোনও দেশকে দূতাবাস খুলতে দেওয়া হবে না। এদিকে সৌদির এই সিদ্ধান্তকে স্বাগত জানিয়েছে ফিলিস্তিন সরকার। ফিলিস্তিন সংকট সমাধান ও রিয়াদের সঙ্গে কূটনৈতিক সম্পর্ক জোরদারে এই পদক্ষেপ কার্যকর ভূমিকা রাখবে বলে আশা করছেন অনেকে।
জানা গিয়েছে, ফিলিস্তিনি প্রেসিডেন্ট মাহমুদ আব্বাসের কূটনৈতিক উপদেষ্টা মাজদি আল-খালিদি রবিবার জর্ডানে অনাবাসী দূত হিসেবে রাষ্ট্রদূত নায়েফ আল-সুদাইরির পরিচয়পত্রের একটি অনুলিপি হাতে পেয়েছেন। তবে সর্বশেষে খবর অনুযায়ী, জেরুজালেমে সৌদিকে দূতাবাস খুলতে দিতে অনুমতি দেয়নি ইসরাইল।
উল্লেখ্য, গত কয়েক মাস ধরে ইসরায়েল-ফিলিস্তিনের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনা অনেক বেড়েছে। এ বছর ইসরায়েলি বাহিনীর গুলিতে শতাধিক ফিলিস্তিনি প্রাণ হারিয়েছেন। সম্প্রতি ইসরায়েলি আগ্রাসনের নিন্দা জানিয়েছে আরব দেশগুলো।
এদিকে ইসরায়েলের পররাষ্ট্রমন্ত্রী এলি কোহেন রোববার বলেছেন, নতুন রাষ্ট্রদূত নায়েফ আল-সুদাইরি ফিলিস্তিনি কর্তৃপক্ষের সঙ্গে দেখা করতে পারেন। তবে জেরুজালেমে তার জন্য কোনো নির্দিষ্ট কার্যালয় থাকবে না। আমরা কখনোই এই অনুমতি দেব না।’
ফিলিস্তিনি ভূখণ্ডের ফাইল ঐতিহ্যগতভাবে ভায়া জর্ডান সৌদি আরবের দূতাবাসের মাধ্যমে পরিচালিত হয়। জেরুজালেমকে নিজেদের রাজধানী দাবি করে আসছে ইসরায়েল। ১৯৬৭ সালে আরব-ইসরায়েল যুদ্ধে ইসরাইলের কাছে পরাজিত হয় ফিলিস্তিনিরা। সেই থেকেই জেরুজালেম দখল করে রেখেছে ইসরায়েল। দীর্ঘদিন ধরে পূর্ব জেরুজালেমকে রাজধানী করে স্বাধীন ফিলিস্তিন রাষ্ট্র গঠনের ন্যায়সংগত দাবিতে শান্তিপূর্ণ আন্দোলন চালিয়ে যাচ্ছে ফিলিস্তিনিরা।
২০১৭ সালের ৬ ডিসেম্বর মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প বিশ্ব জনমতকে পদদলিত করে গাজোয়ারি করে একতরফাভাবে জেরুজালেমকে ইসরায়েলের রাজধানী হিসেবে স্বীকৃতি দেয়। ২১ ডিসেম্বর রাষ্ট্রসংঘের জেনারেল অধিবেশনে ট্রাম্পের সেই কুখ্যাত ঘোষণা খারিজ হয়ে যায়। কিন্তু তবুও মার্কিন মদদে ইসরাইল জেরুজালেমকে তাদের নতুন রাজধানী হিসেবে ব্যবহার করছে। তেলআবিব থেকে তাদের রাজধানী সরিয়ে সমস্ত গুরুত্বপূর্ণ অফিস জেরুজালেমে স্থানান্তর করেছে। আমেরিকা-সহ বেশ কিছু দেশ জেরুজালেমে তাদের নতুন দূতাবাস স্থাপন বা স্থানান্তর করেছে।
