মীযান ডেস্ক: আগামী ১ থেকে ৩০ সেপ্টেম্বর ২০২৪ একমাস ব্যাপী দেশজুড়ে এক ক্যাম্পেইন বা প্রচারাভিযানের কর্মসূচি হাতে নিয়েছে জামাআতে ইসলামী হিন্দ। এই ক্যাম্পেইনের শিরোনাম ”নৈতিকতাই স্বাধীনতার ভিত্তি।” প্রস্তাবিত ক্যাম্পেইন সফল করতে ইতিমধ্যেই দেশের সমস্ত রাজ্যে প্রস্তুতি শুরু করে দিয়েছে সংগঠনের কর্মকর্তারা। সেই মতো রবিবার ১১ আগস্ট পশ্চিমবঙ্গ জামাআতের তরফে হাওড়া জেলার উলুবেড়িয়ার নিমদিঘিতে সোসাইটি আপলিফটমেন্ট সেন্টারে এক অভিনব ওরিয়েন্টেশন ক্যাম্প অনুষ্ঠিত হল। এই ক্যাম্পে অংশগ্রহণ করেন জামাআতের কলকাতা মেট্রোসিটি, হাওড়া, হুগলী, উত্তর ও দক্ষিণ চব্বিশ পরগনা, পূর্ব ও পশ্চিম মেদিনীপুর ও পূর্ব ও পশ্চিম বর্ধমান জেলার মোকামী আমীর ও জেলা নাযিমগণ।
জামাআতের রাজ্য সম্পাদকমণ্ডলীর সদস্য মুহা. তাহেরুল হক সাহেবের ‘সামাজিক অবক্ষয়’ বিষয়ে দারসুল কুরআনের মাধ্যমে প্রোগ্রাম আরম্ভ হয়। ‘পর্দা ও নারী স্বাধীনতা’ বিষয়ক আলোচনাচক্রে অংশগ্রহণ করেন হাওড়ার জেলা নাযিমা রোকেয়া মোল্লা, কলকাতা মেট্রোসিটির নাযিমা মাহফুজা খাতুন, উত্তর ২৪ পরগনার জেলা নাযিমা ফিরোজা খানম, জিআইও হাওড়া জেলার সভানেত্রী সুমাইয়া সুলতানা, জিআইও উত্তর ২৪ পরগনার জেলা সভানেত্রী নাঈমা খাতুন প্রমুখ। এরপর পরিপূরক বক্তব্য রাখেন রাজ্য জামাআতের মহিলা শাখার সেক্রেটারি মঞ্জুরা খাতুন।
‘হযরত ইউসূফ (আ.) এর জীবনের আলোকে যুব সমাজের চরিত্র গঠন’ বিষয়ে আলোকপাত করেন প্রাক্তন আমীরে হালকা রহমত আলি খান সাহেব। ‘ক্যাম্পেইন সফল করতে করণীয় কী’? – এ বিষয়ে প্রয়োজনীয় দিকনির্দেশনা দেন সেক্রেটারি হালকা মোহা. মশিউর রহমান। ‘আধুনিক যুগে পারিবারিক জীবনাচার ও ইসলামী মূল্যবোধ’ বিষয়ে আলোচনা করেন প্রাক্তন আমীরে হালকা মুহা. নূরুদ্দিন সাহেব। ‘সমকামিতা ও বিবাহ বহির্ভূত সম্পর্কের পাশ্চাত্য ধারণা’ বিষয়ে আলোচনা রাখেন রাজ্য সম্পাদকমণ্ডলীর সদস্য শা’দাব মাসুম সাহেব। ‘স্বাধীনতার ইসলামী ধারণা ও সমকালীন চিন্তাধারা’ শিরোনামে প্যানেল ডিসকাশনে অংশগ্রহণ করেন পূর্ব মেদিনীপুরের জেলা নাযিম শরিফুল হাসান মির্জা, কলকাতা মেট্রোসিটির নাযিম জুলফিকার আলি গাজী, উত্তর ২৪ পরগনার জেলা নাযিম মাওলানা রফিকুল ইসলাম, দক্ষিণ ২৪ পরগনার জেলা নাযিম সানোয়ার আলি পৈলান, হুগলীর জেলা নাযিম সৈয়দ সাইফুল্লাহ সাহেব।
প্যানেল ডিসকাশনের ওপর পরিপূরক বক্তব্য রাখেন জামাআতের রাজ্য সম্পাদকমণ্ডলীর সদস্য নাসিম আলি সাহেব। সবশেষে যাদেরাহ বা পথের সম্বল হিসেবে নসীহত করেন আমীরে হালকা ডা. মসিহুর রহমান সাহেব। প্রথম অধিবেশনে কনভেনর ছিলেন কোলাঘাটের আঞ্চলিক নাযিম মুজিবর রহমান এবং দ্বিতীয় অধিবেশনে কনভেনর ছিলেন সাইফুল্লাহ সারেং। নাযিমে ইজতেমার দায়িত্বে ছিলেন হাওড়ার জেলা নাযিম নূর আহমাদ মোল্লা।