মীযান ডেস্ক: চীনা লালফৌজের সীমান্ত পার আগ্রাসনে নিকটতম প্রতিবেশি দুই দেশের সম্পর্কে যে ফাটল ধরেছে, তা মেরামত করা অত সহজ নয়। ১৮ দফা আলোচনাতেও মেলেনি রফাসূত্র। যদিও লাদাখ সীমান্তে যুদ্ধের মেঘ অনেকটাই কেটেছে। এহেন পরিস্থিতিতে ফের একবার ইন্দো-চীনের সামরিক কর্তারা দ্বিপাক্ষিক বৈঠকে বসতে চলেছেন।
এএনআই সূত্রে খবর, সোমবার ১৪ আগস্ট বৈঠকে বসবেন ভারত ও চীনের সেনাবাহিনীর কমান্ডাররা। এর আগে দুই দেশের বাহিনীর মধ্যে ১৮ দফা আলোচনা হলেও সীমান্ত বিবাদ মেটাতে সেই অর্থে বড় রকমের কোনও সাফল্য মেলেনি। এহেন পরিস্থিতিতে এবারের বৈঠকের উদ্দেশ্য হচ্ছে, পূর্ব লাদাখে প্রকৃত নিয়ন্ত্রণরেখা বরাবর সংঘর্ষের কেন্দ্রগুলি থেকে সেনা প্রত্যাহার ও শান্তি বজায় রাখা। লালফৌজের সঙ্গে আলোচনায় ভারতের প্রতিনিধিত্ব করবেন ‘ফায়ার অ্যান্ড ফিউরি’ কোর কমান্ডার লেফটেন্যান্ট জেনারেল রাশিম বালি। সূত্রের খবর, লাদাখ সীমান্তের চুশুল-মলডো বর্ডার পয়েন্টে আলোচনায় বসবে উভয় পক্ষ।
অতীতে সীমান্ত সমস্যার সমাধান চেয়ে বৈঠকে বসেন ভারত এবং চীনের বিদেশমন্ত্রী। গত বছর জি-২০ দেশগুলির বিদেশমন্ত্রী পর্যায়ের সম্মেলনে যোগ দিতে ইন্দোনেশিয়ার বালিতে গিয়েছিলেন ভারতের বিদেশমন্ত্রী এস জয়শংকর। সেখানেই চীনা বিদেশমন্ত্রী ওয়াং ই-র সঙ্গে এক ঘণ্টার বৈঠক হয়েছিল।
উল্লেখ্য, ২০২০ সাল থেকেই পূর্ব লাদাখে মুখোমুখি ভারত ও চীনের সেনাবাহিনী। গালওয়ান উপত্যকায় সংঘর্ষের পর পরিস্থিতি সবচেয়ে জটিল হয়ে ওঠে প্যাংগং হ্রদ সংলগ্ন ফিঙ্গার এলাকাগুলিতে। সেখানেই অল্পের জন্য যুদ্ধের হাত থেকে রক্ষা পায় পরমাণু শক্তিধর দুই দেশ। তবে লাগাতার আলোচনার মাধ্যমে ২০২১ সালে প্যাংগং থেকে ফৌজ সরিয়ে নিয়েছে দুই দেশ। এবার সমগ্র পূর্ব লাদাখজুড়ে সেনা প্রত্যাহারের উদ্দেশে আলোচনা চলছে দিল্লি ও বেজিংয়ের মধ্যে।
