মীযান ডেস্ক: ফিলিস্তিনের গাজা উপত্যকায় ‘মানবিক বিপর্যয়’ তথা যুদ্ধ থামাতে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়কে জরুরি পদক্ষেপ নেওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন চীনের বিদেশমন্ত্রী ওয়াং ই। সোমবার ২০ নভেম্বর চীনের রাজধানী বেইজিংয়ে মুসলিম দেশগুলোর কূটনীতিকদের সঙ্গে এক জরুরি বৈঠকে তিনি বলেন, যত দ্রুত সম্ভব গাজা পরিস্থিতি শান্ত করে মধ্যপ্রাচ্যে শান্তি ফেরাতে আসুন, আমরা একসঙ্গে কাজ করি।
গাজায় চরম মানবিক বিপর্যয় দেখা দিয়েছে বলে উল্লেখ করে ওয়াং বলেছেন, সব দেশেই গাজা পরিস্থিতির কমবেশি প্রভাব পড়ছে। এ সংঘাত যেন আরও বেশি ছড়িয়ে না পড়ে, তা নিশ্চিত করতে জরুরি ভিত্তিতে কার্যকর পদক্ষেপ নিতে হবে। তিনি এও বলেন, ঐতিহাসিকভাবেই ফিলিস্তিনিদের প্রতি সহানুভূতিশীল চীন। আমরা বরাবর দ্বি-রাষ্ট্রীয় সমাধানের পক্ষে। আমরা সব সময় আরব ও মুসলিম দেশগুলোর বৈধ অধিকার ও স্বার্থকে দৃঢ় সমর্থন জানিয়ে এসেছি। এ সংঘাতে ন্যায়বিচার ও ন্যায়পরায়ণতার পক্ষে চীন সুদৃঢ় অবস্থান নিয়েছে।’
মধ্যপ্রাচ্য সংঘাতের তীব্রতা কমানোর লক্ষ্যে ফিলিস্তিন, ইন্দোনেশিয়া, মিসর, সৌদি আরব ও জর্ডানের বিদেশমন্ত্রী ও তাদের প্রতিনিধিরা বেইজিংয়ে আলোচনা করছেন। উপস্থিত ছিলেন ইসলামি সহযোগিতা সংস্থা ওআইসি-র সেক্রেটারি জেনারেল বা মহাসচিব হুসেন ইব্রাহীম ত্বাহা। গত ৭ অক্টোবর থেকে শুরু হওয়া দেড় মাসের গাজা যুদ্ধে এ পর্যন্ত ইসরাইলের ১২০০ এবং ফিলিস্তিনের সাড়ে ১৩ হাজার মানুষের প্রাণহানি হয়েছে। নিহতের মধ্যে প্রায় ৬ হাজার শিশু।
উল্লেখ্য, কদিন আগে আমেরিকা সফরে গিয়ে মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের সঙ্গে বৈঠক করেন চীনা প্রেসিডেন্ট শি জিনপিং। কিন্তু কূটনৈতিক সূত্রে যতদূর জানা গেছে, ওই শীর্ষ বৈঠকে গাজায় ইজরায়েলি যুদ্ধ ইস্যুতে দুই রাষ্ট্রপ্রধানের মধ্যে কোনও আলোচনা হয়নি। অথচ মধ্যপ্রাচ্যে চলমান যুদ্ধে ইজরায়েলের পাশে দাঁড়িয়ে অর্থ ও অস্ত্র দিয়ে সবরকম সাহায্য করছে আমেরিকা। এমতাবস্থায় চীনা প্রেসিডেন্ট ওয়াশিংটন গিয়ে মুখে কুলুপ এঁটে রইলেন। আর এখন যুদ্ধ বন্ধের লক্ষ্যে কয়েকটি মুসলিম দেশের প্রতিনিধিকে নিয়ে বৈঠক করে লাভ কিছু হবে কি? একে কুমিরের কান্না ছাড়া আর কী বলা যেতে পারে। চীন বরাবরই সুবিধাবাদী দেশ। তারা উইঘুর মুসলিমদেরকে জাতিগতভাবে নিকেশের লক্ষ্যে চরম বর্বরতা ও পাশবিকতা চালিয়ে যাচ্ছে, অথচ গাজাবাসীর জন্য দরদ দেখাচ্ছে। এই দ্বিচারিতা দিয়ে চীনের কাছ থেকে কিছুই আশা করা যায় না।