মীযান ডেস্ক: ফিলিস্তিনের গাজা উপত্যকায় ইজরায়েলের অব্যাহত নির্বিচার বোমা হামলার প্রতিবাদে গতকাল শুক্রবার আরব বিশ্বের বিভিন্ন দেশে অগণিত মানুষ প্রতিবাদ বিক্ষোভ দেখালেন। বিশ্বের সবথেকে ঘন জনবসতিপূর্ণ অঞ্চল গাজায় গত ৭ অক্টোবর থেকে প্রথমে আকাশপথে বোমাবর্ষণ এবং পরে স্থলপথে সামরিক হামলা চালিয়ে যাচ্ছে ইজরায়েল।
বাড়িঘর, হাসপাতাল, স্কুল, শরণার্থী শিবির-সহ সমগ্র গাজা উপত্যকায় নির্বিচারে বিমান হামলা চালিয়ে যুদ্ধ সংক্রান্ত আন্তর্জাতিক সব আইনকে বুড়ো আঙুল দেখিয়ে অবাধে সবকিছু ধ্বংস ও গণহত্যা চালিয়ে যাচ্ছে। তাদের এই বর্বরোচিত ও পাশবিক হামলায় এ পর্যন্ত প্রায় ১৮ হাজার গাজাবাসী তথা ফিলিস্তিনি নাগরিক নিহত হয়েছেন, যাঁদের বেশির ভাগ নারী ও শিশু।
গাজাবাসীর প্রতি সহমর্মিতা ও সমর্থন জানিয়ে আরব বিশ্বের বিভিন্ন দেশে প্ল্যাকার্ড ও ফিলিস্তিনের জাতীয় পতাকা হাতে রাস্তায় নেমে আসেন লাখো লাখো মানুষ। গতকাল শুক্রবার জুমার নামাযের পর ফিলিস্তিন ছাড়াও জর্ডান, ইয়েমেন, লেবানন, ইরান, তুরস্ক, কুয়েত, কাতার-সহ বিভিন্ন দেশে প্রতিবাদ বিক্ষোভ হয়। যদিও অআরব দেশগুলোর সরকার ও রাজা-বাদশাহরা এ ব্যাপারে নির্বিকার অথবা মৌন রয়েছে। এদের অধিকাংশই ইজরায়েল-বান্ধব নীতি নিয়ে চলে। কিন্তু এইসব দেশের জনগণের একটা বড় অংশ ফিলিস্তিনপন্থী।
জর্ডানের রাজধানী আম্মানে এদিন সবথেকে বেশি মানুষ প্রতিবাদে গর্জে ওঠেন। তারা স্লোগান দিতে থাকেন—‘মানুষ ফিলিস্তিনের স্বাধীনতা চায়’, ‘আমরা মরব, কিন্তু ফিলিস্তিন বেঁচে থাকবে’। জর্ডানে মার্কিন দূতাবাসের সামনে হাজার হাজার মানুষ আমেরিকা-বিরোধী বিক্ষোভে যোগ দেন। ইজরায়েলের সঙ্গে কূটনৈতিক সম্পর্ক বজায় রাখা জর্ডানে বিপুলসংখ্যক ফিলিস্তিনি বসবাস করেন।
লেবাননেও গতকাল হাজার হাজার বিক্ষোভকারী রাস্তায় নেমে আসেন। এ সময় অনেকে ‘গাজা’ লেখা ফিতা নিজেদের মুখে লাগিয়ে দেন। তাঁরা গাজায় যুদ্ধ বন্ধ এবং অবিলম্বে যুদ্ধবিরতি কার্যকর করার দাবিতে স্লোগান দেন। রাজধানী বৈরুতে ফরাসি দূতাবাসের সামনে হাজার হাজার মানুষ নীরব অবস্থান কর্মসূচি পালন করেন। তাদের অনেকের সামনে প্রতীকী কফিন দেখা যায়। এছাড়াও এদিন জুম্মার নামাযের পর ইরান, কাতার, কুয়েত, তুরস্কের মতো দেশগুলোতেও বিশাল প্রতিবাদ বিক্ষোভ হয়।