মীযান ডেস্ক: লাদাখের মাটিতে দাঁড়িয়ে লাদাখ ইস্যুতে প্রধানমন্ত্রীকে মিথ্যাবাদী বলে তোপ দাগলেন কংগ্রেস নেতা রাহুল গান্ধী। শুক্রবার রাহুল বলেন, লাদাখ নিয়ে মিথ্যে বলছেন নরেন্দ্র মোদি। এই এলাকায় ভারতের থেকে বিশাল পরিমাণ জমি কেড়ে নিয়েছে চিন। কিন্তু সে কথা মানতে নারাজ মোদি। প্রসঙ্গত, লেহ ও লাদাখের বেশ কিছু জায়গায় সফরে গিয়েছেন কংগ্রেসের তরুণতুর্কি সাংসদ রাহুল। সেখানকার স্থানীয় মানুষের সঙ্গে সাক্ষাত করে কথাও বলেছেন তিনি।
উল্লেখ্য, দক্ষিণ আফ্রিকার জোহানেসবার্গে বৃহস্পতিবার ব্রিকস সম্মেলনের শেষে নরেন্দ্র মোদির সঙ্গে কথা বলেন চিনা প্রেসিডেন্ট শি জিনপিং। দুই রাষ্ট্রনেতার এই আলোচনার বিষয়টি প্রকাশ্যে আসতেই লাদাখ নিয়ে মুখ খুলেছেন রাহুল গান্ধী। শুক্রবার তিনি বলেন, “কৌশলগত ক্ষেত্রে লাদাখ খুবই গুরুত্বপূর্ণ এলাকা। সেখানে বিস্তীর্ণ এলাকা দখল করে নিয়েছে চিন। কিন্তু সর্বদল বৈঠকে এসে প্রধানমন্ত্রী বলেছেন, লাদাখের এক ইঞ্চি জমিও দখল করতে পারেনি চিন। এটা একেবারে ডাহা মিথ্যে।” প্রসঙ্গত, লাদাখের সীমান্ত এলাকায় সেনা মোতায়েন করেছে ভারত-চিন দুই দেশই। একাধিকবার অভিযোগ উঠেছে, সীমান্ত পেরিয়ে ভারতীয় এলাকায় ঢুকে জবরদখল করে গ্রাম ও বসতি নির্মাণ করে চলেছে চিন। যদিও এই অভিযোগ উড়িয়ে দিয়েছে কেন্দ্র সরকার।
ভারতীয় বিদেশ সচিব বিনয় কোত্রা জানাচ্ছেন, জিনপিংকে সাফ বার্তা দিয়েছেন মোদি। নিয়ন্ত্রণরেখায় শান্তি বজায় রাখা কতটা দরকার, সে বিষয়ে বলতে গিয়ে প্রধানমন্ত্রী জিনপিংকে বলেছেন, দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক স্বাভাবিক রাখতে নিয়ন্ত্রণরেখার সম্মান বজায় রাখা জরুরি।
এ প্রসঙ্গে বেজিংয়ের তরফে বিবৃতিতে বলা হয়েছে, দুই রাষ্ট্রনায়ক ব্রিকস সামিটের ফাঁকে কথা বলেছেন। দুই দেশের সম্পর্কে কীভাবে উন্নতি ঘটানো যায়, তা নিয়ে যেমন কথা হয়েছে তেমনই কথা হয়েছে অন্যান্য বিষয়েও, যেখানে দুই দেশেরই স্বার্থ জড়িত। তবে লাদাখ সীমান্ত থেকে সেনা প্রত্যাহার নিয়ে কোনও বার্তা দেয়নি দুই দেশ। এহেন পরিস্থিতিতেই রাহুল গান্ধী বলেন, লাদাখ নিয়ে সরাসর ঝুট বলছেন প্রধানমন্ত্রী। উল্লেখ্য, মাত্র কদিন আগেই লাদাখ ইস্যুতে দুই দেশের সেনাকর্তারা বৈঠক করেন। কিন্তু সেই ১৯ দফা বৈঠকও অমীংসিত থেকে যায়।