মামুন ন্যাশনাল স্কুলের সেক্রেটারি কাজী মুহাম্মদ ইয়াসিনকে ‘স্যার সৈয়দ আহমেদ’ পুরস্কার দিল মুসলিম ইনস্টিটিউট কর্তৃপক্ষ

মীযান ডেস্ক: শিক্ষার পাশাপাশি প্রকৃত মানুষ গড়ার কারিগর মামুন ন্যাশনাল স্কুল। বর্ধমান জেলার মেমারীতে অবস্থিত প্রাচীন এই শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের প্রতিষ্ঠাতা প্রাণপুরুষ ছিলেন মরহুম গোলাম আহমেদ মোর্তজা। এই স্কুলেরই বর্তমান সেক্রেটারি মোর্তজা সাহেবের সুযোগ্য পুত্র কাজী মুহাম্মদ ইয়াসিন। মঙ্গলবার তাঁর হাতেই 'স্যার সৈয়দ আহমেদ খান অ্যাওয়ার্ড অফ এক্সেলেন্স' পুরস্কার তুলে দিল মুসলিম ইন্সটিটিউট কর্তৃপক্ষ। এদিন একইসঙ্গে এই পুরস্কার দেওয়া হয় মিল্লি এডুকেশন অর্গানাইজেশনের সম্পাদক মুহাম্মদ জিয়াউদ্দিন হায়দারকেও। পুরস্কার গ্রহণ করে প্রাথমিক প্রতিক্রিয়ায় মামুন ন্যাশনাল স্কুলের বর্তমাণ কর্ণধার তথা সম্পাদক কাজী মুহাম্মদ ইয়াসিন বলেন, মুসলিম ইন্সটিটিউটের মতো এক ইসলামী ঐতিহ্যবাহী প্রতিষ্ঠানের পক্ষ থেকে এই সম্মান পেয়ে আমি অভিভূত এবং আপ্লুত। যদিও এর যথার্থ প্রাপক বা দাবিদার ছিলেন আমার আব্বা জনাব মুহতারাম গোলাম আহমেদ মোর্তজা সাহেব। তাঁরই পদাঙ্ক অনুসরণ করে, তাঁরই দেখানো পথে আমরা মামুন ন্যাশনাল স্কুলকে পরিচালনা করছি। আমাদের মিশনের ভিশন হল শিক্ষার পাশাপাশি প্রকৃত মানুষ গড়ে তোলা।

এদিনের মহতী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে কলকাতা হাইকোর্টের অবসরপ্রাপ্ত বিচারক অসীম কুমার রায় বলেন, স্যার সৈয়দ আহমেদ খান ছিলেন ভারতীয় উপমহাদেশের এক অনন্য শিক্ষাব্রতী। বিশেষ করে তিনি পিছিয়েপড়া সংখ্যালঘু মানুষজনের মধ্যে শিক্ষার প্রসারে প্রচার বিমুখ হয়ে নিরলস কাজতথা সাধনা করে গেছেন। ইসলামের শাশ্বত বাণী প্রচারের পাশাপাশি আধুনিক শিক্ষার আলো সবার ঘরে পৌঁছে দিতে তিনি ছিলেন আলোকবর্তিকা। আর বাঙালি মুসলমান সমাজকে শিক্ষার আলোয় আলোকিত করতে জীবনভর সংগ্রাম চালিয়ে গেছেন বিশিষ্ট ইসলামী চিন্তাবিদ ও ইতিহাসবিদ মরহুম গোলাম মোর্তজা সাহেব। তাই মোর্তজা সাহেবের প্রতিষ্ঠিত মামুন ন্যাশনাল স্কুলের বর্তমান সম্পাদক তথা তাঁরই পুত্র কাজী মুহাম্মদ ইয়াসিন সাহেবকে সম্মানিত করা হল স্যার সৈয়দ আহমেদ খানের নামাঙ্কিত পুরস্কারে।

অনুষ্ঠানে আমন্ত্রিত অতিথি হিসেবে পশ্চিমবঙ্গ সরকারের সংখ্যালঘু উন্নয়ন ও মাদ্রাসা শিক্ষা বিভাগের বিশেষ সচিব আইএএস সাকিল আহমেদ বলেন, ব্রিটিশ শাসিত ভারতে শিক্ষার চেতনায় সংখ্যালঘু মুসলিম সম্প্রদায়ের পিছিয়েপড়া মানুষদেরকে উদ্বুদ্ধ ও অনুপ্রাণিত করেছিলেন স্যার সৈয়দ আহমেদ খান। সে জন্য তাঁকে নানান ঘাত-প্রতিঘাত ও বাধা-বিপত্তির সম্মুখীন হতে হয়েছে। তথাপি তিনি দমে যাননি, মানসিকভাবে ভেঙে পড়েননি বা হতাশ হননি। এদিনের বর্ণময় অনুষ্ঠানে অন্যান্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন অধ্যাপক অচিন চক্রবর্তী, মুসলিম ইন্সটিটিউটের সেক্রেটারি নিসার আহমেদ, নিজাম শামিম প্রমুখ বিশিষ্টজন।

Share :

Stay Connected

Advt.

%d bloggers like this: