মীযান ডেস্ক: শ্বেতশুভ্র পাঞ্জাবীতে তাদেরকে মনে হচ্ছে যেন জান্নাতের অতিথি। কয়েক হাজার শিশু-কিশোর কাতারবন্দি হয়ে দাঁড়িয়ে আছে। সবার কচিকাঁচা মুখে উচ্চারিত হচ্ছে আল্লাহর পাক-পবিত্র কালাম আল কুরআন। সিজদায় লুটিয়ে পড়ছে জমিনে। তাদের উদ্দেশ্য আল্লাহর সুন্তষ্টি অর্জন। উস্তাদরা তাদেরকে নামাযের গুরুত্ব বুঝিয়ে দিচ্ছেন। শেখাচ্ছেন কীভাবে সহীহভাবে নামায পড়তে হয়।
কয়েক হাজার শিশুর অংশগ্রহণে তুরস্কে এভাবেই অনুষ্ঠিত হল অভিনব নামায শিক্ষার বিশেষ এক কর্মসূচি। মঙ্গলবার কাতারভিত্তিক নিউজ এজেন্সি আলজাজিরা জানায়, দেশটির দক্ষিণ-পূর্বাঞ্চলীয় প্রদেশ বাটমানে এই কর্মসূচির আয়োজন করা হয়। আয়োজক ছিল স্থানীয় এক ইসলামী সংগঠন। সংগঠনটির নাম বাংলায় অনুবাদ করলে এমন হতে পারে- ‘কুরআন প্রজন্ম মঞ্চ’। তাদের এবারের কর্মসূচির মূল থিম ছিল- ‘নামাযের মাধ্যমে সুন্দর জীবন গড়ে তোলা’।
এই কর্মসূচিতে ৮ থেকে ১০ বছরের শিশু-কিশোররা অংশ নেয়। কীভাবে তারা দৈনিক পাঁচ ওয়াক্ত নামায আদায় করবে, এখানে হাতে-কলমে অনুশীলনের মাধ্যমে সেটাই মূলত তাদের শিক্ষা দেয়া হয়।
নামায মুসলমানদের কাছে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ ও আবশ্যিক ইবাদত। শৈশব থেকেই বাচ্চাদের নামাযের প্রতি উৎসাহিত করার একাধিক হাদিস বর্ণিত হয়েছে। এক হাদিসে আল্লাহর রাসূল (সা:) বলেন, ‘তোমরা তোমাদের সন্তানদের সাত বছর বয়সে নামাযের তাগিদ বা নির্দেশ দাও। তাদের বয়স ১০ বছর হওয়ার পর (প্রয়োজনে) নামাযের জন্য মৃদু প্রহার করো এবং তাদের বিছানা পৃথক করে দাও।’ (সুনানে আবু দাউদ, হাদিস: ৪৯৫)