মীযান ডেস্ক: জামাআতে ইসলামী হিন্দ মুর্শিদাবাদ জেলা শাখার মিডিয়া বিভাগের পক্ষ থেকে উদযাপিত হল ন্যাশনাল প্রেস ডে। ১৬ নভেম্বর বহরমপুর সাংবাদিক সংঘের অনুষ্ঠান কক্ষে একঝাঁক গণ্যমান্য সাংবাদিক, প্রাবন্ধিক, লেখক ও সাহিত্যকর্মীর উপস্থিতিতে এই অনুষ্ঠান জেলার সাংবাদিকতায় অন্য মাত্রা যোগ করে। উল্লেখ্য, নিরপেক্ষ সাংবাদিকতা এবং সংবাদমাধ্যমের স্বাধীনতা অটুট রাখার লক্ষ্যে সারাদেশে আনুষ্ঠানিকভাবে পালিত হয় এই বিশেষ দিনটি। এই প্রোগ্রামে আগত সকলেই খুব খুশি যে, এই প্রথম মুর্শিদাবাদ জেলায় মিডিয়া তথা সংবাদমাধ্যমকে কেন্দ্র করে একটা বিশেষ দিবস পালন করা হল এবং এর উদ্যোগ নিল জামাআতে ইসলামী হিন্দের মতো এক প্রগতিশীল সংগঠন।
এ দিনের প্রোগ্রামে উপস্থিত ছিলেন বর্ষীয়ান সাংবাদিক বিপ্লব বিশ্বাস, সমরেন্দ্র ভট্টাচার্য, আলমগীর হোসেন, মোক্তার হোসেন মণ্ডল, জামাআতে ইসলামী হিন্দের মুর্শিদাবাদ জেলার সভাপতি শামসুল আলম সাহেব, লেখক ও সাংবাদিক আমিনুল ইসলাম, মইদুল ইসলাম, ইমাম হোসেন প্রমুখ।
জামাআতের জেলা সভাপতি শামসুল আলম বলেন, জীবন-জীবিকার বিষয়টা অবশ্যই খুবই গুরুত্বপূর্ণ। কিন্তু তাই বলে সাংবাদিকদের নিরপেক্ষতা ও বস্তুনিষ্ঠতা থেকে দূরে সরে যাওয়া কখনোই কাম্য নয়। অন্যায়ের সঙ্গে সমঝোতা বা আপস করা সাংবাদিকতার পেশায় শোভনীয় নয়। কারণ, সাংবাদিকদের দায়বদ্ধতা সমগ্র সমাজ ও দেশের কাছে।
মুর্শিদাবাদ জেলা জামাআতের মিডিয়া সম্পাদক আমিনুল ইসলাম বলেন, প্রতিবন্ধকতা ও সীমাবদ্ধতা সত্ত্বেও লেখক ও সাংবাদিকদের নৈতিকতা ও মূল্যবোধভিত্তিক ইতিবাচক কাজ করে যেতে হবে। কারণ, গণতন্ত্রের চতুর্থ স্তম্ভ হল সংবাদ মাধ্যম। তাই এই পেশার সঙ্গে যুক্ত থাকলে গণতন্ত্রকে সমুন্নত রাখতে হবে।
সাংবাদিক আলমগীর হোসেন আক্ষেপ বলেন, মহাত্মা গান্ধী, জওহরলাল নেহরু, কাজী নজরুল ইসলাম প্রমুখ বরেণ্য মানুষ সংবাদপত্র ও পত্রিকার সম্পাদনা করেছেন। আর এখন মিডিয়ার মাথায় চড়ে বসেছে কর্পোরেট কোম্পানীগুলো। ফলে সংবাদমাধ্যমের বস্তুনিষ্ঠতা, বিশ্বাসযোগ্যতা তলানিতে চলে গেছে।
সাংবাদিক মোক্তার হোসেন মণ্ডল বলেন, শুভবুদ্ধিসম্পন্ন মানুষ বলিষ্ঠ ভূমিকা না নিলে সমূহ বিপদ। সংবাদমাধ্যমের কণ্ঠরোধ ভয়াবহ অশনি সংকেত। মিডিয়ার স্বাধীনতা না থাকলে গোটা দেশই স্বৈরশাসনের জাঁতাকলে পিষ্ট হবে। বিদ্বেষ, ঘৃণা ভাষণ, সাম্প্রদায়িক উসকানিমূলক সংবাদ পরিবেশন তথা ফেক নিউজকে কড়া হাতে দমন করতে হবে।
সাংবাদিক সমরেন্দ্র ভট্টাচার্য আজকের দিনটি যথাযোগ্জায মর্যাদার সঙ্গে পালনের উদ্যোগ নেওয়ায় জামাআতে ইসলামী হিন্দ ও তার মিডিয়া বিভাগের প্রশংসা করেন। সকলেই খুব মূল্যবান আলোচনা রাখেন। বক্তব্যের বিষয় ছিল ‘সত্যাসত্যের মাপকাঠিতে গণমাধ্যম ও সমাজজীবনে তার প্রভাব’। মূলত নিরপেক্ষ, বস্তুনিষ্ঠ ও স্বাধীন সংবাদ মাধ্যম তথা সাংবাদিকতার বিস্তার ঘটানোর লক্ষ্যে আজকের এই আয়োজন। সমগ্র অনুষ্ঠান সঞ্চালনা করেন জেলা জামাআতের সহকারী মিডিয়া সম্পাদক হেলালউদ্দিন আহমেদ।