মীযান ডেস্ক: ১৯৪৭ সালের ২৯ নভেম্বর রাষ্ট্রসংঘে একটি প্রস্তাবের ওপর ভোটাভুটি হয়। যার মাধ্যমে ফিলিস্তিনি ভূখণ্ডকে দু-টুকরো করে দুটি আলাদা রাষ্ট্র গঠনের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। একটি ইহুদিদের জন্য (ইজরায়েল) এবং অন্যটি ফিলিস্তিনিদের জন্য। স্বভাবতই মুসলিম দেশগুলো ওই সিদ্ধান্ত মেনে নেয়নি। কিন্তু তবুও সমগ্র আরব বিশ্বের প্রতিবাদ-বিক্ষোভ এবং বিশ্বজনমত উপেক্ষা করেই ফিলিস্তিনি ভূমিকে দুই ভাগ করা হয়।
মূলত ব্রিটেন এবং আমেরিকার পৃষ্ঠপোষকতায় পাস হয়েছিল ইজরায়েল রাষ্ট্র গঠনের প্রস্তাব। তবে পরোক্ষে ফিলিস্তিনি ভূখণ্ডে ইজরায়েল রাষ্ট্র গঠনকে সমর্থন জানিয়েছিল সোভিয়েত রাশিয়া থেকে শুরু করে ইউরোপের দেশগুলো এবং চীনও। সেই কুখ্যাত প্রস্তাবে ফিলিস্তিনকে ৪৩ শতাংশ এবং ইজরায়েলকে ৫৭ শতাংশ ভূখণ্ড দেওয়া হয়। এই হল পশ্চিমাবিশ্ব তথা রাষ্ট্রসংঘের ইনসাফের নমুনা। যদিও বিগত সাড়ে সাত দশক ধরে অধিগ্রহণ তথা আগ্রাসন চালিয়ে এখন পর্যন্ত ফিলিস্তিনের প্রায় ৮০ শতাংশ ভূখণ্ড জবরদখল করে নিয়েছে ইজরায়েল।
উল্লেখ্য, ফিলিস্তিনি ভূখণ্ডে ইজরায়েল নামক জারজ বা অবৈধ রাষ্ট্র গঠনের রূপরেখা আজ থেকে ১০৬ বছর আগেই তৈরি করেছিল ইংল্যান্ড। তদানীন্তন ব্রিটিশ বিদেশমন্ত্রী আর্থার জেমস বেলফোর ১৯১৭ সালের ২ নভেম্বর। সেই কুখ্যাত ঘোষণাপত্রের নাম বেলফোর ডিক্লারেশন। যায়নবাদের প্রতিষ্ঠাতা থিওডোর হার্জেলকে উদ্দেশ্য করে চিঠি লিখে বেলফোর সেই ঘোষণাপত্র পাঠান। সেই ঘোষণাপত্র অনুসারেই রাষ্ট্রসংঘের একেবারে জন্মলগ্নেই ১৯৪৭ সালের ২৯ নভেম্বর রাষ্ট্রসংঘে প্রস্তাব আনা হয় এবং তার ওপর ভোটাভুটি হয়। এর ঠিক ৬ মাস পর ১৯৪৮ সালের ১৪ মে রাষ্ট্রসংঘের প্রস্তাব মোতাবেক ইজরায়েল রাষ্ট্র গঠিত হয়।