মীযান ডেস্ক: জামাআতে ইসলামী হিন্দ পশ্চিমবঙ্গ হালকার পক্ষ থেকে সোমবার উত্তর ২৪ পরগনার হাড়োয়ার গোয়ালপোতায় অবস্থিত আল-মানার আদর্শ শিক্ষা শিবির মিশনে চতুবার্ষিকী পরিকল্পনার উপর ওরিয়েন্টেশন ক্যাম্প অনুষ্ঠিত হল। এতে হাজির ছিলেন দুই ২৪ পরগনা, নদীয়া জেলার দক্ষিণাংশ এবং কলকাতা মেট্রোসিটির রুকন ও স্থানীয় জিম্মাদারেরা। পঁচাত্তর বছরের সুশৃঙ্খল এই ইসলামী সংগঠন প্রতি চার বছর অন্তর তাদের অভ্যন্তরীণ নির্বাচন করে সব পর্যায়ে নতুন জিম্মাদার নির্বাচিত হন। স্বভাবতই প্রতি ৪ বছর মীকাতে নতুন করে সাংগঠনিক পলিসি প্রোগ্রাম তৈরি হয় এবং তারই ভিত্তিতে চতুর্বার্ষিকী কর্মমেয়াদে রাজ্য তথা দেশজুড়ে এই ওরিয়েন্টেশন ক্যাম্প এর আয়োজন করা হয়। আগামী চার বছর জামাআতে ইসলামী হিন্দ কীভাবে এই রাজ্যে জাতি, ধর্ম, বর্ণ, গোত্র নির্বিশেষে সকল মানুষের পাশে দাঁড়িয়ে একটা উন্নত সমাজ উপহার দেওয়ার প্রচেষ্টা করবে – তারই রূপরেখা নিয়ে সোমবার বিশেষ প্রশিক্ষণ দেওয়া হল এই ওরিয়েন্টেশন ক্যাম্পে।
পবিত্র কুরআনের দিক-নির্দেশনামূলক আলোচনা দিয়ে অনুষ্ঠানের সূচনা হয়। এই পর্বে আলোচনা রাখেন উত্তর ২৪ পরগনার সহকারী জেলা সভাপতি মাওলানা আব্দুল আজীজ মোল্যা। জামাআতের আগামী চার বছরের পরিকল্পনা তুলে ধরেন জামাআতে ইসলামী হিন্দের পশ্চিমবঙ্গ শাখার সভাপতি ডা. মসিহুর রহমান। তিনি বলেন, “যেখানে অর্থনৈতিক বৈষম্য, সেখানে সাধারণ মানুষ নির্যাতিত হয়।” তিনি আরও বলেন, “জামাআতের কর্মী হিসেবে আপামর মানুষের কাছে নির্মল চরিত্রের সাক্ষ্য রাখতে হবে। এটাই সময়ের দাবি।” বিশিষ্টদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন জামাআতের রাজ্য সম্পাদক অধ্যাপক মশিউর রহমান এবং রাজ্য কমিটির বিভিন্ন বিভাগীয় সম্পাদকগণ।
উল্লেখ্য, আগের দিন রবিবার হাওড়া জেলার উলুবেড়িয়ার নিমদিঘিতে সোসাইটি আপলিফটমেন্ট সেন্টারে ওরিয়েন্টেশেন ক্যাম্পের আয়োজন করা হয়। সেখানে হাওড়া, হুগলী, পূর্ব ও পশ্চিম বর্ধমান এবং দুই মেদিনীপুর জেলা থেকে জামাআতের রুকন ও জিম্মাদারেরা উপস্থিত ছিলেন। গত সপ্তাহে মালদা, মুর্শিদাবাদ, কোচবিহার প্রভৃতি জেলায় এই প্রোগ্রাম হয়ে গেছে।