মীযান ডেস্ক: ১৫ আগস্ট দেশের ৭৭তম স্বাধীনতা দিবসে সংবিধান বদলের পক্ষে সওয়াল করে তীব্র বিতর্কের জেরে দু’দিন পর সাফাই দিলেন প্রধানমন্ত্রীর আর্থিক উপদেষ্টা পরিষদের চেয়ারম্যান বিবেক দেবরায়। তিনি দাবি করলেন, নতুন সংবিধান নিয়ে যে প্রবন্ধ তিনি লিখেছেন সেটা একান্তই তাঁর ব্যক্তিগত মতামত।
আসলে স্বাধীনতা দিবসে একটি সর্বভারতীয় সংবাদমাধ্যমে সংবিধান সংক্রান্ত এক মতামত লিখেছিলেন বিবেক দেবরায়। সেখানে তিনি দাবি করেন, এ দেশের নাগরিকদের এখন নতুন সংবিধানের প্রয়োজন দেখা দিয়েছে। আমরা ১৯৫০ সালে যেমন ছিলাম, এখন আর তেমন নেই। অনেক কিছু পরিবর্তন হয়েছে। অথচ সেই ১৯৭৩ থেকে আমাদের বলা হচ্ছে সংবিধানের মূল কাঠামো পরিবর্তন করা যাবে না।”
অর্থাৎ খোলাখুলিই সংবিধানের মূল কাঠামোয় পরিবর্তন করার পক্ষে সওয়াল করেন এই খ্যাতনামা অর্থনীতিবিদ। তাঁর সবথেকে বড় পরিচয় হল তিনি এই মুহূর্তে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির আর্থিক উপদেষ্টা পরিষদের চেয়ারম্যান। স্বাভাবিকভাবেই প্রশ্ন উঠছিল, তাঁর এই মতামত কি সরকারের চিন্তাভাবনার প্রতিফলন? প্রধানমন্ত্রীর উপদেষ্টা যখন নতুন সংবিধানের পক্ষে সওয়াল করছেন, তাহলে কি প্রধানমন্ত্রীও নতুন সংবিধানের পক্ষে? এ নিয়ে বিতর্ক বাড়তেই অবশ্য প্রধানমন্ত্রীর আর্থিক উপদেষ্টা পরিষদ জানিয়ে দেয়, বিবেক দেবরায়ের বক্তব্য বা লেখা তাঁদের কমিটির মতামত নয়। এটা তাঁর ব্যক্তিমত মতামত।
পরে বিবেক দেবরায় নিজেও জানিয়েছেন, তিনি যে প্রতিবেদনটি লিখেছিলেন সেটা সম্পূর্ণ তাঁর ব্যক্তিগত অভিমত। এর সঙ্গে প্রধানমন্ত্রীর আর্থিক উপদেষ্টা পরিষদ বা সরকারের মতামতের কোনও মিল বা সম্পর্ক নেই।
এই মর্মে বিশেষজ্ঞরা বিবেক দেবরায়কে পরামর্শ দিয়েছেন, আবেগ নয়, বিবেক কাজে লাগানোর জন্য। তাঁরা বলেছেন, সরকারের প্রিয়পাত্র হতে গিয়ে আবেগে অতিরিক্ত কিছু বলে ফেললে তার পরিণতি শুভ হতে পারে না। তখন দেখবেন, যাকে খুশি করতে আপনি বিতর্কিত কিছু বলেছেন, সেই-ই ‘ব্যক্তিগত মতামত’ বলে দায় এড়িয়ে আপনার পাশ থেকে সরে দাঁড়াবে।
