মুম্বইয়ে বিরোধী ইন্ডিয়া জোটের তৃতীয় বৈঠকের প্রস্তুতি তুঙ্গে

মীযান ডেস্ক: পাটনার পর বেঙ্গালুরু। এবার মুম্বই। বিরোধীদের মহাজোট ‘ইন্ডিয়া’র পরবর্তী বৈঠক বৃহস্পতি ও শুক্রবার। মুম্বইয়ে ইন্ডিয়া জোটের বৈঠকের আগে সাংগঠনিক বিস্তার নিয়ে ইতিমধ্যেই ঘরোয়াভাবে আলোচনা শুরু হয়ে গিয়েছে। সূত্রের খবর, এবার কোনও দলের নেতাকে সার্বিক ভাবে জোটের আহ্বায়কের দায়িত্ব না-ও দেওয়া হতে পারে। যদিও রাজনৈতিক জোটে বরাবরই আহ্বায়ক হিসেবে একজনকে রাখার প্রথা ছিল। কিন্তু এবার ইন্ডিয়া জোটের ক্ষেত্রে তার সম্ভাবনা খুবই কম। তবে এই জোটের যে ১১ জনের সমন্বয় কমিটি মুম্বইয়ে ঘোষণা করা হবে, সেখানে কিন্তু একজন আহ্বায়ক থাকবেন বলে জানা যাচ্ছে। তাঁর দায়িত্ব হবে মূলত ১১ জন সদস্যের মধ্যে সমন্বয় রাখা এবং পরবর্তী কর্মসূচিকে সামনে রেখে বৈঠক আহ্বান করা। বিরোধী দলগুলির কোন নেতা আহ্বায়ক হবেন, তা ঠিক হবে মুম্বই বৈঠকে। পাশাপাশি চেষ্টা চলছে ইন্ডিয়া-র তরফে লোগো প্রকাশের। তবে মুম্বই বৈঠকের সময়েই তা প্রকাশ করা হবে কিনা, তা চূড়ান্ত নয়। কারণ, লোগোর কাজ এখনও চলছে। ইন্ডিয়া-র লোগোর সম্ভাব্য থিম দেশপ্রেম।

এর আগে সংযুক্ত মোর্চায় যেমন ছিলেন চন্দ্রবাবু নাইডু কিংবা এনডিএতে জর্জ ফার্নান্ডেজ— ইন্ডিয়া জোট তেমন কোনও আহ্বায়ক রাখতে চাইছে না। কারণ, সেক্ষেত্রে আহ্বায়ককে সরাসরি এনডিএ-র সর্বাধিনায়ক নরেন্দ্র মোদীর প্রতিপক্ষ মুখ হিসেবে দাঁড় করাবে গেরুয়া শিবির। বিজেপি এ ব্যাপারে ছায়াযুদ্ধ শুরু করে দেবে। স্বাভাবিক ভাবে মাঠে নামার আগেই বাড়তি সুবিধা পেয়ে যাবেন নরেন্দ্র মোদী। তাছাড়া, এর ফলে জোটের নেতৃত্বের প্রশ্নে বিভ্রান্তি তৈরি হতে পারে।

সূত্রের খবর, ইন্ডিয়া জোটের আহ্বায়ক হতে সবচেয়ে আগ্রহী জেডিইউ নেতা তথা বিহারের মুখ্যমন্ত্রী নীতীশ কুমার। তিনি অনেক আগে থেকেই উদ্যোগী হয়ে বিরোধীদের মধ্যে সমন্বয়ের কাজ করে চলেছেন। পটনা বৈঠকের আগে বিভিন্ন রাজ্যে গিয়ে বিরোধী নেতাদের সঙ্গে দেখা করেছেন। বিরোধী জোটের প্রথম বৈঠকও হয় পটনায়। তবে বেঙ্গালুরু বৈঠকে জোটের নামকরণের প্রশ্নে কংগ্রেস বা তৃণমূল নেতৃত্বের সঙ্গে নীতীশের কিছুটা মতান্তর হয়। এতে কিছুটা ক্ষুব্ধ হন নীতীশ। তবে তার পরেও বিজেপি-বিরোধী রাজনীতিতে সমন্বয়কারী হিসেবে সক্রিয় হয়ে রয়েছেন তিনি। ইন্ডিয়া জোটে যোগ দেওয়ার অনুরোধ নিয়ে এনডিএ-র সবচেয়ে পুরনো শরিক শিরোমণি অকালি দলের সঙ্গেও নীতীশ যোগাযোগ করছেন। ওমপ্রকাশ চৌটালার দলকেও (আইএনএলডি) অনুরোধ করেছেন তিনি। যদিও আপাতত আইএনএলডি হরিয়ানায় বিজেপির সঙ্গে জোটে রয়েছে। মুম্বই বৈঠকের পর চতুর্থদফা বৈঠক হতে পারে ২০-২২ দিন পর রাজস্থান, হিমাচলপ্রদেশ কিংবা মধ্যপ্রদেশে। কারণ, মধ্যপ্রদেশে বিজেপি সরকার রয়েছে। এই রাজ্যে ভোটও আসন্ন। যদি এখানে বৈঠক করা হয়, তাহলে সেই রাজ্যের মানুষের কাছেও বিরোধীদের পক্ষ থেকে বার্তা যাবে বলে মনে করছেন বিরোধী মহাজোটের কুশীলবরা।

Stay Connected

Advt.

%d bloggers like this: