মাহমুদ হাসান
মহান আল্লাহ রব্বুল আলামীন বলেছেন: হে মুমিনগণ, তোমাদের ওপর সিয়াম ফরয করা হয়েছে, যেভাবে ফরয করা হয়েছিল তোমাদের পূর্ববর্তীদের উপর। যাতে তোমরা তাকওয়া অবলম্বন কর। (সূরা বাকারাহ: ১৮৩)। আর সিয়াম পালন তোমাদের জন্য কল্যাণকর, যদি তোমরা জান। (সূরা বাকারাহ: ১৮৪)। অতএব তোমাদের মধ্যে যে কেউ এ মাস পাবে, সে যেন তাতে রোযা পালন করে। (সূরা বাকারাহ: ১৮৫)।
রমযান মাস মহান আল্লাহর দেয়া অন্যতম নি’আমত। এই মাসে আল্লাহ বান্দার গুনাহ মাফ করেন। এই মাসে আল্লাহ বান্দাদের ভাগ্য পরিবর্তন করার সুযোগ দান করেন। এই মাসে জাহান্নামের শাস্তি বন্ধ রাখা হয়। এই মাসে অধিক পরিমাণে দুয়া কবুল হয়। এই মাসে শয়তানকে শিকলে আবদ্ধ রাখা হয়, ফলে বিভিন্ন খারাপ কাজ ত্যাগ করা সহজ হয়ে যায়।
এই মাসে সকল নেক কাজে বরকত পাওয়া যায়, এই মাসেই অনেকের জন্য জান্নাত, জাহান্নাম নির্ধারিত হয়ে যায়। সুবাহানাল্লাহ, আলহামদুলিল্লাহ, আল্লাহু আকবার।
সুতরাং রমযান মাসে নিজের কাজগুলো গুছিয়ে রাখুন যেন আমল ইবাদাতে মনযোগ দিতে পারেন। কোনো কারণেই যেন কোনো ছোটখাটো আমলও ছুটে না যায়। সময়মত সালাত আদায় করুন। সাহরি শেষ করে ফযরের পরে কুরআন তিলাওয়াত করুন। সকালে না পারলে সারাদিনে, তা-ও না পারলে অন্তত রাতে তিলাওয়াত করার সর্বাত্মক চেষ্টা করুন। এই মাসে দান-খয়রাত করুন, যা পারেন, যতটুকু পারেন। সবার সাথে সুন্দর আচরণ করুন, ভাল ব্যবহার করাটাও নেকীর কাজ।
মিথ্যা বর্জন করুন, অযথা কাজ পরিত্যাগ করুন। অনর্থক, অহেতুক কাজ ত্যাগ করাটা একজন মুসলিমের সৌন্দর্য বৃদ্ধি করে। কথাবার্তায় অশ্লীল শব্দ ব্যবহার কিংবা অশ্লীল যেকোনো কিছু এড়িয়ে চলুন। আরেকটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হল, অন্যের হক সম্পর্কে সচেতন থাকুন। কথায়, কাজে, চলাফেরায় যেনো কোনভাবেই কারো হক নষ্ট না হয়; তা খুবই গুরুত্বের সাথে খেয়াল রাখুন, সজাগ থাকুন।
মহান আল্লাহ আমাদের অতীতের সকল গুনাহ মাফ করে দিন, আমাদের ভাল কাজ করার তাওফিক দিন, সব কাজে একমাত্র আল্লাহকে সন্তুষ্ট করার নিয়তে যেন করতে পারি, আল্লাহ আমাদের সেই তাওফিক দিন। আমীন।